ইয়োসি সারিদ | |
---|---|
মন্ত্রী হিসাবে ভূমিকা | |
১৯৯২-৯৬ | পরিবেশ মন্ত্রী |
১৯৯৯-২০০০ | শিক্ষা মন্ত্রী |
কনেসেট এ প্রতিনিধিত্বকারী গোষ্ঠী | |
১৯৭৪-১৯৮৪ | অ্যালাইনমেন্ট পার্টি |
১৯৮৪-৯২ | রাৎজ |
১৯৯২-২০০৬ | মেরেৎজ |
অন্য ভূমিকা | |
২০০১-২০০২ | বিরোধীদলীয় নেতা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | রেহভোট, কর্তৃত্বপ্রাপ্ত শক্তির অধীন ফিলিস্তিন | ২৪ অক্টোবর ১৯৪০
মৃত্যু | ৪ ডিসেম্বর ২০১৫ তেল আবিব, ইসরায়েল | (বয়স ৭৫)
ইয়োসি সারিদ (হিব্রু ভাষায়: יוסי שריד; ২৪শে অক্টোবর ১৯৪০ - ৪ঠা ডিসেম্বর ২০১৫) ছিলেন একজন ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ এবং সংবাদ ব্যাখ্যাকার। তিনি ১৯৭৪ এবং ২০০৬ সালের মধ্যে অ্যালাইনমেন্ট, রাৎজ এবং মেরেৎজ এর জন্য কনেসেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ইজরায়েলের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী এবং পরিবেশ মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ এবং ২০০৩ সালের মধ্যে মেরেৎজকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং ২০০১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দৃঢ় নৈতিক অবস্থান এবং সেই সংকল্পের রাজনৈতিক মূল্য দিতে তাঁর সদিচ্ছার পরিচিতির জন্য তাঁকে প্রায়ই ইসরায়েলের নৈতিক কম্পাস হিসেবে উল্লেখ করা হত।[১][২]
ইয়োসেফ (ইয়োসি) সারিদ রেহভোট এ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি আর্টিলারি কর্পসে যোগদান করেছিলেন এবং আইডিএফ -এ জাতীয় সেবার সময় সামরিক প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্ক শহরের নিউ স্কুল ফর সোশ্যাল রিসার্চ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ অর্জন করেন। তিনি আপার গ্যালিলির মার্গালিয়োটের বাসিন্দা ছিলেন।[৩]
সারিদ বিবাহ করেছিলেন ডরিতকে, তাঁদের তিনটি সন্তান ছিল, তার মধ্যে একজন হলেন লেখক ইশাই সারিদ। সারিদ আপাত দৃষ্টিতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার কারণে ২০১৫ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মারা যান।[৪] তাঁকে তেল আবিবের উপকণ্ঠে কিবুতজ গিভাত হাশলোশা কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়েছে।[৫]
সারিদ প্রধানমন্ত্রী লেভি এশকলের প্রচারমাধ্যম সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি অ্যালাইনমেন্ট প্রার্থী ১৯৭৩ সালে প্রথম কনেসেট নির্বাচিত হন।[৬] তিনি ১৯৭৭, ১৯৮১ এবং ১৯৮৪ সালে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। অ্যালাইনমেন্ট ১৯৮৪ সালে লিকুদের সাথে একটি জাতীয় ঐক্য সরকারে যোগ দিতে সম্মত হওয়ার পর, সারিদ ২২শে অক্টোবরে দলত্যাগ করে শুলামিত আলোনির রাৎজে যোগ দেন।[৭] তিনি ১৯৮৮ সালে রাৎজ প্রার্থী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন।
১৯৯২ সালে, রাৎজ শিনুই এবং মাপামের এর সাথে সংযুক্ত হয়ে মেরেৎজ গঠন করে। নতুন দল সেই বছর নির্বাচনে ১২টি আসন জিতেছিল এবং আইজাক রবিনের জোটে যোগদান করেছিল। সারিদকে পরিবেশ মন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়েছিল। এরপরে রবিনের গুপ্তহত্যার পর ১৯৯৫ সালে শিমন পেরেজ যখন নতুন সরকার গঠন করেছিলেন তখনও সারিদ একই পদে ছিলেন।
১৯৯৬ সালে, মেরেৎজ নেতা হিসাবে সারিদ আলোনির স্থলাভিষিক্ত হন। যদিও সে বছর নির্বাচনে লেবার পার্টি অধিকাংশ আসন পেয়েছিল, লিকুদ নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নির্বাচন জিতেছিলেন এবং দক্ষিণপন্থী সরকার গঠন করেছিলেন।
১৯৯৯ নির্বাচনে, মেরেৎজ ১০টি আসন জিতেছিল। যদিও সারিদ সঙ্কল্প করেছিলেন অতি-সনাতনপন্থী শাস অন্তর্ভুক্ত কোন জোটে যোগ না দেওয়ার, এহুদ বারাক সারিদকে সরকারে যোগ দিতে রাজি করালেন এবং তাঁকে শিক্ষামন্ত্রীর পদে বসালেন। সারিদ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যে শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনে তিনি সংকল্প ভঙ্গ করেছেন। যাইহোক, ২০০০ সালে সারিদ সরকার থেকে পদত্যাগ করেন এবং শাসের শিক্ষা উপমন্ত্রীকে কর্তৃত্ব প্রদান করার বিষয়ে একমত না হয়ে মেরেৎজ জোট ত্যাগ করে।
২০০৩ নির্বাচনে, মেরেৎজের আসন সংখ্যা কমে গিয়ে ৬টাতে দাঁড়ায়, এরপর সারিদ দলীয় নেতার পদ থেকে ইস্তফা দেন, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ইয়োসি বেইলিন। ২০০৬ নির্বাচনে মেরেৎজের ৫টি আসন পাওয়া পর্যন্ত তিনি কনেসেটের সদস্য ছিলেন। এরপর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন, এই পরিকল্পনা তিনি আগের বছরেই ঘোষণা করেছিলেন।[৮] ২০০৯ সালে,কনেসেটে মেরেৎজের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছিল তিনটিতে।[৯]
সারিদ হারেৎজ সংবাদপত্রের জন্য সাপ্তাহিক কলাম লিখেছেন।[৪]
টেমপ্লেট:Israeli Environment Ministers টেমপ্লেট:Opposition leaders (Israel)