ইয়োসুগা নো সোরা

ইয়োসুগা নো সোরা
ヨスガノソラ
ধরনরোম্যান্স
গেম
নির্মাতাস্ফিয়ার
প্রকাশকস্ফিয়ার
ধরনএডিভি, ভিজুয়্যাল নভেল
ভিত্তিমঞ্চউইন্ডোজ
মুক্তি৫ ডিসেম্বর, ২০০৮
মাঙ্গা
লেখকতাকাশি মিকাজে
প্রকাশককাদোকাওয়া শো তেন
সাময়িকীকম্প এস
জনতাত্ত্বিকসেইনেন
মূল প্রকাশ২৬ মে, ২০১০২৫ ডিসেম্বর, ২০১০
খণ্ড
অ্যানিমে টেলিভিশন ধারাবাহিক
পরিচালকতাকেও তাকাহাশি
লেখকনারুহিসা আরাকাওয়া
সুরকার
  • মানাবু মিওয়া
  • ব্রুনো ওয়েন-লি
স্টুডিওফিল
লাইসেন্সকারীমিডিয়া ব্লাস্টারস
মূল নেটওয়ার্কএটি-এক্স, টোকিও এমএক্স, বিএস১১
ইংরেজি নেটওয়ার্কতোকু
মূল প্রকাশ ৪ অক্টোবর, ২০১০ ২০ ডিসেম্বর, ২০১০
পর্ব১২ (পর্বের তালিকা)

ইয়োসুগা নো সোরা (জাপানি: ヨスガノソラ, lit. "স্কাই অফ কানেকশন") হলো একটি জাপানীজ রোম্যান্টিক অ্যাডাল্ট ভিজুয়্যাল নভেল। এটিকে ডেভেলপ করেছে সিইউএফএফএস (স্ফিয়ার)। উইন্ডোজ এর জন্যে এর একটি গেম ২০০৮ সালের ৫ই ডিসেম্বর মুক্তি পায়।[] একটি ধারাবাহিক মাঙ্গা ও একটি অ্যানিমে টেলিভিশন সিরিজে এটি অভিযোজিত হয়েছিল। ২০০৯ সালের ২৪শে অক্টোবর, হারুকা নো সোরা নামে একটি সিক্যুয়াল/ফ্যান ডিস্ক মুক্তি পেয়েছিল, যেখানে মূল গেমের অন্তর্গত কিছু চরিত্রের নতুন এবং সুবিস্তৃত চিত্রনাট্য দেখা গিয়েছিল।।[]

প্রেক্ষাপট

[সম্পাদনা]

হঠাৎ এক গাড়ি দুর্ঘটনায় করুণভাবে বাবা মাকে হারিয়ে, যমজ কাসুগানো ভাই বোনেরা তাদের দুঃখজনক জীবনের টুকরোগুলিকে পুনর্গঠন করতে, রেলগাড়িতে চেপে পল্লীগ্রামে তাদের দাদা-দাদীর বাড়িতে থাকতে আসে। এই দুই সত্বা চেহারায় একইরকম দেখতে হলেও, অন্তর থেকে একদম আলাদা। আসন্ন দিনে তারা যে কিরকম বিবাদী প্রত্যাশার সম্মুখীন হতে চলেছে, তার সম্বন্ধে তাদের বিন্দুমাত্র ধারনাও নেই। ভবিষ্যত সম্পর্কে অনিশ্চিত হয়ে, হারুকা কাসুগানো তার অতীতের স্মৃতিগুলোকে আকড়ে ধরে থাকে। সে তার দূর্বল বোনকে রক্ষা করার আশায় শক্তি খোঁজার চেষ্টা করে। কাহিনী অগ্রসর হতে হতে চারটি রাস্তায় চলে যায়, প্রত্যেকটিতেই একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে গল্প শেষ হয়; মিগীওয়া: ধনী কিন্তু দয়ালু, আমাতসুমে: নম্র কিন্তু বিষণ্ণ, ইয়োরীহিমে: হতাশ কিন্তু আশাবাদী, সোরা: ছোট ও সুন্দর কিন্তু হিংস্র।।

চরিত্র

[সম্পাদনা]

কেন্দ্রীয়

[সম্পাদনা]
হারুকা কাসুগানো (春日野 悠, কাসুগানো হারুকা)
কণ্ঠস্বর দিয়েছেন: হিরো শিমোনো (অ্যানিমে, কিশোর), মেগুমি মাতসুমোতো (অ্যানিমে, শিশু)
এই সিরিজের কৃশকায় চেহারা ও নম্র স্বভাবের মূল চরিত্র হচ্ছে হারুকা। সে বহুদিক থেকেই তার যমজ বোন সোরার সাথে নিখুঁত সাদৃশ্যপূর্ণ। সৎ ও সুরুপ হারুকা তার দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বগুলিকে অসাধারন অবলীলায় বেঁধে রাখে। নিজের হৃদয় শক্ত রেখে সে তার বাবা মার মৃত্যুর ধাক্কাটা সামলায় এবং বোনের ভবিষ্যত রক্ষার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। সে সাঁতার কাটতে জানে না। হারুকাকে এই পল্লিগ্রামে সকলেই বেশ যত্নআত্তি করে, যেহেতু একদা তাদের দিদা সেখানকার একজন ডাক্তার ছিলেন। গেমে যেসকল পথ বর্ণিত করা আছে, তাতে হারুকাকে কাহিনীর বিভিন্ন নায়িকাদের সাথে রোমান্টিক ও যৌণ সম্পর্ক তৈরি করতে দেখা যায়। সোরার পথ অনুসরণ করে গেলে, সে সোরার প্রতি তার ভালোবাসা উপলদ্ধি করতে পারে এবং প্রেমিক প্রেমিকার সম্পর্কে নেমে আসে। যদিও, নাও আর কোজুয়ের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ার পরে সে সবকিছু শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু অবশেষে হারুকা ঠিক করে যে সোরার সাথে থাকাটা তার কাছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর তাই দুজনে একসাথে সেখান থেকে পালিয়ে দূরে কোথাও চলে যায়।।
সোরা কাসুগানো (春日野 穹, কাসুগানো সোরা)
কণ্ঠস্বর দিয়েছেন: হিরোকো তাগুচি (গেম ("শিরানামি" হয়ে কৃতিত্বপ্রাপ্ত), অ্যানিমে)
সোরা হচ্ছে শান্ত, দূর্বল ও একজন একাকী মেয়ে এবং মূল চরিত্রের ভ্রাতৃত্বসুলভ যমজ বোন। জন্ম থেকেই দূর্বল সোরা তার জীবনের স্বাধীনতাটা কোনোদিনও পেতে চায়নি। তবুও তার পরী সমতুল্য সৌন্দর্যের মধ্যেও এক কষ্টকর ব্যক্তিত্ব লুকিয়ে রয়েছে। সে নিজের হৃদয়ের অনুভূতিগুলিকে অপসারণ করার চেষ্টা করে, মানসিক ও শারীরিকভাবে অলস থাকতে চায় এবং সমাজের প্রতি মাধুর্যহীন ওঠে। সে নিজের বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেটে কাটায় এবং ক্রিস্প ও ইনস্ট্যান্ট খাবার খেয়ে থাকে, যতক্ষণ হারুকা তার সাথে রয়েছে। করুণভাবে নিজের বাবা মাকে হারানোর পর ভাইয়ের সাথে তার সম্পর্ক আরো বেশি দৃঢ় হয়ে ওঠে, যার ফলে সে অজাচারি হওয়ার কল্পনা করতে থাকে। সোরা এমনকি তার ভাইকে নিজের বশেও আনার চেষ্টা করে অথবা অন্ততপক্ষে তার সাথে আরো বেশি সময় কাটাতে বাধ্য করায়। সে নাওকে প্রচণ্ড ঘৃনা করে, যদিও একসময় তারা বেশ ভালো বন্ধু ছিল। প্রায়শই তাকে একটি খরগোশ পুতুলকে জড়িয়ে ধরে থাকতে দেখা যায়। এই পুতুলটি তার মা মারা যাওয়ার আগে তাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিল। ফলে তার এই আচরণকে অনেকে শিশুসুলভ বলে মনে করে। পরবর্তী অংশ "হারুকা না সোরা"-তে সে আর হারুকা কোনরকমে বিয়ে করে নেয় এবং তাদের সাথে তাদের সন্তানও উপস্থিত থাকে।।
নাও ইয়োরীহিমে (依媛 奈緒, ইয়োরীহিমে নাও)
কণ্ঠস্বর দিয়েছেন: ইউকা ইনোকুচি (গেম ("আয়াকা কিমুরা" হয়ে কৃতিত্বপ্রাপ্ত), অ্যানিমে)
সুন্দরী, বুদ্ধিমান এবং দুর্দান্ত সাঁতারু নাও, হারুকার প্রতিবেশী হয় এবং সে তার ছোটবেলাকার বন্ধুও, হারুকার চেয়ে এক বছরের বড়। শেষবার যখন কাসুগানো যমজেরা গ্রামে এসেছিল, তাদের প্রত্যাগমন বিশেষভাবে নাওকে কষ্ট দিয়েছিল। সে হারুকাকে খুবই পছন্দ করত, এমনকি একদিন তাকে হঠাৎ যৌণ নির্যাতনও করে ফেলেছিল, এই বিষয়ে যদিও সে পরে নিজের দোষ প্রকাশ করে। তারা আবার গ্রামে ফিরে এলে নাও নিজের পুরনো বন্ধুত্ব পুনরুদ্দীপ্ত করে। তার সমবেদনা এবং পরিপক্কতা অন্যদের প্রতি তার বোনের সমান ভালোবাসাকে ফুটিয়ে তোলে। যদিও হারুকার প্রতি তার আরো গভীর ও অন্তরঙ্গ অনুভূতি লুকিয়ে রয়েছে। দুই যমজের ভালোবাসার কথা জানতে পেরে সে হারুকার সাথে নিজের সম্পর্ক পরিত্যাগ করে। এই যমজদের গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সে খুবই উদাস ও দুঃখিত হয়ে পড়ে।।
আকিরা আমাতসুমে (天女目 瑛, আমাতসুমে আকিরা)
কণ্ঠস্বর দিয়েছেন: মানা সুকিশীরো (গেম), কায়ো সাকাতা (অ্যানিমে)
আকিরা হচ্ছে হারুকার অনলস সহপাঠিনী, যার নিষ্পাপ চরিত্রের মধ্যে আরেকটি ব্যক্তিত্বের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়। তার উৎসাহ আশেপাশের সকলকে প্রভাবিত করে। শিশু অবস্থায় সে অনাথ হয়েছিল এবং শিনতো মন্দিরের রক্ষক তাকে তার ঠাকুরদার মতো লালন পালন করে এসেছে, যেহেতু তার কোনো দূরসম্পর্কের আত্মীয়ই তাকে দেখাশোনা করবার দায়িত্ব নিয়ে চায়নি। শুধুমাত্র এক কিশোরী হওয়া সত্বেও, আকিরা তার ঠাকুরদার মৃত্যুর পরে এই মন্দিরের একমাত্র মিকো এবং রক্ষক হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। সে তার বেশিরভাগ সময় নিজের অভ্যাস ও ঐতিহ্য অনুশীলন করে কাটিয়ে দেয়, যাতে প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠান এবং ছুটির উৎসবগুলিতে সে সবকিছু বেশ ভালোভাবে সম্পাদনা করতে পারে। এছাড়াও সে গ্রামের প্রবীণদের সাহায্যে নিজের সময় ব্যয় করতে পছন্দ করে, ফলে সকলেই তাকে খুব ভালোবাসে। কাহিনীতে খুব দৃঢ়ভাবে ঊহ্য করা আছে যে সে কাজুহার বাবার জারজ সন্তান।।
কাজুহা মিগিওয়া (渚 一葉, মিগিওয়া কাজুহা)
কণ্ঠস্বর দিয়েছেন: রিয়োকো ওনো (গেম ("নাজুনা গোগীয়" হয়ে কৃতিত্বপ্রাপ্ত), অ্যানিমে)
হারুকার সহপাঠিনী এবং একজন প্রভাবশালী ধনী ব্যক্তির সুন্দরী মেয়ে, কাজুহা একটি আধুনিক রাজকন্যার মতো জীবনযাপন করে এসেছে। বাবা মার অনবরত ঘরের বাইরে যাত্রা আর দূরে থাকার ফল হিসেবে সে অত্যন্ত তীক্ষ্ণবুদ্ধি সম্পন্ন ও সবকিছুতেই বেশ মনোযোগী। ছোটবেলা থেকেই সে তার সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী সকল কর্তব্য পালনে কোনো ত্রুটি রাখেনি। তবুও, কাজুহা নিজেকে কখনো অপরের থেকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করে না, সে সকলকেই সর্বদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। কাজুহা একজন অভিজ্ঞ ভায়োলাবাদক, অথচ সে এটি কোনো প্রতিযোগিতায় বাজাতে প্রচণ্ড লজ্জাবোধ করে। যাদেরকে সে সতিই খুব যত্ন করে, কেবলমাত্র তাদের জন্যেই কাজুহা ভায়োলা বাজায়। সে আকিরাকে প্রচণ্ড পছন্দ করে এবং তাকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করে, ফলে এমন জল্পনা করাও দর্শকদের জন্যে স্বাভাবিক যে তারা দুজনে প্রেমবন্ধনে জড়িয়েও থাকতে পারে। আকিরাকে সে নিজের বোন বলে সম্বোধন করলে বোঝা যায় যে তারা দুজনে আসলে পরস্পরের অর্ধেক-বোন। কাজুহার এইরকম অতিরিক্ত চিন্তাভাবনার প্রভাবে তার মনের ইচ্ছা আরো দৃঢ় রূপ ধারণ করে। আকিরার অস্তিত্বে অমান্যকারী মাকে এবং আকিরারকে অবহেলায় ফেলে দেওয়া বাবাকে মানিয়ে নিতে সে তৎপর হয়ে ওঠে।।

পার্শ্ব

[সম্পাদনা]
কোজুয়ে কুরানাগা (倉永 梢, কুরানাগা কোজুয়ে)
কণ্ঠস্বর দিয়েছেন: ইউকারি মিনেগিশি(গেম ("আইরি হিমেকাওয়া" হয়ে কৃতিত্বপ্রাপ্ত), অ্যানিমে)
হারুকাদের ক্লাসের প্রতিনিধি হচ্ছে কোজুয়ে, তাকে প্রায়শই "ক্লাস রেপ" বলে ডাকা হয়। প্রথম দেখাতেই হারুকার নম্র স্বভাব ও চেহারায় মুগ্ধ হয়ে সে তার প্রেমে পড়ে যায়। অনেকেই তাকে একজন লাজুক মেয়ে বলে মনে করে, যদিও সে আসলে প্রচণ্ড গম্ভীর এবং ভদ্র একজন। লজ্জা ও দায়বদ্ধতার আড়ালে তার একটি "মোহময়" জগৎ আছে, যেখানে সে হারুকার সাথে এক রোমান্টিক সম্পর্কে থাকার কল্পনায় ডুবে থাকে। সোরার কাহিনীকালে, সেই পরবর্তীকালে এই দুইজন যমজকে যৌণ সহবাস করতে খুঁজে পায় এবং হারুকার প্রতি তার অনুভূতি থেকে থাকার কারনে এই সম্পর্ককে সে মেনে নিতে পারে না। অন্তিম পর্বের শেষে সে নাওকে প্রশ্ন করে, ভালোবাসায় কি শুধুমাত্র অনুভুতিই সব। হারুকা নো সোরা-তে সে তার নিজস্ব পথের মূল কেন্দ্রীয় চরিত্র।।
ইয়াহিরো ইফুকুবে (伊福部 やひろ, ইফুকুবে ইয়াহিরো)
কণ্ঠস্বর দিয়েছেন: রিয়োকো তানাকা (গেম ("হীকারু ইসশিকি" হয়ে কৃতিত্বপ্রাপ্ত), অ্যানিমে)
মোতোকা নোগিসাকার সবথেকে কাছের বান্ধবী এবং পরিবারের মালিকাধীন একটি ক্যান্ডি দোকানের অধিপতি, দুরন্ত ইয়াহিরো তার সময় শুধুমাত্র ঘুমানো আর খাওয়ার মধ্যে কাটাতে চায়। তার এই তিক্ত এবং খারাপ মেজাজ আসলে তার প্রকৃত ব্যক্তিত্বকে আড়ালে রাখে: একজন মহিলা যার অতীত হারানো স্বপ্ন, ভুলে যাওয়া প্রতিশ্রুতি এবং বিদীর্ণ প্রেমে বিক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে। সে আকিরার বাবা মার সমান, যেহেতু তার সযত্নশীল ঠাকুরদা মারা গেছে এবং কোনো আত্মীয়ই তাকে নিতে চায় না, ইয়াহিরো তার সমস্ত খেয়াল রাখে। আকিরা এবং কাজুহার মধ্যে কি সমস্যা আছে, তা জানতে হারুকা ইয়াহিরোকে সবকিছু বলতে রাজী করায়। অন্যদের চরিত্রের সম্পর্কে অজানা, আকিরার বাবা তাকে আর্থিকভাবে সকল সাহায্য করে আসছে যেহেতু ইয়াহিরো শহরে কাজ করে জমানো টাকা এবং ক্যান্ডি দোকান থেকে উপার্জিত অল্প টাকা দিয়েই আকিরার পড়াশোনা ও অন্যান্য জিনিসের প্রয়োজন মেটায়। হারুকা না সোরা-তে ইয়াহিরোর পথে, তাকে তার সুনদেরে রূপে আরো বেশি মিষ্টি দেখায়।।
মোতোকা নোগিসাকা (乃木坂 初佳, নোগিসাকা মোতোকা)
কণ্ঠস্বর দিয়েছেন: তায় ওকাজিমা (গেম ("সোয়োগি তোনো" হয়ে কৃতিত্বপ্রাপ্ত), অ্যানিমে)
মোটোকা মিগিওয়া হাউসহোল্ডে কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করছেন, দুই বছর আগে জুনিয়র কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন।। বাড়ির কাজের জন্যে আদর্শ না হলেও, তার মিষ্টি সমবেদনা এবং মনোহরী ব্যক্তিত্ব সেইসকল ঘাটতিগুলি পূর্ন করে দেয়। ইফুকুবে ইয়াহিরোর খুব ভালো বন্ধু হলো মোতোকা, যে একজন কুখ্যাত সাংঘাতিক মদ্যপানকারী। ফলে মোতোকা যেহেতু অ্যালকোহল বেশি সহ্য করতে পারে না এবং নিজের প্রতি তার একটি আলাদাই বিশেষ স্বাদ আছে, তাই সেটা তার একটি বিপজ্জনক সামাজিক সমস্যার আকার ধারণ করে। তাকে এই অ্যানিমের ওমাকে বোনাস ফিচারে স্টার চরিত্র হিসেবে দেখা যায়, যেখানে সে অন্যন্য চরিত্রের উপর আকর্ষণকারী প্রভাব ফেলে দর্শকদের বিনোদন করে, এবং এমনকি সে হারুকার প্রেমেও পড়ে যায়, যদিও হারুকা তার থেকে অনেকটাই ছোটো হয়।।
রিয়োহেই নাকাজাতো (中里 亮平, নাকাজাতো রিয়োহেই)
কণ্ঠস্বর দিয়েছেন: সাই উশিরোনো (গেম), তাকুরোও নাকাকুনী (অ্যানিমে)
হারুকার খামখেয়ালী সহপাঠী রিয়োহেই হচ্ছে এমন একজন ব্যক্তি, যাকে তার পাগলামির পরেও সম্পূর্নরূপে সবকিছুতে বিশ্বাস করা যাবে। অমনোযোগী এবং চঞ্চল রিয়োহেই নিজেকে মহিলাদের পরম পুরুষ বলে মনে করে, সুন্দরী মুখ দেখলেই সে অদ্ভুত প্রলাপ দিতে শুরু করে। তবুও কঠিন পরিস্থিতিতে সে সর্বদাই ভালো উপদেশ দিতে পারে। তার চোখ খুব দ্রুত সকল সমস্যার মূল কে ধরে ফেলতে সক্ষম হয়।।

উন্নয়ন

[সম্পাদনা]

কর্মকার

[সম্পাদনা]
  • অলংকরন: তাকাশি হাশিমোতো, হিরো সুজুহীরা
  • চিত্রনাট্য: ইউকিজি তাচিকাজে, সেইরী আসাকুরা
  • সঙ্গীত: ম্যানাক

মুক্তি ইতিহাস

[সম্পাদনা]

২০০৮ সালের ৫ই ডিসেম্বর, গেমটি প্রথমবার উইন্ডোজ পিসির জন্যে মুক্তি পায়।[] হারুকা না সোরা নামে একটি সিক্যুয়েল/ফ্যান ডিস্ক পরে ২০০৯ সালের ২৪শে অক্টোবর মুক্তি পায়, যেখানে কোজুয়ে আর ইয়াহিরোর সমস্ত দৃশ্যগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, মূল গেমের থেকে পাওয়া সোরার কাহিনী এখানে আরো প্রসারিত হয়েছে, এবং অধিক বোনাস সামগ্রী দিয়ে ভরপুর করা আছে।।[]

অভিযোজন

[সম্পাদনা]

অ্যানিমে

[সম্পাদনা]

১২ পর্বের অ্যানিমে সিরিজ ইয়োসুগা নো সোরা ২০১০ সালের ৪ঠা অক্টোবর থেকে সম্প্রচারিত হওয়া শুরু করে। প্রত্যেকটি পর্বের ২২ মিনিটে থাকে মূল কাহিনীর অংশ আর বাকি ৩ মিনিটে থাকে ওমাকে অংশ। কাহিনীর মূল প্রেক্ষাপটে একাধিক-খন্ডের শাখাবিন্যাস দেখা যায়। এখানে মুক্তভাবে কাজুহা, আকিরা, নাও আর সোরার গল্প আলাদা আলাদা ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, অর্থাৎ প্রত্যেকটি গল্পের নির্দিষ্ট পর্ব নির্ধারিত রয়েছে। প্রত্যেক পর্বের শিরোনাম যে চরিত্রকে কেন্দ্র করে বানানো হয়েছে, সেটা প্রকাশ করে। সিরিজের বিশেষ বোনাস অংশে রয়েছে মোতোকার গল্প, এখানে ব্যাপকভাবে ব্যঙ্গকৌতুক ও সুপার ডিফর্ম চরিত্র নকশার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এইরকম প্রত্যেক পর্বের প্রত্যেক অংশের শেষে তাদের নিজস্ব এন্ডিং কৃতিত্বও দেওয়া আছে। অ্যানিমেটির ওপেনিং থিম হলো ইউফোনিয়াস-এর গাওয়া "হিয়োকু নো হানে"-(比翼の羽根) এবং শেষের দুটি এন্ডিং থিম হলো যথাক্রমে নেকোক্যান ফিট. জুনকা আমাওতো-র "সুনাগুকিজুনা"-(ツナグキズナ) আর মোমোইরো কভার্স-এর "পিংকি জোনস"-(ピンキー・ジョーンズ)।

সিরিজের প্রথম খণ্ডটি ডিভিডিব্লু-রে ডিস্ক আকারে কিং রেকর্ডস কর্তৃক ২০১০ সালের ২২শে ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল এবং শেষের চতুর্থ খণ্ডটি এক লিমিটেড এডিশন ব্লু-রে ডিস্কে ও সোরা কাসুগানোর খেলনা পুতুল স্ট্র্যাপ সমেত ২০১১ সালের ২৬শে মার্চ মুক্তি পেয়েছিল।[]

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ সালে সিরিজটি আমেরিকার তোকু চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়েছিল।।

পর্ব তালিকা

[সম্পাদনা]
পর্ব. ১
পর্ব. ২পর্ব. ৭
পর্ব. ৩পর্ব. ৫পর্ব. ৮পর্ব. ১০
পর্ব. ৪পর্ব. ৬পর্ব. ৯পর্ব. ১১
পর্ব. ১২
কাজুহাআকিরানাওসোরা

(ব্র্যাকেটের মধ্যে প্রত্যেক খন্ডের পর্ব সংখ্যা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেমন (A3) হলো আকিরা খন্ডের তৃতীয় পর্ব। প্রতীক: A-আকিরা, K কাজুহা, N-নাও, S-সোরা।)

যে অনুক্রুমে প্রত্যেক খন্ডের পর্বগুলি উপস্থাপিত করা হয়েছে, সেটি হলো: K:১-৪; A:১-২,৫-৬; N:১,৭-৯; S:১,৭,১০-১২। মোতোকার বাড়তি খন্ডের পর্বগুলি এই সবকটি মূল পর্বের শেষে দেখানো হয়েছে।
নং শিরোনাম আসল সম্প্রচারণকাল
১ (AKNS১)"দূরের স্মৃতি"
"হারুকা না কিয়োকু" (ハルカナキオク)
৪ অক্টোবর ২০১০ (2010-10-04)
মা বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর হারুকা আর তার যমজ বোন সোরা একসাথে মিলে তাদের গত পিতামহের বাড়িতে এসে ওঠে, যেটি একটি ছোট্ট গ্রামের মধ্যে অবস্থিত, ছোটবেলায় তারা দুজনে প্রায়ই এখানে আসতো। সেখানে এসে তাদের কিছু পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলাপ হয়, যাদের মধ্যে কয়েকজন বেশ পুরনো বন্ধুও ছিল। হারুকা নতুন স্কুল যাওয়া শুরু করলেও, সোরা কিন্তু জোর করে বাড়িতেই থেকে যায়। হারুকা তার কাছ থেকে ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে -এটা বুঝতে পেরে এক রাত্রে সোরা তার ঘরে আসে এবং নিজের জামাকাপড় ছাড়তে ছাড়তে তার কাছে আবেদন জানায়...
২ (AK২)"লজ্জায় আকিরা"
"আকিরা হাজুকাশি" (アキラハズカシ)
১১ অক্টোবর ২০১০ (2010-10-11)
স্কুলের জন্যে ইউনিফর্ম তৈরি করতে সোরা হারুকাকে তার দেহের মাপ নিতে বলে। সোরা অবশেষে স্কুলে যাওয়া শুরু করে, যদিও সে এটা জানতে পেরে বেশ নিরাশ হয়ে যায় যে হারুকা আর তার ক্লাস আলাদা। যৌথ জিমের সুইমিং পুল পরিষ্কার করার সময় আকিরা কাজুহাকে ভিজিয়ে দেয়, যে সেদিন তার সুইমসুট আনতেই ভুলে গিয়েছিল। কাজেই আকিরা তার কাপড় শুকাতে, তাকে সেখান থেকে নিয়ে যায়। হারুকা কাজুহার ফেলে যাওয়া ফোন খুঁজে পায় ও সেটা ফেরত দিতে গেলে শুধুমাত্র এক প্রস্থ কামুক কথাবার্তার সাক্ষী হয়ে পড়ে, যেখানে কাজুহা আকিরাকে দিদি বলে সম্বোধন করে।।
৩ (K৩)"সিদ্ধান্তহীন"
"সুকাজু হানারেজু" (ツカズハナレズ)
১৮ অক্টোবর ২০১০ (2010-10-18)
যখন কাজুহা বুঝতে পারে যে হারুকা তাদের সমস্ত কথাবার্তা শুনে ফেলেছে, সে তাকে ধরতে চলে যায়, যাতে তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়। সে প্রকাশ করে যে আকিরা হলো তার জারজ বোন, অন্য মায়ের থেকে জন্মপ্রাপ্ত। পরিবারের সামাজিক অবস্থানের জন্যে কাজুহার বাবা তাকে তার সন্তান হিসেবে মেনে না নেওয়ায় বাবার প্রতি বিরক্ত হয়ে সে সর্বদা-কর্মঠ-আকিরার প্রতি অপরাধবোধ ও দায়িত্ব গ্রহণ করে। কাজুহার মন ভালো করতে হারুকা তাকে একটি ডেটে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীকালে দুজনেই পরস্পরের প্রতি ক্রমশ বাড়তে থাকা অনুভূতিগুলি উপলদ্ধি ও স্বীকার করে। এদিকে দেখা যায়, কাজে ক্লান্ত হয়ে আকিরা অবসন্ন হয়ে পড়ে।।
৪ (K৪)"হারুকার হৃদয়"
"হারুকাজু হাতো" (ハルカズハート)
২৫ অক্টোবর ২০১০ (2010-10-25)
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় প্রায় পাগল হয়ে যাওয়া ইয়াহিরো হারুকা আর কাজুহাকে রাস্তায় আটকে আকিরার হঠাৎ অনুপস্থিতির কারন জিজ্ঞাসা করে। এরপর তারা আবিস্কার করে যে বেশি কাজ করার ফলে আকিরা তার বাড়িতে অসুস্থ রয়েছে। কাজুহা এর কারন হিসেবে নিজেকে আর হারুকার প্রতি তার গড়ে ওঠা মোহকে দোষারোপ করে। কিছুদিন পর আকিরা পুনরায় সুস্থ হয়ে যায়। হারুকাকে পরিত্যাগ ও তাদের বাবার প্রতি অনুপযুক্ত অপরাধবোধ করার জন্যে সে কাজুহার সম্মুখীন হয়। অকিরার কথা শুনে সমস্ত সত্য উপলদ্ধি করার পর সে বিষণ্ণতার শিকার হয়ে পড়ে। উৎসবের দিন চলে আসে, এবং কাজুহা হারুকার সাথে পুনর্মিলন করার সাহস যুগিয়ে নেয়। হারুকা তাকে জানায় যে গোপনে তার বাবা আসলে আকিরাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে আসছে এবং যখন কাজুহা তার বাবাকে আকিরার প্রসংশা করতে দেখতে পায়, বাবার প্রতি ভেবে থাকা সমস্ত ভুল কাজুহার কাছে ভেঙ্গে যায়। অবশেষে, আকিরার জন্যে কাজুহা তার অতিরিক্ত মায়া-মমতাকে কাটিয়ে হারুকার সাথে হৃদয়পূর্ন সম্পর্ক তৈরি করা শুরু করে দেয়।।
৫ (A৩)"অনাবৃত অন্ধকার"
"ইয়ামি আকিরাকা নি" (ヤミアキラカニ)
১ নভেম্বর ২০১০ (2010-11-01)
এই পর্বের শুরুতে পূর্ববর্তী ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়, অর্থাৎ যখন হারুকা মেয়েদের লকার রুমের কাছে দাঁড়িয়ে কাজুহা আর আকিরার কথাবার্তা শুনছিল, এই সময় তখন আকিরা রুম থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে হারুকার কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে নেয়। এর ফলে গল্পটির এক বিকল্প সমাপ্তির ঘটে। হারুকা বুঝতে পারে যে আকিরা কেমন অদ্ভুত আচরণ করছে, তাই সে পরের দিন সকালে তার সাথে একা একা কথা বলার সিদ্ধান্ত নেয়। সে আকিরা মুখে দুঃখের ছায়া দেখতে পায় ও তার জন্যে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। হারুকা তাকে তার হারানো মায়ের পেন্ডেন্টটি খুঁজতে সাহায্য করার জন্যে হাত বাড়িয়ে দেয় (ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়ার কথা মনে পড়ার পর)। পেন্ডেন্টের সন্ধানে তারা একটি গাছের খোঁজ করতে থাকে যেখানে তারা ছোটবেলায় একসাথে খেলা করতো, কিন্তু হারুকা দেখতে পায় যে সেই গাছটি ধ্বসে পড়ে অপসারিত হয়ে গেছে। কোনো ভাগ্য ছাড়াই সে খোঁড়াখুঁড়ি করতে থাকে পেন্ডেন্টের আশায়। দুজনে মিলে আকিরার বাড়িতে যায় স্নান করে নিতে, এবং তখন সেখানে গিয়ে তারা একসাথে এক রোমান্টিক সময় অতিবাহিত করে। এবার এখান থেকে হারুকা উৎসবে যায় এবং পবিত্র নৃত্যের সময় আকিরাকে কাঁদতে দেখে ছুটে চলে আসে কি হয়েছে জানতে।।
৬ (A৪)"আমি হাল ছেড়ে দেবো না"
"আকিরামেনাই ইয়ো" (アキラメナイヨ)
৮ নভেম্বর ২০১০ (2010-11-08)
হারুকা আকিরার ঘরে প্রবেশ করে এবং একটি ডাক্তারের জার্নাল আগুনে পড়ানোর থেকে তাকে আটকায়, যেখানে লেখা ছিল যে আকিরা আর কাজুহার ভুল পরিচয় থেকে থাকতে পারে। জার্নালের সাথে হারুকা সমস্তকিছু একেবারে প্রমাণ করার জন্যে ইয়াহিরো ও কাজুহাকে একটি ডিএনএ টেস্ট করতে বলে। ইয়াহিরো তা মেনে নেয় না, কিন্তু মায়ের আপত্তি থাকা সত্বেও কাজুহা এই টেস্টটি করায়। পরদিন হারুকা আকিরাকে জানায় যে এই ডিএনএ টেস্টের ফলাফল আর পাঁচ দিনের মধ্যেই চলে আসবে, কিন্তু পঞ্চম দিনে আকিরা হঠাৎ গায়েব হয়ে যায়। হারুকা তাকে ট্রেন স্টেশনে খুঁজে পায় এবং সেখানে তারা সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত একে অপরের সাথে কথা বলে। পরে রাত্রে কাজুহা আর সোরা স্টেশনে আসে টেস্টের ফলাফলপত্র দিতে, কিন্তু আকিরা সেটা পড়তে ভয় পেতে থাকে। সেই সময় কাজুহার মা সেখানে চলে আসে এবং সবাইকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সবকিছু প্রকাশ করে। তিনি আকিরাকে তার হারানো পেন্ডেন্টটি ফিরিয়ে দেয়, যেটা সৌভাগ্যক্রমে একজন পাহাড়ে খুঁজে পেয়েছিল এবং পেছনে খোদাই করা নাম দেখে তার কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি বলেন যে আকিরার মা আর তিনি নিজে একই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, আর একদিন মিস মীগিওয়ার কোলে থাকার সময় আকিরা তার কাছে থেকে এই পেন্ডেন্টটি খুলে নেয়। আকিরার মা মারা যাওয়ার পর, তিনি তাকে এই পেন্ডেন্টটি রাখতে দেন যাতে অন্তত সেটি আকিরার জন্যে তার মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতে পারে। আকিরা এরপর ডিএনএ ফলাফল পত্রটি পড়ে জানতে পারে সেটি নেগেটিভ, অর্থাৎ আকিরা আলাদা মায়ের থেকে জন্মগ্রহণ করেছে। কাজুহার মা তাকে এই পেন্ডেন্টটি রাখতে দেয় এবং তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়। আকিরা এরপর হারুকাকে ভালোবেসে থাকার কথা স্বীকার করে।।
৭ (NS২)"অপরাধী কুমারী"
"সুমি না ওতোমেরা" (ツミナオトメラ)
১৫ নভেম্বর ২০১০ (2010-11-15)
এই পর্বটি শুরু হয় সোরার স্কুল ইউনিফর্ম বানানোর জন্যে মাপ নেওয়ার ঘটনা থেকে। পরদিন সকালে নাও হারুকাকে কিছু মশা বিতারক দিতে আসে কারন সোরা মশাকে প্রচণ্ড ভয় পায়, এবং দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাও সেখান থেকে চলে যায়। পরের দিন রিয়োহেই হারুকাকে ছাদে ডেকে নিয়ে আসে, পুল পরিষ্কার করা মেয়েদের ঘাপটি মেরে দেখবার জন্যে। হারুকা তাকে নাওকে দেখতে বারণ করে ও সে সেখান থেকে প্রস্থান নেয়। বেশ কিছুপরে রিয়োহেই আবার নাওকে জানায় যে তার "রাজকুমার" অবশেষে তাকে ভালবাসতে লেগেছে, কিন্তু নাও মনে করে যে হারুকা এখনো তাকে পছন্দ করে না। সত্যিটা হলো যে তাদের দুজনের মধ্যে বহু গ্রীষ্মকাল আগে এক ঘটনা ঘটেছিল: বাবা মার ঝগড়া থেকে পালিয়ে নাও হারুকার বাড়িতে আসে। সেইসময় হারুকা স্রেফ বারান্দায় ঘুমোচ্ছিল, কিন্তু তার চোখ সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় ও সে দেখে যে তার ওপর বস্ত্রহীন নাও বসে রয়েছে। এতক্ষণ পর্যন্ত নাও তার খারাপ কাজের জন্যে অপরাধবোধ করেছে ঠিকই, যদিও এখন এদিকে রিয়োহেই, কাজুহা আর আকিরা তাদের দুজনকে এক করার ছক কাটতে শুরু করে দিয়েছে। রবিবারে তারা এই দুজনকে স্কুলের পুলে দেখা করা করায়। সাঁতার শেখার পর দুজনে যখন কাপড় পরিবর্তন করছিল, তখন নাও এক বাক্সের ভিতর কালো বিড়াল দেখে ভয় পাওয়ায় হারুকা মেয়েদের লকার রুমে ছুটে চলে আসে। স্কুল তদারক তাদের কথাবার্তা শুনতে পায় কিন্তু তারা দুজনে ধরা পড়ে যাওয়ার আগেই সেই বাক্সে লুকিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বিড়াল মনে করে সে সেখান থেকে কোনো সন্দেহ না করে চলে যায়। নাও-এর সমস্ত ভ্রান্তিকর ধ্যানধারনার নিষ্পত্তি হয়, যখন সে জানতে পারে যে হারুকা আসলে তাকে ঘৃনা করে না, সে শুধুমাত্র সেই গ্রীষ্মের দিনের ঘটনার জন্যে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিল। এদিকে সোরা নাও-এর প্রতি ঘৃনা দেখাতে শুরু করে কারন সে অনুমান করে যে এই কিছুদিনে হারুকার ব্যস্ত থাকাটা একমাত্র তার দোষ।।
৮ (N৩)"অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশ"
"নাও কুরাকি সোরা" (ナオクラキソラ)
২২ নভেম্বর ২০১০ (2010-11-22)
এতক্ষনে সোরা তার ঘৃনা নাও আর রিয়োহেই-এর একদম সামনেই দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। এক বিকেলে, সোরা রান্নাঘরের কারির গন্ধে আকর্ষিত হয়ে বসার ঘরে এলে হারুকা আর নাওকে যৌণসঙ্গম করতে ধরে ফেলে। সোরা নাওকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং সতর্ক করে দেয় হারুকাকে পুনরায় কখনো না দেখতে, কারন এটা নিয়ে সে দ্বিতীয়বার তাদের দুজনকে এইরকম "অপর্কম" করতে পাকড়াও করেছে। সে এরপর কারিটি ছুঁড়ে ফেলে দেয়, যেহেতু সে শুধুমাত্র হারুকার তৈরি খাবারই খেতে পছন্দ করে। নাও খুবই ভেঙ্গে পড়ে এবং যদিও সে হারুকার সাথে দেখা করতে চায়, সোরার ভয়ে সে কাছাকাছি আসতে পারে না। এদিকে কিন্তু হারুকার মনে বেশ আশা রয়েছে যে সোরা একদিন নিশ্চই তাদের দুজনকে ক্ষমা করে মেনে নেবে, কারন সে রিয়োহেই-এর থেকে শুনেছে যে নাও এখন পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে গেছে, সে তার প্রফুল্ল, যত্নশীল, আর নরম মনের ব্যক্তিত্বে ফিরে এসেছে। হারুকা আর নাও-এর একসাথে থাকার ওপর সোরার নজরদারী একটু কমে, কিন্তু সে তাও বাঁধা দেওয়া থামায় না, এবং নিজেকে এই দুজনের থেকে দূরে দূরে রাখে। এইকারনে সে হারুকা আর নাও-এর সাথে বার্ষিক গ্রীষ্মের ট্রিপে যায় না।।
৯ (N৪)"দূরবর্তী অনুভূতি"
"হারুকা না ওমোই" (ハルカナオモイ)
২৯ নভেম্বর ২০১০ (2010-11-29)
সোরা ঠিক করে যে সে বিচে সবাইকে অনুসরণ করবে, কিন্তু বাস থেকে নামার পরেই সে জানতে পারে একজন যুবককে অজ্ঞান অবস্থায় ভাসতে দেখা গেছে। সোরা ব্যাপারটা দেখতে গেলে খুঁজে পায় যে এই যুবকটা আসলে হারুকা। যদিও, নাও সময় নষ্ট না করে তার মুখে মুখ দিয়ে শ্বাস দিতে থাকে। এই ঘটনার ফলে সোরা নিজেকে আরো বেশি নিরাপত্তাহীন মনে করতে থাকে এবং হারুকাকে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে বাঁধা দেওয়া শুরু করে। একদিন সোরা হারুকাকে তার আর নাও-এর মধ্যে যেকোনো একজনকে বেঁছে নিতে বলে, কিন্তু হারুকা তা বিশেষ পাত্তা না দিয়েই নাও-এর সাথে স্কুল চলে যায়। এইদিন বিকেলে, সোরার থেকে একটা মেসেজ পাওয়ার পর তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না, যেই মেসেজে লেখা ছিল "চলো, এই জায়গা ছেড়ে চলে যাই"। প্রত্যেকে সোরার জন্যে চতুর্দিকে তল্লাশি চালায়, কিন্তু বৃষ্টির মাঝখানে নাও অবশেষে সোরাকে একটি বাস স্ট্যান্ডের ভেতর খুঁজে পায়। না ফিরতে চেয়ে, সে বাস স্ট্যান্ড থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যায় এবং হারুকার হাবভাব পরিবর্তনের জন্যে রাগে নাওকে দোষারোপ করে। হঠাৎ এই বাস স্টপের ওপর একটি বাজ পড়ে এবং সবকিছু আগুনে জ্বলতে শুরু করে। সোরার মনে পড়ে যে তার খেলনা পুতুল এখনো সেই বাস স্টপের ভেতরেই পড়ে রয়েছে। নাও ছুটে গিয়ে সোরার মৃত মায়ের একমাত্র স্মৃতি ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করে, যদিও সে নিজেই প্রায় আগুনে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। পুতুলটা ফিরে এলে সোরা নাওকে তার হারুকাকে নিয়ে সমস্ত দুশ্চিন্তার ব্যাপারে বলে। পরের রাত্রে, সোরা মন্দিরের গ্রীষ্ম উৎসবে সকলের সাথে আনন্দ করে এবং এইসময় সে নাওকে ভালোভাবে হারুকার সাথে মেনে নেয়।।
১০ (S৩)"পাখির মিথ্যা কান্নার জন্যে"
"তোরী নো সোরানে ওয়া" (トリノソラネハ)
৬ ডিসেম্বর ২০১০ (2010-12-06)
এই পর্ব শুরু হয় পুনরায় যখন হারুকা তার আর নাও-এর সম্পর্কে সোরার সাথে কথা বলছে, কিন্তু এইবারে দেখা যায় যে সোরা সম্প্রতি নাওকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না এবং হারুকাকে জ্বালাতন করে চলেছে। হারুকা নাও-এর সাথে একটা ডেটে যাবার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু সোরাকে এইব্যাপারে মিথ্যা কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোয়। ডেট চলাকালীন, নাও লক্ষ্য করে যে সোরা হারুকার মন থেকে একটুও দূরে যায়নি, হারুকা তার থেকে বেশি সোরার জন্যে জিনিসপত্র কিনতে লেগেছিল, এবং তার ফলে ডেটটা ক্রমশ নষ্ট হয়ে যায়। বাড়ি ফিরে তারা ক্রকেট কারি তৈরি করার কথা ভেবে রেখেছিল, কিন্তু খারাপ স্বপ্নের ফলে সোরার শরীর ভালো না থাকায় হারুকা এই পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়। পরদিন নাও দেখতে পায় যে হারুকা তাদের ডেটটা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করতে করতে সোরার সাথে রাস্তায় চলছে।এক রাত্রে, হারুকা সোরাকে তার ঘরে হস্তমৈথুন করতে ধরে ফেলে, কিন্তু তার অজান্তেই— সোরা প্রেমমুগ্ধ হয়ে রয়েছে হারুকার জন্যে, কেননা ছোটবেলায় এক গ্রীষ্মের দিনে খেলার সময় সে সোরাকে চুম্বন করেছিল।।
১১ (S৪)"অনিশ্চিত জুটি"
"সোরামেকু ফুতারি" (ソラメクフタリ)
১৩ ডিসেম্বর ২০১০ (2010-12-13)
হারুকা নাও-এর সাথে আরো একটি ডেটে যায়, কিন্তু নিজের মন থেকে সেইদিন রাত্রে সোরার হস্তমৈথুনের দৃশ্য কিছুতেই মুছে ফেলতে পারেনা। ফলে হারুকা আর সহ্য করতে না পেরে নাওকে নিয়ে একটি লাভ হোটেলে চলে আসে, কিন্তু নাও তার কর্মকান্ড প্রত্যাখ্যিত করে জিজ্ঞাসা করে যে সে সতিই তাকে ভালোবাসে কিনা। হারুকা উত্তর দিতে পারে না, ও বাড়ি ফিরে আসে। এর কিছুপরেই সোরার জ্বর আসে এবং হারুকা বাড়িতে থেকে তার খেয়াল রাখা শুরু করে। সন্ধ্যাবেলায়, সোরার শরীর ঠিক হয়ে এলে, সে হারুকার কাছে তার ভালোবাসা স্বীকার করে আর তারা দুজনে এক নতুন সম্পর্কের শুরু করে। প্রত্যেকে এই বিষয় লক্ষ্য করতে লাগলো, বিশেষ করে নাও আর কোজুয়ে, এই দুই যমজকে একে অপরের সাথে বেশি বেশি সময় অতিবাহিত করতে দেখলো। এক বিকেলে নাও আর কোজুয়ে যখন কাসুগানোদের বাড়িতে এলো, তারা এই দুই যমজকে যৌণসঙ্গমের মাঝখানে ধরে ফেললো।।
১২ (S৫)"দূর আকাশে"
"হারুকা না সোরা" (ハルカナソラヘ)
২০ ডিসেম্বর ২০১০ (2010-12-20)
কোজুয়ে বিস্ময়ে এই দুই যমজের অশ্লীল দৃশ্য দেখে ছুটে সেখান থেকে পালিয়ে যায় আর নাও শান্তভাবেই তার প্রস্থান নেয়, কিন্তু সোরা পাত্তাও দেয় না। এই ঘটনার পর হারুকা স্কুল যেতে চায় না, তবে সোরা বলে এবিষয়ে কম ভাবতে। পরদিন কোজুয়ে হারুকাকে জানায় যে সে আর তার সাথে কোনোদিন কথা বলবে না এবং ক্ষমা চাওয়ার পর নাও তার সাথে নির্দ্বিধায় সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দেয়। রাত্রে সোরার সাথে তার ঝগড়া হয় ও অসাবধানতাবশত সোরার গায়ে হাত তুলে ফেলে সে। সমস্যা আরো জটিল হয়ে যায় যখন তারা জানতে পারে যে তাদের বাবা মা তাদের জন্যে আর টাকা রেখে যায়নি, বেঁচে থাকার জন্যে একমাত্র রাস্তা হলো অতিথিদের সাথে থেকে যাওয়া, কিন্তু তা করলে এই দুজন আলাদা আলাদা জায়গায় বসবাস করবে। এক দুপুরে হারুকা উঠে দেখে যে সোরা নিখোঁজ এবং তার ঘরে সবকিছু ওলট পালট হয়ে রয়েছে। সোরার থেকে একটা "সুইসাইড নোট"-এর মতো টেক্সট পাওয়ার পর থেকে হারুকা তার খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। নাও তাকে সর্বত্র খুঁজতে সাহায্য করে, এবং সোরার সাথে তার সাক্ষাৎ হওয়ার বৃত্তান্তটিও জানায়, যেখানে সোরা তাকে বলে যে সেই গ্রীষ্মের দিনে সে তাদের ভালোবাসা দেখতে পেয়েছে, আর "তাই এখন দুজনেই সমান"। আকিরার বলে থাকা একটি হ্রদের কথা হারুকার তখন মনে পড়ে, ও সেখানে গিয়ে সোরাকে সে জলের গভীরে যাওয়া থেকে আটকায়, কিন্তু হারুকা নিজেই প্রায় ডুবে যায়। অন্যত্র সুখের খোঁজে, তারা দুজনে দুদিন পর এই গ্রাম থেকে বিদেশের একটি শহরে রওনা দেয়, যেখানে তাদের বাবা মার চেনা একটি কারিগর বসবাস করে। কোজুয়ে সবকিছু না মেনে নিতে পারলেও, নাও বিশ্বাস করে যে তারা দুজনে সর্বদা ভালোই থাকবে।।

ড্রামা সিডি

[সম্পাদনা]

এখানে ৫টি ড্রামা সিডি রয়েছে: ২টি আসল ভিজুয়াল নভেল "ইয়োসুগা নো সোরা" কেনার সাথে মুক্তি পায়, ১টি "হারুকা না সোরা" ফ্যান ডিস্কের প্রি-অর্ডারের সাথে মুক্তি পায়, ২টি এই অ্যানিমে অভিযোজনের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ব্লু-রে খন্ডের সাথে মুক্তি পায়।।

শিরোনাম অধিভুক্ত প্রকার
"秘密のリゾート遊び" ইয়োসুগা নো সোরা (এক্সক্লুসিভ) বিক্রেতা বোনাস: সফ্টম্যাপ[]
"叉依姫神社祭り" ইয়োসুগা নো সোরা (এক্সক্লুসিভ) বিক্রেতা বোনাস: মেসসে সানোহ[]
"ソイネノソラ" ইয়োসুগা নো সোরা (এক্সক্লুসিভ) প্রি-অর্ডারিং বোনাস[]
"添い寝CD(依媛奈緒/春日野穹)" ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) ব্লু-রে বোনাস[]
"添い寝CD(渚一葉/天女目瑛)" ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) ব্লু-রে বোনাস[]

মাঙ্গা

[সম্পাদনা]

ইয়োসুগা নো সোরার একই নামানুসারে একটি মাঙ্গা অভিযোজিত হয়, যেটি কাদোকাওয়া শোতেন-এর কম্প এস ম্যাগাজিনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।[]

সংগীত

[সম্পাদনা]

আসল গেমের ওএসটি সমেত ম্যানাকের রচিত সংগীতগুলি ২০০৯ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি স্ফিয়ার কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত হয়।

অ্যানিমে অভিযোজনের জন্যে তৈরী ওএসটি এবং মানাবু মিওয়া (ম্যানাক) ও ব্রুনো ওয়েন-লির রচিত সঙ্গীতের সাথে আরো নতুন গান ও আসল গেম থেকে উপন্যস্ত ট্র্যাক নেওয়া হয়েছে। এটি অ্যানিমের প্রথম ও তৃতীয় খন্ডের জাপানীজ ব্লু-রে ডিস্ক-এর সাথে দুটি ভিন্ন ডিস্কে মুক্তি পেয়েছে, দুটির নাম হলো যথাক্রমে অ্যারেঞ্জ আর নিউ[]

এখানে ৯টি সঙ্গীত রয়েছে: আসল ভিজুয়্যাল নভেল ইয়োসুগা নো সোরা থেকে ৩টি সঙ্গীত সংসৃষ্ট, ১টি ফ্যান ডিস্ক হারুকা না সোরা থেকে উদ্ভূত, এবং বাকি ৫টি অ্যানিমে থেকে নেওয়া। কিছু শিরোনাম অবশ্যই অফিসিয়াল, ক্রেতা এবং ডেটাবেসের জন্যে সামঞ্জস্যপূর্ন নয়, তাই তাদের নিয়মমাফিক শিরোনামগুলি মিউজিকব্রেঞ্জের নির্দেশিকা অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে।[]

শিরোনাম (নিয়মমাফিক) অধিভুক্তি প্রকার
"ヨスガノソラ: ইমেজ" ইয়োসুগা নো সোরা (এক্সক্লুসিভ) লিমিটেড এডিশন বোনাস[]
"ヨスガノソラ" ইয়োসুগা নো সোরা কমার্শিয়াল অ্যালবাম[]
"ヨスガノソラ: ম্যাক্সি-সিঙ্গেল" ইয়োসুগা নো সোরা কমার্শিয়াল অ্যালবাম
"ハルカナソラ: キャラクターソング" হারুকা না সোরা (এক্সক্লুসিভ) লিমিটেড এডিশন বোনাস[]
"比翼の羽根" ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) কমার্শিয়াল অ্যালবাম[১০]
"ツナグキズナ" ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) কমার্শিয়াল অ্যালবাম[১০]
"ピンキージョーンズ" ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) কমার্শিয়াল অ্যালবাম[১০]
"ヨスガノソラ: নিউ" ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) ব্লু-রে বোনাস[]
"ヨスガノソラ: অ্যারেঞ্জ" ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) ব্লু-রে বোনাস[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Official game website for Yosuga no Sora" (জাপানি ভাষায়)। Sphere। সেপ্টেম্বর ২১, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১৫ 
  2. "Official game website for Haruka na Sora" (জাপানি ভাষায়)। Sphere। সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১৫ 
  3. "Official Yosuga no Sora Anime Blu-Ray/DVD Release Webpage"Starchild (জাপানি ভাষায়)। King Records। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-২৬ 
  4. "ヨスガノソラ Official Web Site"www.cuffs-sphere.jp। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-৩১ 
  5. "予約キャンペーン実施中!!:ハルカナソラ"www.cuffs-sphere.jp। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-৩১ 
  6. "ヨスガノソラ"king-cr.jp। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-৩১ 
  7. "Comp Ace's official Yosuga no Sora manga webpage"Comptiq (জাপানি ভাষায়)। Kadokawa Shoten। ২০১২-০২-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১৫ 
  8. "Style - MusicBrainz"musicbrainz.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-৩১ 
  9. "予約キャンペーン"www.cuffs-sphere.jp। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-৩১ 
  10. "ヨスガノソラ"king-cr.jp। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-৩১