ইরানের বিরুদ্ধে আরব-ইসরাইল জোট [১][২] বা ইসরায়েলি-সুন্নি জোট, [৩][৪] বা ইসরায়েলি-সুন্নি জোট[৫] হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা লালিত[৬] মধ্যপ্রাচ্যের একটি অনানুষ্ঠানিক ইরান-বিরোধী জোট। সৌদি আরবের নেতৃত্বে এই সমন্বয়টি গড়ে উঠেছে ইসরায়েল এবং সুন্নি আরব রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক আঞ্চলিক নিরাপত্তা স্বার্থ[৭] এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে তাদের সংঘাত অর্থাৎ ইরান-ইসরায়েল প্রক্সি সংঘাত এবং ইরান-সৌদি আরব প্রক্সি সংঘাতের উপর ভিত্তি করে। যেসব আরব রাষ্ট্রসমূহ এই সমন্বয় সমন্বয় দলের অন্তর্ভুক্ত তারা গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল বা উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) মূলে অবস্থান করে। এদের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান।[৮]
মনে করা হয় ২০০০ এর দশকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের গুরুত্ব কমে যাওয়া এবং ইরানের সাথে পারস্পরিক উত্তেজনার সৃষ্টি হলে জোটের উদ্ভব ঘটেছিল। ২০১৬ সালের মধ্যে জিসিসি রাষ্ট্রগুলো ইজরায়েলের সাথে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানায়, যারা ইরানের সাথে তাদের নিজস্ব প্রক্সি সংঘর্ষে জড়িত ছিল।[৯]
ইজরায়েল এবং উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের কারণে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে এই জোটের আবির্ভাব ঘটে[১০] এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ওয়ারশ সম্মেলনে এটি ব্যাপকভাবে প্রচার মাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
ইস্রায়েল ছাড়াও সমন্বয় গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে বাহরাইন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান এর অন্তর্ভুক্ত। [৮]