ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইসরার আলী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জলন্ধর, পাঞ্জাব প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত | ১ মে ১৯২৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ওকারা, পাকিস্তান | (বয়স ৮৮)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬) | ১৬ অক্টোবর ১৯৫২ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২১ নভেম্বর ১৯৫৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ আগস্ট ২০১৬ |
ইসরার আলী (উর্দু: اسرار علی; জন্ম: ১ মে, ১৯২৭ - মৃত্যু: ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের জলন্ধরে জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সদস্য হিসেবে ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে প্রথম টেস্টে ভারতের বিপক্ষে অংশ নেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বাহাওয়ালপুর, মুলতান ও দক্ষিণ পাঞ্জাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে ব্যাটিং করতে পারতেন।
১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে রঞ্জী ট্রফির মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন ও ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত খেলেন। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে বাহাওয়ালপুরের সদস্য হিসেবে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে পাঞ্জাব এ-দলের বিপক্ষে খেলেন। ঐ খেলায় ৫৮ রানে ৯ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। খেলায় তিনি ৮৮ রান খরচায় ১১ উইকেট দখল করেন।[১] ঐ প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার-ফাইনালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ১১-১০-১-৬ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করেন ও ৩৯ রানে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেন। এরপর, ব্যাট হাতে নিয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৯ রান তুলেন।[২]
১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ডের পেশাদার ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে খেলেন। ব্যাকাপ দলের সদস্যরূপে ৫০.৬৬ গড়ে ৯১২ রান তুলেন ও ২২.৯৫ গড়ে ৪৮ উইকেট লাভ করেন।[৩]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ইসরার আলী। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে ঐ টেস্টগুলোয় অংশ নিয়েছেন। এরপর ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ও উদ্বোধনী বোলার হিসেবে খেলেন।
১৬ অক্টোবর, ১৯৫২ তারিখে দিল্লিতে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২১ নভেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে লাহোরে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। ২৫.৬৬ গড়ে ৬ উইকেট পান। তন্মধ্যে লেস ফাভেলকেই চারবার আউট করেন।[৪]
২২ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে আসলাম খোখারের দেহাবসানের পর তিনি পাকিস্তানের বয়োজ্যেষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন।[৫] ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে ৮৮ বছর বয়সে ওকারা এলাকায় ইসরার আলী’র দেহাবসান ঘটে।[৬]