ইরিনা বোকোভা

ইরিনা বোকোভা
৬ষ্ঠ বিশ্ব পানি সভায় ইরিনা বোকোভা
জন্ম (1952-07-12) ১২ জুলাই ১৯৫২ (বয়স ৭২)
মাতৃশিক্ষায়তনআন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মস্কো স্টেট ইন্সটিটিউট
পেশাইউনেস্কো মহাপরিচালক
দাম্পত্য সঙ্গীলুবোমির কোলারোভ (বিবাহ-বিচ্ছেদ)
কালিন মিত্রেভ
সন্তানপল এবং নাইয়া
ওয়েবসাইটwww.irinabokova.com

ইরিনা বোকোভা (বুলগেরীয় ভাষায়ঃ Ирина Георгиева Бокова) (জন্মঃ ১২ জুলাই, ১৯৫২) বুলগেরীয় রাজনীতিবিদ এবং ইউনেস্কো'র বর্তমান মহাপরিচালক। তার পুরো নাম - ইরিনা জর্জিয়েভা বোকোভা। তিনি বুলগেরিয়ার সংসদে দুই মেয়াদে বুলগেরিয়ান সোশ্যালিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঝান ভিদেনোভ সরকারের মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী এবং উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীরূপে দায়িত্ব পালন করেন।[] বুলগেরিয়া প্রজাতন্ত্রের পক্ষ থেকে ফ্রান্স এবং মোনাকোয় রাষ্ট্রদূত হয়েছিলেন।[] এছাড়াও তিনি ইউনেস্কোয় বুলগেরীয় প্রতিনিধি এবং বুলগেরীয় প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি হিসেবে ২০০৫-২০০৯ সাল পর্যন্ত ফরাসী ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা অর্গ্যানাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল দ্য লা ফ্রাঙ্কোফোনি'র দায়িত্ব পালন করেন।

প্রাথমিক জীবন

[সম্পাদনা]

কমিউনিস্ট যুগের বিতর্কিত রাজনীতিবিদ গিওর্গি বোকোভের কন্যা ইরিনা বোকোভা। তার পিতা ছিলেন বুলগেরিয়ান কমিউনিস্ট পার্টির প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদপত্র র‍বোটনিচেস্কো দেলো'র প্রধান সম্পাদক।[] মেসিডোনিয়া অঞ্চলের বুলগেরীয় হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।[] আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে তিনি মস্কো স্টেট ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হন। ঘটনাক্রমে ১৯৯৬-৯৭ সালের শীতকালে তিনি মন্ত্রীত্ব অর্জন করেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি বুলগেরিয়ান কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন।

ইউনেস্কো মহাপরিচালক

[সম্পাদনা]

২২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সালে ইউনেস্কোর মহাপরিচালকরূপে বোকোভাকে নির্বাচিত করা হয়।[] প্যারিসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করেন। ৫ম পর্যায়ের ভোট পর্বে মিশরীয় বিমূর্ত চিত্রকর ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ফারুক হোসনিকে ৩১-২৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন বোকোভা।[][] হোসনি জয়ী হবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এলি উইসেল কর্তৃক ইসরায়েল বিরোধী বক্তব্যের কারণে সমালোচিত হন।[][] ৪র্থ পর্বের ভোটে উভয়েই ২৯ ভোট নিয়ে সমান অবস্থানে ছিলেন। এ বিজয়ের ফলে বোকোভা জাপানের কোচিরো মাতসুরা'র কাছ থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[] ইউনেস্কোয় তিনি চার বছরের মেয়াদকালের জন্য মনোনীত হন।[] ১৫ অক্টোবর, ২০০৯ সালে ৩৫তম অধিবেশনে ইউনেস্কোর সাধারণ সভায় ১০ম মহাপরিচালক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ইরিনা বোকোভা বিশ্বের তথা পূর্ব ইউরোপের প্রথম নারী হিসেবে ইউনেস্কো প্রধানের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন।[] ২৩ অক্টোবর, ২০০৯ সালের শুক্রবার বিকেলে ১নং কক্ষে অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Bokova wins Unesco leadership vote"Al Jazeera। ২০০৯-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২২ 
  2. "Bokova beats Hosni for UNESCO head"The Jerusalem Post। ২০০৯-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "A Glance at UNESCO's Next Leader"The New York Times। ২০০৯-০৯-২২।  [অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Стандарт", Брой 5860, 8 май 2009 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-১০-০৫ তারিখে. (বুলগেরীয়)
  5. STEVEN ERLANGER (২০০৯-০৯-২২)। "Bulgarian Defeats Egyptian in Unesco Vote"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২২ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]