ইয়োহ্যানেস ফিবিগার | |
---|---|
জন্ম | ইয়োহ্যানেস অ্যান্ড্রেয়াস গ্রিব ফিবিগার ২৩ এপ্রিল ১৮৬৭ Silkeborg, Denmark |
মৃত্যু | ৩০ জানুয়ারি ১৯২৮ Copenhagen, Denmark | (বয়স ৬০)
মাতৃশিক্ষায়তন | University of Copenhagen |
পরিচিতির কারণ | Induction of cancer using Spiroptera carcinoma |
দাম্পত্য সঙ্গী | Mathilde Fibiger (বি. ১৮৯৪) |
সন্তান | 2 |
পুরস্কার | ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | চিকিৎসাবিজ্ঞান পরজীবীবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | University of Copenhagen Royal Danish Army Medical Corps |
Author abbrev. (zoology) | Fibiger |
ইয়োহ্যানেস অ্যান্ড্রেয়াস গ্রিব ফিবিগার (ডেনীয়: Johannes Andreas Grib Fibiger; ১৮৬৭–১৯২৮) একজন ডেনীয় চিকিৎসক ও অধ্যাপক। তিনি ১৯২৬ সালে শারীরবিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। স্পিরপ্টেরা কার্সিনোমা নামক একটি পরজীবী গোলক্রিমির জীবনচক্র নিয়ে গবেষণার জন্য তাঁকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।[১] তিনি বিশ্বাস করতেন যে এই পরজীবীটির কারণে ইঁদুরের পাকস্থলী ক্যানসার (কর্কটরোগের) হয়। তবে পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে সম্ভবত ভিটামিন এ-র অভাবের কারণেই টিউমারগুলি হয়ে থাকে, ক্রিমির জন্য নয়। এজন্য পরবর্তীকালে কেউ কেউ (যেমন আর্লিং নরবি) তাঁর নোবেল পুরস্কার লাভকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সমালোচনা করেছিলেন।[২] স্পিরপ্টেরা ও ক্যান্সারের মধ্যবর্তী সরাসরি কার্যকারণ সম্পর্ক ভুল প্রমাণিত হলেও রোগসৃষ্টিকারক জীব-জীবাণু ও ক্যানসারের মধ্যবর্তী জটিল সম্পর্কের উপরে মানুষের জ্ঞান উন্নত করার জন্য তাঁর কাজের অবদান আছে। এর আগে ১৯০৭ সালে ফিবিগার গোলক্রিমি আবিষ্কার করেন, যা ছিল পরীক্ষণমূলক চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ডিফথেরিয়া রোগের ব্যাপারে তিনি যে পদ্ধতিতে গবেষণা নির্বাহ করেন, সেটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে নিয়ন্ত্রিত রোগীভিত্তিক পরীক্ষণের (কন্ট্রোলড ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) একটি আদি উদাহরণ হিসেবে আজও স্বীকৃত।[৩]