ডাকনাম | উসুদ আল-রফিদাইন (মেসোপটেমিয়ার সিংহ) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | ইরাক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | উয়েফা (এশিয়া) | ||
প্রধান কোচ | স্ক্রেচকো কাতানেৎস | ||
অধিনায়ক | আলা আব্দুল-জহরা | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | ইউনিস মাহমুদ (১৪৮) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | হুসাইন সাঈদ (৭৮) | ||
মাঠ | বসরা স্পোর্টস সিটি | ||
ফিফা কোড | IRQ | ||
ওয়েবসাইট | ifa | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৬৩ (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১] | ||
সর্বোচ্চ | ৩৯ (অক্টোবর ২০০৪) | ||
সর্বনিম্ন | ১৩৯ (জুলাই ১৯৯৬) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৫৭ ৪ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২] | ||
সর্বোচ্চ | ২২ (ডিসেম্বর ১৯৮২) | ||
সর্বনিম্ন | ৯৫ (অক্টোবর ২০১৬) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
মরক্কো ৩–৩ ইরাক (বৈরুত, লেবানন; ১৯ অক্টোবর ১৯৫৭) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
ইরাক ১৩–০ ইথিওপিয়া (ইরবিদ, জর্দান; ১৮ আগস্ট ১৯৯২) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
তুরস্ক ৭–১ ইরাক (আদানা, তুরস্ক; ৬ ডিসেম্বর ১৯৫৯) ব্রাজিল ৬–০ ইরাক (মালমো, সুইডেন; ১১ অক্টোবর ২০১২) চিলি ৬–০ ইরাক (কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক; ১৪ আগস্ট ২০১৩) | |||
বিশ্বকাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১ (১৯৮৬-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব (১৯৮৬) | ||
এএফসি এশিয়ান কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ৯ (১৯৭২-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (২০০৭) | ||
ডাব্লিউএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ | |||
অংশগ্রহণ | ৭ (২০০০-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (২০০২) | ||
কনফেডারেশন্স কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১ (২০০৯-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব (২০০৯) |
ইরাক জাতীয় ফুটবল দল (আরবি: المنتخب العراقي لكرة القدم) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইরাকের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ইরাকের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইরাক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৫০ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৭০ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে।[৩] ১৯৫৭ সালের ১৯শে অক্টোবর তারিখে, ইরাক প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; লেবাননের বৈরুতে অনুষ্ঠিত ইরাক এবং মরক্কোর মধ্যকার উক্ত ম্যাচটি ৩–৩ গোলে ড্র হয়েছে।
৬৫,২২৭ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট বসরা স্পোর্টস সিটিতে উসুদ আল-রফিদাইন নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন স্ক্রেচকো কাতানেৎস এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন আল-জওরার মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আলা আব্দুল-জহরা।
এএফসির সবচেয়ে সফল দলের মধ্যে ইরাক হল অন্যতম। তারা এপর্যন্ত কেবলমাত্র ১ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে (১৯৮৬) তারা গ্রুপ পর্বে পৌঁছেছিল। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপেও ইরাক অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১টি (২০০৭) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, ইরাক ২০০৯ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করেছিল। এশিয়ার গেমসে স্বর্ণপদক জয়লাভ (একবার ১৯৮২ সালে) করেছে এবং এএফসি ন্যাশনাল টিম অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জয়লাভ করে। দুবার (২০০৩ এবং ২০০৭ সালে এবং ২০-এর কম বয়সী দলটি ২০১৩ সালে এই পুরস্কার জিতেছিল)। ইরাক তাদের আঞ্চলিক পর্যায়েও একই রকম সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, ২০০২ সালে ওয়েভ এফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করে, ওয়েস্ট এশিয়ান গেমসে একবার (২০০৫ সালে),[৪] আরব ন্যাশন কাপে চারবার (১৯৬৪, ১৯৬৬, ১৯৮৫, ১৯৮৮), একবার প্যান আরব গেমসে স্বর্ণপদক (১৯৮৫) এবং তিনবার উপসাগরীয় কাপ (১৯৭৯, ১৯৮৪ এবং ১৯৮৮)।[৫]
ইউনিস মাহমুদ, হুসাইন সাঈদ, আহমেদ রাদি, মুহান্নদ আলি এবং নশাত আকরামের মতো খেলোয়াড়গণ ইরাকের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
১৯২৩ সালের গোড়ার দিকে, বাগদাদ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নিয়ন্ত্রণাধীন বাগদাদ একাদশ নামে পরিচিত একটি ইরাকি দলের হয়ে ব্রিটিশ আর্মি দলের বিরুদ্ধে খেলতে শুরু করে। বাগদাদ এফএ শীঘ্রই বিধ্বস্ত হয়, এবং পরবর্তীতে ৮ই অক্টোবর পর্যন্ত ইরাক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ইরাক এফএ ১৯৫০ সালে ফিফায় যোগদান করেন এবং ১৯৫১ সালের ২রা মে তারিখে, ইরাক তাদের প্রথম ম্যাচ খেলেছে: বসরা একাদশ নামে একটি দলের বিরুদ্ধে ১–১ গোলে ড্র করেছে। যদিও এটি একটি ফিফা 'এ' আন্তর্জাতিক খেলা ছিল না। ইরাকে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক আন্তর্জাতিক খেলাটি বেইরুটের বিরুদ্ধে ১৯৫৭ সালে প্যান আরব গেমসের উদ্বোধনী খেলাটিতে খেলেছিল, যেখানে ইরাকে ৩–৩ গোলে মরক্কো জাতীয় ফুটবল দলের সাথে ড্র করে।
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে ইরাক তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৩৯তম) অর্জন করে এবং ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৩৯তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে ইরাকের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২২তম (যা তারা ১৯৮২ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৯৫। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৬১ | ঘানা | ১৩৮৪.১৯ | |
৬২ | আলবেনিয়া | ১৩৮২.৬৯ | |
৬৩ | ইরাক | ১৩৬৫.৯৮ | |
৬৪ | সংযুক্ত আরব আমিরাত | ১৩৬৪.৪৬ | |
৬৫ | উত্তর মেসিডোনিয়া | ১৩৬২.১৭ |
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৫৫ | মালি | ১৬২২ | |
৫৬ | ১৩ | জ্যামাইকা | ১৬১৮ |
৫৭ | ৪ | ইরাক | ১৬১৫ |
৫৭ | ১১ | ক্যামেরুন | ১৬১৫ |
৫৯ | ২ | বলিভিয়া | ১৬১২ |
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ||
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | ||||||||||||||
১৯৩৪ | ||||||||||||||||
১৯৩৮ | ||||||||||||||||
১৯৫০ | ||||||||||||||||
১৯৫৪ | ||||||||||||||||
১৯৫৮ | ||||||||||||||||
১৯৬২ | ||||||||||||||||
১৯৬৬ | ||||||||||||||||
১৯৭০ | ||||||||||||||||
১৯৭৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৬ | ৩ | ২ | ১ | ১১ | ৬ | |||||||||
১৯৭৮ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | ||||||||||||||
১৯৮২ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ৫ | ২ | |||||||||
১৯৮৬ | গ্রুপ পর্ব | ২৩তম | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ১ | ৪ | ১০ | ৭ | ১ | ২ | ২৫ | ১১ | ||
১৯৯০ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৬ | ৩ | ২ | ১ | ১১ | ৫ | |||||||||
১৯৯৪ | ১৩ | ৭ | ৪ | ২ | ৩৭ | ১৩ | ||||||||||
১৯৯৮ | ৪ | ২ | ০ | ২ | ১৪ | ৮ | ||||||||||
২০০২ | ১৪ | ৬ | ৩ | ৫ | ৩৭ | ১৫ | ||||||||||
২০০৬ | ৬ | ৩ | ২ | ১ | ১৭ | ৭ | ||||||||||
২০১০ | ৮ | ৩ | ২ | ৩ | ১১ | ৬ | ||||||||||
২০১৪ | ১৬ | ৭ | ৩ | ৬ | ২০ | ১২ | ||||||||||
২০১৮ | ১৬ | ৬ | ৫ | ৫ | ২৪ | ১৮ | ||||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | ||||||||||||||
মোট | গ্রুপ পর্ব | ১/২১ | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ১ | ৪ | ১০৮ | ৫৩ | ২৬ | ২৯ | ২২১ | ১০৫ |
শিরোপা[সম্পাদনা]
|
অন্যান্য[সম্পাদনা]
|