ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস | |
---|---|
A scanning electron microscope micrograph depicting a mass of Yersinia pestis bacteria in the foregut of an infected flea. | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
ক্ষেত্র: | Bacteria |
জগৎ: | Eubacteria |
পর্ব: | Proteobacteria |
শ্রেণী: | Gammaproteobacteria |
গণ: | Yersinia |
প্রজাতি: | Y. pestis |
দ্বিপদী নাম | |
Yersinia pestis (Lehmann & Neumann, 1896) van Loghem 1944 |
ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস (ইংরেজি: Yersinia pestis) (পূর্ব নাম: "পাস্তুরিলা পেস্টিস") একটি গ্রাম নেগেটিভ দণ্ডাকৃতির ব্যাকটেরিয়া। এটি মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীতে সংক্রমণযোগ্য একটি জীবাণু।[১]
হংকংয়ে এক মহামারী চলাকালীন সময় পাস্তুর ইনিস্টিটিউটে ফরাসি-সুইস চিকিৎসক ও ব্যাকটেরিয়াবিজ্ঞানী আলেক্সঁদ্র ইয়েরসাঁ ১৮৯৪ সালে "ই. পেস্টিস" ব্যাকটেরিয়াটি আবিষ্কার করেন।[২] ইরসিন পাস্তুর গবেষণাগারে একজন গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই একই সময়ে, রোবের্ট কখের-এর সহকারী কিতাসাতো শিবাসাবুরো নামক একজন জার্মানিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জাপানি ব্যাকটেরিয়াবিজ্ঞানীও প্লেগের কারণ অনুসন্ধানে গবেষণারত ছিলেন;[৩] যদিও ইয়েরসাঁ-র নামানুসারেই এর নামকরণ করা হয়েছে। এটির পূর্ব নাম ছিলো "পাস্তুরিলা পেস্টিস" যা ১৯৬৭ সালে পুনরায় ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস রাখা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এখনও প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ প্লেগে আক্রান্ত হয়, যদিও বর্তমানে সুচিকিৎসার কারণে এর দ্বারা মৃতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় এশিয়াতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিলো। প্লেগ মানুষ ছাড়াও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীতে সংক্রামিত হতে পারে; যুক্তরাষ্ট্রে কালো লেজ প্রেইরী কুকুর এবং বিলুপ্ত প্রায় কালো পা ফিরেট এই রোগের হুমকীর মুখে রয়েছে।