ইলিয়ানা সিটারিস্টী | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | ইলিয়ানা সিটারিস্টী |
জন্ম | বেরগামো, ইতালি |
উদ্ভব | ইতালিয় |
ধরন | ওড়িশি |
পেশা | ওড়িশি এবং ছৌ নৃত্যশিল্, পরিবেশন শিল্পকলা এবং নৃত্য প্রশিক্ষক |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ইলিয়ানা সিটারিস্টী হলেন একজন ইতালীয় বংশোদ্ভূত ওডিশি এবং ছৌ নৃত্যশিল্পী এবং ভারতের ভুবনেশ্বর ভিত্তিক নৃত্য প্রশিক্ষক। ১৯৯৫ সালে তিনি যুগান্ত চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কোরিওগ্রাফার হিসেবে ৪৩ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০০৬ সালে ওডিশিতে অবদানের জন্য প্রথম বিদেশি বংশোদ্ভূত নৃত্যশিল্পী হিসেবে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হন।[১]
সিটারিস্টী ইতালির বেরগামোর বাসিন্দা,[২] তিনি ইতালির রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেজিয়া ক্রিশ্চিয়ানার শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ সেভেরিনো সিটারিস্টীর মেয়ে।[৩][৪] কথকলি শেখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি ইতালির ঐতিহ্যবাহী এবং পরীক্ষামূলক থিয়েটারে অভিনেত্রী হিসাবে পাঁচ বছর কাটিয়েছিলেন।[৫]
তিনি কেরালায় চলে আসেন, সেখানে তিনি তাঁর কথাকলি গুরু কৃষ্ণন নাম্বুদারীর পরামর্শে ওড়িশায় যাওয়ার আগে তিনি কাথকলির শেখার জন্য তিনটি কঠোর মাস অতিবাহিত করেছিলেন।[৬]
১৯৭৯ সাল থেকে তিনি ওড়িশায় বসবাস করছেন।[৭] তিনি 'সাইকোঅ্যানালাইসিস অ্যান্ড ইস্টার্ন মিথলজি' বিষয়ে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ সহ দর্শনশাস্ত্রে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।[৮]
সিটারিস্টী গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের অধীনে ওডিশি অধ্যয়ন করেন এবং ১৯৯৪ সালে তার নিজস্ব নৃত্যের স্কুল চালু করেন।[২] সিটিরিস্টী ময়ূরভঞ্জ ছৌয়েরও একজন প্রবক্তা, এটি তিনি গুরু হরি নায়কের কাছে শিখেছিলেন এবং ভুবনেশ্বরের সংগীত মহাবিদ্যালয় থেকে ছৌয়ের আচার্য উপাধি লাভ করেন।[৯] তিনি ১৯৯৬ সালে আর্ট ভিশন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি থিয়েটার, সংগীত, নৃত্য এবং চিত্রকলার মতো বিভিন্ন শৈল্পিক বিভাগের ধারণাগুলি ভাগ করে নেওয়ার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। একাডেমি ওডিশি এবং ছৌয়ের ক্লাসও পরিচালনা করে।[১০]
ইলিয়ানা সিটারিস্টী ওডিশি এবং ছৌয়ে অভিনব কোরিওগ্রাফিক প্রযোজনার জন্য বিখ্যাত, যা প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য উভয় থেকে বিষয়বস্তু এবং শৈলী একত্রিত করেছে। ছৌয়ে তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা হলো- গ্রীক রূপকথা ওভিডের মেটামরফসিস এর উপর ভিত্তি করে 'ইচো এবং নার্সিসাস', জাপানী কবিতা হাইকুর উপর ভিত্তি করে 'দ্য জার্নি', চীনা দর্শন য়িন এবং য়াং এর উপর ভিত্তি করে 'ইমেজেস অফ চেঞ্জ' এবং মায়া অ্যাঞ্জেলোর এপোনিমাস কবিতা অবলম্বনে 'স্টিল আই রাইজ'।[৭] ওড়িশিতে 'মায়া দর্পন', ওড়িশার ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক ভূগোল নিয়ে 'মহানদী: এবং প্রবাহিত নদী',[৮] মাদার তেরেসা[৭] এবং শরনম, ত্রি বিশ্বাসী মহিলাদের উদাহরণ যারা তাদের সন্দেহজনক অতীত সত্ত্বেও মুক্তি লাভ করেছে তাদের জীবনীর উপর ভিত্তি করে রচিত 'করুণা',[১১] তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সুর রচনা।
১৯৯৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া অপর্ণা সেন পরিচালিত বাংলা চলচ্চিত্র যুগান্তর ছাড়াও সিটারিস্টী এম.এফ. হুসেনের মীনাক্ষী: তিন শহরের গল্প (২০০৪)[১২] এবং গৌতম ঘোষের আবার অরণ্যে (২০০৩)[১৩] চলচ্চিত্রে কোরিওগ্রাফি করেছেন। সিটারিস্টী তিনটি বইও লিখেছেন। ২০০১ সালে তিনি দ্য মেকিং অফ এ গুরু: কেলুচরণ মহাপাত্র, হিজ লাইফ অ্যান্ড টাইমস, ২০১২ সালে ট্র্যাডিশনাল মার্শাল প্র্যাক্টিস ইন ওড়িশা এবং ২০১৬ সালে মাই জার্নি, টেল অফ টু বার্থ প্রকাশ করেন।[৭][১০]
সিটারিস্টী দূরদর্শনের একজন ´এ´ গ্রেড শিল্পী। ১৯৯২ সালে তাকে 'নৃত্য শিল্পের জন্য লিওনাইড ম্যাসিন' উপাধি দেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে তিনি অপর্ণা সেনের বাংলা চলচ্চিত্র যুগান্তে (১৯৯৫) কাজ করার জন্য শ্রেষ্ঠ কোরিওগ্রাফির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[১৪][১৫] তিনি আইসিসিআর-তে ‘অসামান্য শিল্পী’ হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।[১৬]
তিনি মুম্বাইয়ের সুর সিঙ্গার সংসদ প্রদত্ত 'রাজেশ্বর পুরস্কার'ও লাভ করেছেন।[৮][১০] ওডিশিতে অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তাঁকে ভারত সরকার পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে।[১৭] ২০০৮ সালে ইতালি সরকার তাকে অর্ডার অফ দ্য স্টার অব ইটালিয়ান সলিডারিটি এর সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে।[৫]
..state:orissa;Country India
টেমপ্লেট:জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ কোরিওগ্রাফি টেমপ্লেট:ওড়িশার পদ্ম পুরস্কার বিজয়ী