ইয়েমেন বিমানবাহিনী ও বিমান প্রতিরক্ষা | |
---|---|
القوات الجوية اليمنية والدفاع الجوي আল-কুওয়াতু আল-জাউয়িয়াতু আল-ইয়ামানিয়াতু ওয়ালদিফা-ই আল-জাউয়িয়ু | |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৯০ |
দেশ | ইয়েমেন |
ধরন | বিমানবাহিনী |
ভূমিকা | আকাশযুদ্ধ আকাশপথে প্রতিরক্ষা |
অংশীদার | ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী |
যুদ্ধসমূহ | |
প্রতীকসমূহ | |
রাউন্ডেল | |
ফিন ফ্ল্যাশ | |
পতাকা | |
বিমানবহর | |
আক্রমণ | এসএইউ-২২ |
জঙ্গী বিমান | মিগ-২১, মিগ-২৯ |
হেলিকপ্টার | মিল এমআই-১৭, বেল ২০৪, বেল ২১২ |
হেলিকপ্টার আক্রমণ | মিল এমআই-২৪ |
প্রশিক্ষণ বিমান | অ্যারো এল-৩৯, ইয়াক-১১, লিন জেড ১৪২ |
পরিবহন বিমান | সি-১৩০, আইওয়ান-৭৬, এএন-১২, এএন-২৪, এএন-২৬, ইয়াক-৪০ |
ইয়েমেনি বিমানবাহিনী (আরবি: القوات الجوية اليمنية; প্রতিবর্ণীকরণ: আল-কুওয়াতু আল-জাউয়িয়াতু আল-ইয়ামানিয়া ) হল ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর বিমান অপারেশন শাখা। এর বিমানের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি তবে এই বিমানগুলির পরিষেবাযোগ্যতা কম। স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থনকারী অন্যান্য দেশের অনুদানের মাধ্যমে বিমানগুলি অর্জিত হয়েছে৷ যাইহোক, প্রধানত সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমন্বয়ে গঠিত "আরব জোট" দ্বারা পরিচালিত বিমান হামলায় (২০১৫ ইয়েমেনে সামরিক হস্তক্ষেপ) বেশিরভাগ বিমানবাহিনী ধ্বংস হয়েছিল।
আল-কুওয়াত আল-জাওভিয়া আল-ইয়ামানিয়া নামে পরিচিত ইয়েমেন বিমানবাহিনী ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা প্রথমে জার্মানি এবং ইতালি থেকে সাহায্য পেয়েছিল, এছাড়াও কিছু ইয়েমেনি কর্মী বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়, কিন্তু উপযুক্ত সরঞ্জাম এবং যন্ত্রাংশের অভাব ইয়েমেনের ইমামকে তার প্রচেষ্টা ছেড়ে দিতে হয় এবং সেগুলি পুনরায় চালু করতে কখনও আর আগ্রহী করে নি। ১৯৫০-এর দশকে ইয়েমেনের ইমাম চেকোস্লোভাকিয়ার সাথে ২৪টি আভিয়া বি-৩৩ যুদ্ধবিমান, ১০টি জিন-জেড ১২৬ ট্রেনার প্রশিক্ষণ বিমান এবং টি-৩৪ ট্যাঙ্কসহ স্থলবাহিনীর জন্য অন্যান্য সামরিক যানবাহন নিয়ে একটি বড় অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
ইয়েমেনি বিমানবাহিনী ১৯৯০ সালে দক্ষিণ ও উত্তর ইয়েমেনের একীকরণের সময়েই তৈরি করা হয়েছিল। ইয়েমেন কর্তৃক ব্যবহৃত বিমানের বেশিরভাগই দক্ষিণ ইয়েমেন থেকে পাওয়া এবং উত্তর ইয়েমেন থেকে প্রাপ্ত বিমানের সংখ্যা যৎসামান্য। এর কারণ হল দক্ষিণ ইয়েমেন স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের মিত্র ছিল এবং সোভিয়েতরা তাদেরকে সামরিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দক্ষিণ ইয়েমেন সোভিয়েতদের তৈরি যোদ্ধাদের গ্রহণ করা বন্ধ করে দেয়। ইয়েমেন মূলত ১৯৯৪ সালের গৃহযুদ্ধে অ্যাডেন শহরে বোমা বর্ষণের জন্য যোদ্ধা ও বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে। উত্তর ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ইংলিশ ইলেকট্রিক লাইটনিং ফাইটার ব্যবহারের খবরও পাওয়া গেছে। এগুলি সৌদি আরব ব্যবহার করেছিল যেহেতু ইয়েমেন কখনও কোনও লাইটনিংয়ের মালিক ছিল না।
ইয়েমেনি আল-কায়েদার অভিযানের অংশ হিসেবে ইয়েমেনের বিমানবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসী নেতাদের হত্যা করতে ইয়েমেন জুড়ে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান অভিযান শুরু করে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আলী আবদুল্লাহ সালেহ জর্জ বুশের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করার পর আমেরিকা ইয়েমেনকে সামরিক সহায়তা প্রদান করে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল ইয়েমেনি বিমানবাহিনী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশিক্ষণ, তহবিল এবং অস্ত্রশস্ত্রের মাধ্যমে ইয়েমেনি বিমানবাহিনীকে সহায়তা করেছিল। তারা তাদের ২টি সেসনা ২০৮ টি হালকা পরিবহন বিমান, ২টি সি-১৩০ হারকিউলিস কার্গো বিমান, ১৪টি এফ-৫ই যুদ্ধবিমান, ১টি সিএএসএ সিএন.২৯৫ মাঝারি কার্গো বিমান, ১টি বিচক্রাফট সুপার কিং এয়ার, ৩টি বেল ২০৬ হেলিকপ্টার, ৬টি বেল ২১২ হেলিকপ্টার, ৩টি বেল ২১৪ হেলিকপ্টার এবং ৪টি ইউএইচ-১এইচ হেলিকপ্টার সহ বিমান ও হেলিকপ্টার সরবরাহ করে। ইয়েমেনি বিমানবাহিনী মার্কিন সহায়তা থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে। আল কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াই করা ইয়েমেনের বিশেষ বাহিনীর জন্য ঘনিষ্ঠ বিমান সহায়তা প্রদানের জন্য আমেরিকা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।[১]
ইয়েমেনি বিমানবাহিনী ২০১১ সালের ইয়েমেনি অভ্যুত্থানের সময় সালেহ সরকারের বিরোধী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায়। ২০১১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সানার উত্তরে বিদ্রোহী সৈন্যরা ম্যানপ্যাডস (MANPADS) ব্যবহার করে বোমা হামলা করার সময় একটি এসইউ-২২ কে গুলি করে ধ্বংস করে।[২] এসময় পাইলট বের হয়ে যায় এবং তাকে আটক করা হয়।
৩০ অক্টোবর, বিদ্রোহী বাহিনী দ্বারা সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাথে যৌথ কাঠামোবদ্ধ আল-দাইলামি বিমান ঘাঁটি আক্রমণের শিকার হয়। বিভিন্ন সরকারী সূত্র জানিয়েছে যে দুই বা তিনটি যুদ্ধবিমান মর্টার শেল দ্বারা অথবা পুতে রাখা বিস্ফোরক চার্জের মাধ্যমে মাটিতে ধ্বংস হয়েছে। বিমানটি গোলাবারুদ এবং যুদ্ধসামগ্রী নিয়ে পরের দিন হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল। ধ্বংসপ্রাপ্ত বিমানের মধ্যে কমপক্ষে একটি মিগ-২৯ এর খবর পাওয়া গেছে।[৩]
বিমান | মূল দেশ | ধরন | বিবিধ | সচল | টীকা | |
---|---|---|---|---|---|---|
যুদ্ধ বিমান | ||||||
মিগ-২১ | সোভিয়েত ইউনিয়ন | জঙ্গী বিমান | ১৯[৪] | |||
মিগ-২৯ | রাশিয়া | বহুমুখী | ২৪[৪] | |||
সুকুই এসইউ-২২ | সোভিয়েত ইউনিয়ন | জঙ্গী/বোমারু বিমান | ২৩[৪] | ২০১৫ সালের মে মাসে সালে ৩টি হারিয়ে গেছে[৫] | ||
নর্থ্রপ-এফ৫ | যুক্তরাষ্ট্র | জঙ্গী বিমান | এফ-৫ই | ১১[৪] | ||
প্রাথমিক নিরীক্ষণ | ||||||
সেসনা ২০৮ | যুক্তরাষ্ট্র | নজরদারি | ২[৪] | |||
পরিবহন | ||||||
এন্টনোভ আন-২৬ | ইউক্রেন | পরিবহন বিমান | ৮[৪] | |||
হেলিকপ্টার | ||||||
বেল ২০৬ | যুক্তরাষ্ট্র | প্রশিক্ষণ বিমান | ১[৪] | |||
বেল ২১২ | যুক্তরাষ্ট্র | ইউটিলিটি/পরিবহন | ৪[৪] | |||
বেল ইউএইচ-১ | যুক্তরাষ্ট্র | ইউটিলিটি | ইউএইচ-১এইচ | ৪[৪] | ||
মিল এমআই-১৭ | রাশিয়া | ইউটিলিটি | মিল এমআই-১৭/১৭১ | ৩৪[৪] | ||
মিল এমআই-১৪ | রাশিয়া | এএসডাব্লিউ/এসএআর | ২[৪] | |||
মিল এমআই-২৪ | রাশিয়া | আক্রমণ | মিল এমআই-২৪ | ১৪[৪] | ||
কমভ কা-২৭ | রাশিয়া | ইউটিলিটি | কা-৩২ | 2[৪] | ||
প্রশিক্ষণ বিমান | ||||||
অ্যারো এল-৩৯ | চেক প্রজাতন্ত্র | জেট প্রশিক্ষণ বিমান | ২৮[৪] | |||
নর্থ্রপ-এফ৫ | যুক্তরাষ্ট্র | রূপান্তর প্রশিক্ষণ বিমান | এফ-৫এফ | ৮[৪] |