ইয়োসুগা নো সোরা | |
ヨスガノソラ | |
---|---|
ধরন | রোম্যান্স |
গেম | |
নির্মাতা | স্ফিয়ার |
প্রকাশক | স্ফিয়ার |
ধরন | এডিভি, ভিজুয়্যাল নভেল |
ভিত্তিমঞ্চ | উইন্ডোজ |
মুক্তি | ৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ |
মাঙ্গা | |
লেখক | তাকাশি মিকাজে |
প্রকাশক | কাদোকাওয়া শো তেন |
সাময়িকী | কম্প এস |
জনতাত্ত্বিক | সেইনেন |
মূল প্রকাশ | ২৬ মে, ২০১০ – ২৫ ডিসেম্বর, ২০১০ |
খণ্ড | ২ |
অ্যানিমে টেলিভিশন ধারাবাহিক | |
পরিচালক | তাকেও তাকাহাশি |
লেখক | নারুহিসা আরাকাওয়া |
সুরকার |
|
স্টুডিও | ফিল |
লাইসেন্সকারী | মিডিয়া ব্লাস্টারস |
মূল নেটওয়ার্ক | এটি-এক্স, টোকিও এমএক্স, বিএস১১ |
ইংরেজি নেটওয়ার্ক | তোকু |
মূল প্রকাশ | ৪ অক্টোবর, ২০১০ – ২০ ডিসেম্বর, ২০১০ |
পর্ব | ১২ |
ইয়োসুগা নো সোরা (জাপানি: ヨスガノソラ, lit. "স্কাই অফ কানেকশন") হলো একটি জাপানীজ রোম্যান্টিক অ্যাডাল্ট ভিজুয়্যাল নভেল। এটিকে ডেভেলপ করেছে সিইউএফএফএস (স্ফিয়ার)। উইন্ডোজ এর জন্যে এর একটি গেম ২০০৮ সালের ৫ই ডিসেম্বর মুক্তি পায়।[১] একটি ধারাবাহিক মাঙ্গা ও একটি অ্যানিমে টেলিভিশন সিরিজে এটি অভিযোজিত হয়েছিল। ২০০৯ সালের ২৪শে অক্টোবর, হারুকা নো সোরা নামে একটি সিক্যুয়াল/ফ্যান ডিস্ক মুক্তি পেয়েছিল, যেখানে মূল গেমের অন্তর্গত কিছু চরিত্রের নতুন এবং সুবিস্তৃত চিত্রনাট্য দেখা গিয়েছিল।।[২]
হঠাৎ এক গাড়ি দুর্ঘটনায় করুণভাবে বাবা মাকে হারিয়ে, যমজ কাসুগানো ভাই বোনেরা তাদের দুঃখজনক জীবনের টুকরোগুলিকে পুনর্গঠন করতে, রেলগাড়িতে চেপে পল্লীগ্রামে তাদের দাদা-দাদীর বাড়িতে থাকতে আসে। এই দুই সত্বা চেহারায় একইরকম দেখতে হলেও, অন্তর থেকে একদম আলাদা। আসন্ন দিনে তারা যে কিরকম বিবাদী প্রত্যাশার সম্মুখীন হতে চলেছে, তার সম্বন্ধে তাদের বিন্দুমাত্র ধারনাও নেই। ভবিষ্যত সম্পর্কে অনিশ্চিত হয়ে, হারুকা কাসুগানো তার অতীতের স্মৃতিগুলোকে আকড়ে ধরে থাকে। সে তার দূর্বল বোনকে রক্ষা করার আশায় শক্তি খোঁজার চেষ্টা করে। কাহিনী অগ্রসর হতে হতে চারটি রাস্তায় চলে যায়, প্রত্যেকটিতেই একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে গল্প শেষ হয়; মিগীওয়া: ধনী কিন্তু দয়ালু, আমাতসুমে: নম্র কিন্তু বিষণ্ণ, ইয়োরীহিমে: হতাশ কিন্তু আশাবাদী, সোরা: ছোট ও সুন্দর কিন্তু হিংস্র।।
২০০৮ সালের ৫ই ডিসেম্বর, গেমটি প্রথমবার উইন্ডোজ পিসির জন্যে মুক্তি পায়।[১] হারুকা না সোরা নামে একটি সিক্যুয়েল/ফ্যান ডিস্ক পরে ২০০৯ সালের ২৪শে অক্টোবর মুক্তি পায়, যেখানে কোজুয়ে আর ইয়াহিরোর সমস্ত দৃশ্যগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, মূল গেমের থেকে পাওয়া সোরার কাহিনী এখানে আরো প্রসারিত হয়েছে, এবং অধিক বোনাস সামগ্রী দিয়ে ভরপুর করা আছে।।[২]
১২ পর্বের অ্যানিমে সিরিজ ইয়োসুগা নো সোরা ২০১০ সালের ৪ঠা অক্টোবর থেকে সম্প্রচারিত হওয়া শুরু করে। প্রত্যেকটি পর্বের ২২ মিনিটে থাকে মূল কাহিনীর অংশ আর বাকি ৩ মিনিটে থাকে ওমাকে অংশ। কাহিনীর মূল প্রেক্ষাপটে একাধিক-খন্ডের শাখাবিন্যাস দেখা যায়। এখানে মুক্তভাবে কাজুহা, আকিরা, নাও আর সোরার গল্প আলাদা আলাদা ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, অর্থাৎ প্রত্যেকটি গল্পের নির্দিষ্ট পর্ব নির্ধারিত রয়েছে। প্রত্যেক পর্বের শিরোনাম যে চরিত্রকে কেন্দ্র করে বানানো হয়েছে, সেটা প্রকাশ করে। সিরিজের বিশেষ বোনাস অংশে রয়েছে মোতোকার গল্প, এখানে ব্যাপকভাবে ব্যঙ্গকৌতুক ও সুপার ডিফর্ম চরিত্র নকশার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এইরকম প্রত্যেক পর্বের প্রত্যেক অংশের শেষে তাদের নিজস্ব এন্ডিং কৃতিত্বও দেওয়া আছে। অ্যানিমেটির ওপেনিং থিম হলো ইউফোনিয়াস-এর গাওয়া "হিয়োকু নো হানে"-(比翼の羽根) এবং শেষের দুটি এন্ডিং থিম হলো যথাক্রমে নেকোক্যান ফিট. জুনকা আমাওতো-র "সুনাগুকিজুনা"-(ツナグキズナ) আর মোমোইরো কভার্স-এর "পিংকি জোনস"-(ピンキー・ジョーンズ)।
সিরিজের প্রথম খণ্ডটি ডিভিডি ও ব্লু-রে ডিস্ক আকারে কিং রেকর্ডস কর্তৃক ২০১০ সালের ২২শে ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল এবং শেষের চতুর্থ খণ্ডটি এক লিমিটেড এডিশন ব্লু-রে ডিস্কে ও সোরা কাসুগানোর খেলনা পুতুল স্ট্র্যাপ সমেত ২০১১ সালের ২৬শে মার্চ মুক্তি পেয়েছিল।[৩]
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ সালে সিরিজটি আমেরিকার তোকু চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়েছিল।।
পর্ব. ১ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
পর্ব. ২ | পর্ব. ৭ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||
পর্ব. ৩ | পর্ব. ৫ | পর্ব. ৮ | পর্ব. ১০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||
পর্ব. ৪ | পর্ব. ৬ | পর্ব. ৯ | পর্ব. ১১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||
পর্ব. ১২ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
কাজুহা | আকিরা | নাও | সোরা | ||||||||||||||||||||||||||||||||
(ব্র্যাকেটের মধ্যে প্রত্যেক খন্ডের পর্ব সংখ্যা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেমন (A3) হলো আকিরা খন্ডের তৃতীয় পর্ব। প্রতীক: A-আকিরা, K কাজুহা, N-নাও, S-সোরা।)
নং | শিরোনাম | আসল সম্প্রচারণকাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ (AKNS১) | "দূরের স্মৃতি" "হারুকা না কিয়োকু" (ハルカナキオク) | ৪ অক্টোবর ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মা বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর হারুকা আর তার যমজ বোন সোরা একসাথে মিলে তাদের গত পিতামহের বাড়িতে এসে ওঠে, যেটি একটি ছোট্ট গ্রামের মধ্যে অবস্থিত, ছোটবেলায় তারা দুজনে প্রায়ই এখানে আসতো। সেখানে এসে তাদের কিছু পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলাপ হয়, যাদের মধ্যে কয়েকজন বেশ পুরনো বন্ধুও ছিল। হারুকা নতুন স্কুল যাওয়া শুরু করলেও, সোরা কিন্তু জোর করে বাড়িতেই থেকে যায়। হারুকা তার কাছ থেকে ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে -এটা বুঝতে পেরে এক রাত্রে সোরা তার ঘরে আসে এবং নিজের জামাকাপড় ছাড়তে ছাড়তে তার কাছে আবেদন জানায়... | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২ (AK২) | "লজ্জায় আকিরা" "আকিরা হাজুকাশি" (アキラハズカシ) | ১১ অক্টোবর ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
স্কুলের জন্যে ইউনিফর্ম তৈরি করতে সোরা হারুকাকে তার দেহের মাপ নিতে বলে। সোরা অবশেষে স্কুলে যাওয়া শুরু করে, যদিও সে এটা জানতে পেরে বেশ নিরাশ হয়ে যায় যে হারুকা আর তার ক্লাস আলাদা। যৌথ জিমের সুইমিং পুল পরিষ্কার করার সময় আকিরা কাজুহাকে ভিজিয়ে দেয়, যে সেদিন তার সুইমসুট আনতেই ভুলে গিয়েছিল। কাজেই আকিরা তার কাপড় শুকাতে, তাকে সেখান থেকে নিয়ে যায়। হারুকা কাজুহার ফেলে যাওয়া ফোন খুঁজে পায় ও সেটা ফেরত দিতে গেলে শুধুমাত্র এক প্রস্থ কামুক কথাবার্তার সাক্ষী হয়ে পড়ে, যেখানে কাজুহা আকিরাকে দিদি বলে সম্বোধন করে।। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৩ (K৩) | "সিদ্ধান্তহীন" "সুকাজু হানারেজু" (ツカズハナレズ) | ১৮ অক্টোবর ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
যখন কাজুহা বুঝতে পারে যে হারুকা তাদের সমস্ত কথাবার্তা শুনে ফেলেছে, সে তাকে ধরতে চলে যায়, যাতে তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়। সে প্রকাশ করে যে আকিরা হলো তার জারজ বোন, অন্য মায়ের থেকে জন্মপ্রাপ্ত। পরিবারের সামাজিক অবস্থানের জন্যে কাজুহার বাবা তাকে তার সন্তান হিসেবে মেনে না নেওয়ায় বাবার প্রতি বিরক্ত হয়ে সে সর্বদা-কর্মঠ-আকিরার প্রতি অপরাধবোধ ও দায়িত্ব গ্রহণ করে। কাজুহার মন ভালো করতে হারুকা তাকে একটি ডেটে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীকালে দুজনেই পরস্পরের প্রতি ক্রমশ বাড়তে থাকা অনুভূতিগুলি উপলদ্ধি ও স্বীকার করে। এদিকে দেখা যায়, কাজে ক্লান্ত হয়ে আকিরা অবসন্ন হয়ে পড়ে।। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৪ (K৪) | "হারুকার হৃদয়" "হারুকাজু হাতো" (ハルカズハート) | ২৫ অক্টোবর ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় প্রায় পাগল হয়ে যাওয়া ইয়াহিরো হারুকা আর কাজুহাকে রাস্তায় আটকে আকিরার হঠাৎ অনুপস্থিতির কারন জিজ্ঞাসা করে। এরপর তারা আবিস্কার করে যে বেশি কাজ করার ফলে আকিরা তার বাড়িতে অসুস্থ রয়েছে। কাজুহা এর কারন হিসেবে নিজেকে আর হারুকার প্রতি তার গড়ে ওঠা মোহকে দোষারোপ করে। কিছুদিন পর আকিরা পুনরায় সুস্থ হয়ে যায়। হারুকাকে পরিত্যাগ ও তাদের বাবার প্রতি অনুপযুক্ত অপরাধবোধ করার জন্যে সে কাজুহার সম্মুখীন হয়। অকিরার কথা শুনে সমস্ত সত্য উপলদ্ধি করার পর সে বিষণ্ণতার শিকার হয়ে পড়ে। উৎসবের দিন চলে আসে, এবং কাজুহা হারুকার সাথে পুনর্মিলন করার সাহস যুগিয়ে নেয়। হারুকা তাকে জানায় যে গোপনে তার বাবা আসলে আকিরাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে আসছে এবং যখন কাজুহা তার বাবাকে আকিরার প্রসংশা করতে দেখতে পায়, বাবার প্রতি ভেবে থাকা সমস্ত ভুল কাজুহার কাছে ভেঙ্গে যায়। অবশেষে, আকিরার জন্যে কাজুহা তার অতিরিক্ত মায়া-মমতাকে কাটিয়ে হারুকার সাথে হৃদয়পূর্ন সম্পর্ক তৈরি করা শুরু করে দেয়।। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৫ (A৩) | "অনাবৃত অন্ধকার" "ইয়ামি আকিরাকা নি" (ヤミアキラカニ) | ১ নভেম্বর ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এই পর্বের শুরুতে পূর্ববর্তী ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়, অর্থাৎ যখন হারুকা মেয়েদের লকার রুমের কাছে দাঁড়িয়ে কাজুহা আর আকিরার কথাবার্তা শুনছিল, এই সময় তখন আকিরা রুম থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে হারুকার কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে নেয়। এর ফলে গল্পটির এক বিকল্প সমাপ্তির ঘটে। হারুকা বুঝতে পারে যে আকিরা কেমন অদ্ভুত আচরণ করছে, তাই সে পরের দিন সকালে তার সাথে একা একা কথা বলার সিদ্ধান্ত নেয়। সে আকিরা মুখে দুঃখের ছায়া দেখতে পায় ও তার জন্যে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। হারুকা তাকে তার হারানো মায়ের পেন্ডেন্টটি খুঁজতে সাহায্য করার জন্যে হাত বাড়িয়ে দেয় (ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়ার কথা মনে পড়ার পর)। পেন্ডেন্টের সন্ধানে তারা একটি গাছের খোঁজ করতে থাকে যেখানে তারা ছোটবেলায় একসাথে খেলা করতো, কিন্তু হারুকা দেখতে পায় যে সেই গাছটি ধ্বসে পড়ে অপসারিত হয়ে গেছে। কোনো ভাগ্য ছাড়াই সে খোঁড়াখুঁড়ি করতে থাকে পেন্ডেন্টের আশায়। দুজনে মিলে আকিরার বাড়িতে যায় স্নান করে নিতে, এবং তখন সেখানে গিয়ে তারা একসাথে এক রোমান্টিক সময় অতিবাহিত করে। এবার এখান থেকে হারুকা উৎসবে যায় এবং পবিত্র নৃত্যের সময় আকিরাকে কাঁদতে দেখে ছুটে চলে আসে কি হয়েছে জানতে।। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৬ (A৪) | "আমি হাল ছেড়ে দেবো না" "আকিরামেনাই ইয়ো" (アキラメナイヨ) | ৮ নভেম্বর ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
হারুকা আকিরার ঘরে প্রবেশ করে এবং একটি ডাক্তারের জার্নাল আগুনে পড়ানোর থেকে তাকে আটকায়, যেখানে লেখা ছিল যে আকিরা আর কাজুহার ভুল পরিচয় থেকে থাকতে পারে। জার্নালের সাথে হারুকা সমস্তকিছু একেবারে প্রমাণ করার জন্যে ইয়াহিরো ও কাজুহাকে একটি ডিএনএ টেস্ট করতে বলে। ইয়াহিরো তা মেনে নেয় না, কিন্তু মায়ের আপত্তি থাকা সত্বেও কাজুহা এই টেস্টটি করায়। পরদিন হারুকা আকিরাকে জানায় যে এই ডিএনএ টেস্টের ফলাফল আর পাঁচ দিনের মধ্যেই চলে আসবে, কিন্তু পঞ্চম দিনে আকিরা হঠাৎ গায়েব হয়ে যায়। হারুকা তাকে ট্রেন স্টেশনে খুঁজে পায় এবং সেখানে তারা সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত একে অপরের সাথে কথা বলে। পরে রাত্রে কাজুহা আর সোরা স্টেশনে আসে টেস্টের ফলাফলপত্র দিতে, কিন্তু আকিরা সেটা পড়তে ভয় পেতে থাকে। সেই সময় কাজুহার মা সেখানে চলে আসে এবং সবাইকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সবকিছু প্রকাশ করে। তিনি আকিরাকে তার হারানো পেন্ডেন্টটি ফিরিয়ে দেয়, যেটা সৌভাগ্যক্রমে একজন পাহাড়ে খুঁজে পেয়েছিল এবং পেছনে খোদাই করা নাম দেখে তার কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি বলেন যে আকিরার মা আর তিনি নিজে একই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, আর একদিন মিস মীগিওয়ার কোলে থাকার সময় আকিরা তার কাছে থেকে এই পেন্ডেন্টটি খুলে নেয়। আকিরার মা মারা যাওয়ার পর, তিনি তাকে এই পেন্ডেন্টটি রাখতে দেন যাতে অন্তত সেটি আকিরার জন্যে তার মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতে পারে। আকিরা এরপর ডিএনএ ফলাফল পত্রটি পড়ে জানতে পারে সেটি নেগেটিভ, অর্থাৎ আকিরা আলাদা মায়ের থেকে জন্মগ্রহণ করেছে। কাজুহার মা তাকে এই পেন্ডেন্টটি রাখতে দেয় এবং তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়। আকিরা এরপর হারুকাকে ভালোবেসে থাকার কথা স্বীকার করে।। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৭ (NS২) | "অপরাধী কুমারী" "সুমি না ওতোমেরা" (ツミナオトメラ) | ১৫ নভেম্বর ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এই পর্বটি শুরু হয় সোরার স্কুল ইউনিফর্ম বানানোর জন্যে মাপ নেওয়ার ঘটনা থেকে। পরদিন সকালে নাও হারুকাকে কিছু মশা বিতারক দিতে আসে কারন সোরা মশাকে প্রচণ্ড ভয় পায়, এবং দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাও সেখান থেকে চলে যায়। পরের দিন রিয়োহেই হারুকাকে ছাদে ডেকে নিয়ে আসে, পুল পরিষ্কার করা মেয়েদের ঘাপটি মেরে দেখবার জন্যে। হারুকা তাকে নাওকে দেখতে বারণ করে ও সে সেখান থেকে প্রস্থান নেয়। বেশ কিছুপরে রিয়োহেই আবার নাওকে জানায় যে তার "রাজকুমার" অবশেষে তাকে ভালবাসতে লেগেছে, কিন্তু নাও মনে করে যে হারুকা এখনো তাকে পছন্দ করে না। সত্যিটা হলো যে তাদের দুজনের মধ্যে বহু গ্রীষ্মকাল আগে এক ঘটনা ঘটেছিল: বাবা মার ঝগড়া থেকে পালিয়ে নাও হারুকার বাড়িতে আসে। সেইসময় হারুকা স্রেফ বারান্দায় ঘুমোচ্ছিল, কিন্তু তার চোখ সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় ও সে দেখে যে তার ওপর বস্ত্রহীন নাও বসে রয়েছে। এতক্ষণ পর্যন্ত নাও তার খারাপ কাজের জন্যে অপরাধবোধ করেছে ঠিকই, যদিও এখন এদিকে রিয়োহেই, কাজুহা আর আকিরা তাদের দুজনকে এক করার ছক কাটতে শুরু করে দিয়েছে। রবিবারে তারা এই দুজনকে স্কুলের পুলে দেখা করা করায়। সাঁতার শেখার পর দুজনে যখন কাপড় পরিবর্তন করছিল, তখন নাও এক বাক্সের ভিতর কালো বিড়াল দেখে ভয় পাওয়ায় হারুকা মেয়েদের লকার রুমে ছুটে চলে আসে। স্কুল তদারক তাদের কথাবার্তা শুনতে পায় কিন্তু তারা দুজনে ধরা পড়ে যাওয়ার আগেই সেই বাক্সে লুকিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বিড়াল মনে করে সে সেখান থেকে কোনো সন্দেহ না করে চলে যায়। নাও-এর সমস্ত ভ্রান্তিকর ধ্যানধারনার নিষ্পত্তি হয়, যখন সে জানতে পারে যে হারুকা আসলে তাকে ঘৃনা করে না, সে শুধুমাত্র সেই গ্রীষ্মের দিনের ঘটনার জন্যে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিল। এদিকে সোরা নাও-এর প্রতি ঘৃনা দেখাতে শুরু করে কারন সে অনুমান করে যে এই কিছুদিনে হারুকার ব্যস্ত থাকাটা একমাত্র তার দোষ।। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৮ (N৩) | "অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশ" "নাও কুরাকি সোরা" (ナオクラキソラ) | ২২ নভেম্বর ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এতক্ষনে সোরা তার ঘৃনা নাও আর রিয়োহেই-এর একদম সামনেই দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। এক বিকেলে, সোরা রান্নাঘরের কারির গন্ধে আকর্ষিত হয়ে বসার ঘরে এলে হারুকা আর নাওকে যৌণসঙ্গম করতে ধরে ফেলে। সোরা নাওকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং সতর্ক করে দেয় হারুকাকে পুনরায় কখনো না দেখতে, কারন এটা নিয়ে সে দ্বিতীয়বার তাদের দুজনকে এইরকম "অপর্কম" করতে পাকড়াও করেছে। সে এরপর কারিটি ছুঁড়ে ফেলে দেয়, যেহেতু সে শুধুমাত্র হারুকার তৈরি খাবারই খেতে পছন্দ করে। নাও খুবই ভেঙ্গে পড়ে এবং যদিও সে হারুকার সাথে দেখা করতে চায়, সোরার ভয়ে সে কাছাকাছি আসতে পারে না। এদিকে কিন্তু হারুকার মনে বেশ আশা রয়েছে যে সোরা একদিন নিশ্চই তাদের দুজনকে ক্ষমা করে মেনে নেবে, কারন সে রিয়োহেই-এর থেকে শুনেছে যে নাও এখন পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে গেছে, সে তার প্রফুল্ল, যত্নশীল, আর নরম মনের ব্যক্তিত্বে ফিরে এসেছে। হারুকা আর নাও-এর একসাথে থাকার ওপর সোরার নজরদারী একটু কমে, কিন্তু সে তাও বাঁধা দেওয়া থামায় না, এবং নিজেকে এই দুজনের থেকে দূরে দূরে রাখে। এইকারনে সে হারুকা আর নাও-এর সাথে বার্ষিক গ্রীষ্মের ট্রিপে যায় না।। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৯ (N৪) | "দূরবর্তী অনুভূতি" "হারুকা না ওমোই" (ハルカナオモイ) | ২৯ নভেম্বর ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সোরা ঠিক করে যে সে বিচে সবাইকে অনুসরণ করবে, কিন্তু বাস থেকে নামার পরেই সে জানতে পারে একজন যুবককে অজ্ঞান অবস্থায় ভাসতে দেখা গেছে। সোরা ব্যাপারটা দেখতে গেলে খুঁজে পায় যে এই যুবকটা আসলে হারুকা। যদিও, নাও সময় নষ্ট না করে তার মুখে মুখ দিয়ে শ্বাস দিতে থাকে। এই ঘটনার ফলে সোরা নিজেকে আরো বেশি নিরাপত্তাহীন মনে করতে থাকে এবং হারুকাকে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে বাঁধা দেওয়া শুরু করে। একদিন সোরা হারুকাকে তার আর নাও-এর মধ্যে যেকোনো একজনকে বেঁছে নিতে বলে, কিন্তু হারুকা তা বিশেষ পাত্তা না দিয়েই নাও-এর সাথে স্কুল চলে যায়। এইদিন বিকেলে, সোরার থেকে একটা মেসেজ পাওয়ার পর তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না, যেই মেসেজে লেখা ছিল "চলো, এই জায়গা ছেড়ে চলে যাই"। প্রত্যেকে সোরার জন্যে চতুর্দিকে তল্লাশি চালায়, কিন্তু বৃষ্টির মাঝখানে নাও অবশেষে সোরাকে একটি বাস স্ট্যান্ডের ভেতর খুঁজে পায়। না ফিরতে চেয়ে, সে বাস স্ট্যান্ড থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যায় এবং হারুকার হাবভাব পরিবর্তনের জন্যে রাগে নাওকে দোষারোপ করে। হঠাৎ এই বাস স্টপের ওপর একটি বাজ পড়ে এবং সবকিছু আগুনে জ্বলতে শুরু করে। সোরার মনে পড়ে যে তার খেলনা পুতুল এখনো সেই বাস স্টপের ভেতরেই পড়ে রয়েছে। নাও ছুটে গিয়ে সোরার মৃত মায়ের একমাত্র স্মৃতি ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করে, যদিও সে নিজেই প্রায় আগুনে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। পুতুলটা ফিরে এলে সোরা নাওকে তার হারুকাকে নিয়ে সমস্ত দুশ্চিন্তার ব্যাপারে বলে। পরের রাত্রে, সোরা মন্দিরের গ্রীষ্ম উৎসবে সকলের সাথে আনন্দ করে এবং এইসময় সে নাওকে ভালোভাবে হারুকার সাথে মেনে নেয়।। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১০ (S৩) | "পাখির মিথ্যা কান্নার জন্যে" "তোরী নো সোরানে ওয়া" (トリノソラネハ) | ৬ ডিসেম্বর ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এই পর্ব শুরু হয় পুনরায় যখন হারুকা তার আর নাও-এর সম্পর্কে সোরার সাথে কথা বলছে, কিন্তু এইবারে দেখা যায় যে সোরা সম্প্রতি নাওকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না এবং হারুকাকে জ্বালাতন করে চলেছে। হারুকা নাও-এর সাথে একটা ডেটে যাবার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু সোরাকে এইব্যাপারে মিথ্যা কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোয়। ডেট চলাকালীন, নাও লক্ষ্য করে যে সোরা হারুকার মন থেকে একটুও দূরে যায়নি, হারুকা তার থেকে বেশি সোরার জন্যে জিনিসপত্র কিনতে লেগেছিল, এবং তার ফলে ডেটটা ক্রমশ নষ্ট হয়ে যায়। বাড়ি ফিরে তারা ক্রকেট কারি তৈরি করার কথা ভেবে রেখেছিল, কিন্তু খারাপ স্বপ্নের ফলে সোরার শরীর ভালো না থাকায় হারুকা এই পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়। পরদিন নাও দেখতে পায় যে হারুকা তাদের ডেটটা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করতে করতে সোরার সাথে রাস্তায় চলছে।এক রাত্রে, হারুকা সোরাকে তার ঘরে হস্তমৈথুন করতে ধরে ফেলে, কিন্তু তার অজান্তেই— সোরা প্রেমমুগ্ধ হয়ে রয়েছে হারুকার জন্যে, কেননা ছোটবেলায় এক গ্রীষ্মের দিনে খেলার সময় সে সোরাকে চুম্বন করেছিল।। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১১ (S৪) | "অনিশ্চিত জুটি" "সোরামেকু ফুতারি" (ソラメクフタリ) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
হারুকা নাও-এর সাথে আরো একটি ডেটে যায়, কিন্তু নিজের মন থেকে সেইদিন রাত্রে সোরার হস্তমৈথুনের দৃশ্য কিছুতেই মুছে ফেলতে পারেনা। ফলে হারুকা আর সহ্য করতে না পেরে নাওকে নিয়ে একটি লাভ হোটেলে চলে আসে, কিন্তু নাও তার কর্মকান্ড প্রত্যাখ্যিত করে জিজ্ঞাসা করে যে সে সতিই তাকে ভালোবাসে কিনা। হারুকা উত্তর দিতে পারে না, ও বাড়ি ফিরে আসে। এর কিছুপরেই সোরার জ্বর আসে এবং হারুকা বাড়িতে থেকে তার খেয়াল রাখা শুরু করে। সন্ধ্যাবেলায়, সোরার শরীর ঠিক হয়ে এলে, সে হারুকার কাছে তার ভালোবাসা স্বীকার করে আর তারা দুজনে এক নতুন সম্পর্কের শুরু করে। প্রত্যেকে এই বিষয় লক্ষ্য করতে লাগলো, বিশেষ করে নাও আর কোজুয়ে, এই দুই যমজকে একে অপরের সাথে বেশি বেশি সময় অতিবাহিত করতে দেখলো। এক বিকেলে নাও আর কোজুয়ে যখন কাসুগানোদের বাড়িতে এলো, তারা এই দুই যমজকে যৌণসঙ্গমের মাঝখানে ধরে ফেললো।। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১২ (S৫) | "দূর আকাশে" "হারুকা না সোরা" (ハルカナソラヘ) | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কোজুয়ে বিস্ময়ে এই দুই যমজের অশ্লীল দৃশ্য দেখে ছুটে সেখান থেকে পালিয়ে যায় আর নাও শান্তভাবেই তার প্রস্থান নেয়, কিন্তু সোরা পাত্তাও দেয় না। এই ঘটনার পর হারুকা স্কুল যেতে চায় না, তবে সোরা বলে এবিষয়ে কম ভাবতে। পরদিন কোজুয়ে হারুকাকে জানায় যে সে আর তার সাথে কোনোদিন কথা বলবে না এবং ক্ষমা চাওয়ার পর নাও তার সাথে নির্দ্বিধায় সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দেয়। রাত্রে সোরার সাথে তার ঝগড়া হয় ও অসাবধানতাবশত সোরার গায়ে হাত তুলে ফেলে সে। সমস্যা আরো জটিল হয়ে যায় যখন তারা জানতে পারে যে তাদের বাবা মা তাদের জন্যে আর টাকা রেখে যায়নি, বেঁচে থাকার জন্যে একমাত্র রাস্তা হলো অতিথিদের সাথে থেকে যাওয়া, কিন্তু তা করলে এই দুজন আলাদা আলাদা জায়গায় বসবাস করবে। এক দুপুরে হারুকা উঠে দেখে যে সোরা নিখোঁজ এবং তার ঘরে সবকিছু ওলট পালট হয়ে রয়েছে। সোরার থেকে একটা "সুইসাইড নোট"-এর মতো টেক্সট পাওয়ার পর থেকে হারুকা তার খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। নাও তাকে সর্বত্র খুঁজতে সাহায্য করে, এবং সোরার সাথে তার সাক্ষাৎ হওয়ার বৃত্তান্তটিও জানায়, যেখানে সোরা তাকে বলে যে সেই গ্রীষ্মের দিনে সে তাদের ভালোবাসা দেখতে পেয়েছে, আর "তাই এখন দুজনেই সমান"। আকিরার বলে থাকা একটি হ্রদের কথা হারুকার তখন মনে পড়ে, ও সেখানে গিয়ে সোরাকে সে জলের গভীরে যাওয়া থেকে আটকায়, কিন্তু হারুকা নিজেই প্রায় ডুবে যায়। অন্যত্র সুখের খোঁজে, তারা দুজনে দুদিন পর এই গ্রাম থেকে বিদেশের একটি শহরে রওনা দেয়, যেখানে তাদের বাবা মার চেনা একটি কারিগর বসবাস করে। কোজুয়ে সবকিছু না মেনে নিতে পারলেও, নাও বিশ্বাস করে যে তারা দুজনে সর্বদা ভালোই থাকবে।। |
এখানে ৫টি ড্রামা সিডি রয়েছে: ২টি আসল ভিজুয়াল নভেল "ইয়োসুগা নো সোরা" কেনার সাথে মুক্তি পায়, ১টি "হারুকা না সোরা" ফ্যান ডিস্কের প্রি-অর্ডারের সাথে মুক্তি পায়, ২টি এই অ্যানিমে অভিযোজনের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ব্লু-রে খন্ডের সাথে মুক্তি পায়।।
শিরোনাম | অধিভুক্ত | প্রকার |
---|---|---|
"秘密のリゾート遊び" | ইয়োসুগা নো সোরা | (এক্সক্লুসিভ) বিক্রেতা বোনাস: সফ্টম্যাপ[৪] |
"叉依姫神社祭り" | ইয়োসুগা নো সোরা | (এক্সক্লুসিভ) বিক্রেতা বোনাস: মেসসে সানোহ[৪] |
"ソイネノソラ" | ইয়োসুগা নো সোরা | (এক্সক্লুসিভ) প্রি-অর্ডারিং বোনাস[৫] |
"添い寝CD(依媛奈緒/春日野穹)" | ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) | ব্লু-রে বোনাস[৬] |
"添い寝CD(渚一葉/天女目瑛)" | ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) | ব্লু-রে বোনাস[৬] |
ইয়োসুগা নো সোরার একই নামানুসারে একটি মাঙ্গা অভিযোজিত হয়, যেটি কাদোকাওয়া শোতেন-এর কম্প এস ম্যাগাজিনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।[৭]
আসল গেমের ওএসটি সমেত ম্যানাকের রচিত সংগীতগুলি ২০০৯ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি স্ফিয়ার কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত হয়।
অ্যানিমে অভিযোজনের জন্যে তৈরী ওএসটি এবং মানাবু মিওয়া (ম্যানাক) ও ব্রুনো ওয়েন-লির রচিত সঙ্গীতের সাথে আরো নতুন গান ও আসল গেম থেকে উপন্যস্ত ট্র্যাক নেওয়া হয়েছে। এটি অ্যানিমের প্রথম ও তৃতীয় খন্ডের জাপানীজ ব্লু-রে ডিস্ক-এর সাথে দুটি ভিন্ন ডিস্কে মুক্তি পেয়েছে, দুটির নাম হলো যথাক্রমে অ্যারেঞ্জ আর নিউ।[৩]
এখানে ৯টি সঙ্গীত রয়েছে: আসল ভিজুয়্যাল নভেল ইয়োসুগা নো সোরা থেকে ৩টি সঙ্গীত সংসৃষ্ট, ১টি ফ্যান ডিস্ক হারুকা না সোরা থেকে উদ্ভূত, এবং বাকি ৫টি অ্যানিমে থেকে নেওয়া। কিছু শিরোনাম অবশ্যই অফিসিয়াল, ক্রেতা এবং ডেটাবেসের জন্যে সামঞ্জস্যপূর্ন নয়, তাই তাদের নিয়মমাফিক শিরোনামগুলি মিউজিকব্রেঞ্জের নির্দেশিকা অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে।[৮]
শিরোনাম (নিয়মমাফিক) | অধিভুক্তি | প্রকার |
---|---|---|
"ヨスガノソラ: ইমেজ" | ইয়োসুগা নো সোরা | (এক্সক্লুসিভ) লিমিটেড এডিশন বোনাস[৯] |
"ヨスガノソラ" | ইয়োসুগা নো সোরা | কমার্শিয়াল অ্যালবাম[১] |
"ヨスガノソラ: ম্যাক্সি-সিঙ্গেল" | ইয়োসুগা নো সোরা | কমার্শিয়াল অ্যালবাম |
"ハルカナソラ: キャラクターソング" | হারুকা না সোরা | (এক্সক্লুসিভ) লিমিটেড এডিশন বোনাস[৫] |
"比翼の羽根" | ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) | কমার্শিয়াল অ্যালবাম[১০] |
"ツナグキズナ" | ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) | কমার্শিয়াল অ্যালবাম[১০] |
"ピンキージョーンズ" | ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) | কমার্শিয়াল অ্যালবাম[১০] |
"ヨスガノソラ: নিউ" | ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) | ব্লু-রে বোনাস[৬] |
"ヨスガノソラ: অ্যারেঞ্জ" | ইয়োসুগা নো সোরা (অ্যানিমে) | ব্লু-রে বোনাস[৬] |