ইসলাম: দ্য আনটোল্ড স্টোরি | |
---|---|
লেখক | টম হল্যান্ড |
শ্রেষ্ঠাংশে | টম হল্যান্ড |
মূল ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণ | |
স্থিতিকাল | ৭৪ মিনিট |
নির্মাণ প্রতিষ্ঠান | চ্যানেল ৪ |
মুক্তি | |
নেটওয়ার্ক | চ্যানেল ৪ |
মুক্তি |
|
ইসলাম: দ্য আনটোল্ড স্টোরি হল ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও জনপ্রিয় ইতিহাসবিদ টম হল্যান্ড কর্তৃক লিখিত ও উপস্থাপিত একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র।[১] প্রামাণ্যচিত্রটিতে ৭ম শতকে আরবে জন্ম নেয়া অন্যতম আব্রাহামিক ধর্ম ইসলামের মূল অনুসন্ধান করা হয়েছে, এতে ইসলামের নিজ চিরাচরিত ঐতিহাসিক বিবরণীর সমালোচনা করে দাবি করা হয়েছে যে, ইসলামী ইতিহাসের পর্যাপ্ত নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণের অভাব রয়েছে। ব্রিটিশ টেলিভিশন প্রতিষ্ঠান চ্যানেল ৪ প্রামাণ্যচিত্রটিতে অর্থায়ন করে এবং ২০১২-এর আগস্টে প্রথম সম্প্রচার করে। তথ্যচিত্রটি হল্যান্ডের ইন দ্য শ্যাডো অব দ্য সোর্ড: দ্য ব্যাটল ফর গ্লোবাল এম্পায়ার অ্যান্ড দ্য এন্ড অব দ্য এন্সিয়েন্ট ওয়ার্ল্ড (২০১২) নামক বই প্রকাশের ধারাবাহিকতায় নির্মিত হয়, যাতে প্রামাণ্যচিত্রটির মতই আরব সাম্রাজ্যের উত্থান ও ইসলামের মূল উৎস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
"আমার মতে একজন ধর্মে বিশ্বাসী হতে হলে আপনাকে ধর্মবিশ্বাসের বাইরে থেকে একবার তা দেখতে হবে, আর আমি মনে করি মুসলিমরা খ্রিস্টানদের থেকেও অনেক গভীরভাবে একটি ধারণায় বিশ্বাস করেন যে, তাঁদের ধর্মের পৌরাণিক ভিত্তিগুলো কোন না কোনভাবে ঐতিহাসিক সত্য বটে, এবং আমার মতে নিশ্চয়ই ঘটনাগুলো তা নয়। সেখানে নিশ্চয়ই সত্যের কোন ভিত্তি থাকতে পারে, কিন্তু এটি যতটা না ইতিহাস তারচেয়েও বেশি ধর্মীয় ইতিহাস, এবং ধর্মীয় ইতিহাসে আপনার বিশ্বাসের সামর্থ্য নিশ্চিতভাবে আপনাকে ধর্মীয় বিশ্বাসের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করবে, তাই আমি মনে করি যে সকল মুসলিম এই বইটা পরবেন তারা তাঁদের ধর্মবিশ্বাসকে যাচাই করতে পারবেন, কিন্তু আমি নিশ্চিত এই যাচাইয়ের ফলে তারা নিজেরাই লাভবান হবেন।"
দ্য স্পেক্ট্যাটর গ্রন্থে টম হল্যান্ড[২]
ইংলিশ ডিফেন্স লীগ (EDL) প্রামাণ্যচিত্রটির উপর তাদের একজন সদস্য পাইরাসের লেখা একটি অনলাইন পর্যালোচনা প্রকাশ করে। আল্লাহ ও দাঁতবিহীন বৃদ্ধ বেদুঈনদের কাছে প্রার্থনার জন্য হল্যান্ডকে হাস্যকরভাবে শ্রদ্ধাশীল আখ্যা দিয়ে,তারা দাবি করেন যে তাদের মতে চ্যানেল ৪ এক্ষেত্রেই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং ইসলামী মূল ঘটনাকে প্রকাশ্যে নিন্দা জানানোর ক্ষেত্রে তাদের আরও স্পষ্টভাষী হওয়া উচিত। তারা আরও বলেন যে, এরকম একটি তথ্যচিত্র ১৯৭০ এর দশকেই তৈরি হওয়া দরকার ছিল। তারা আরও দাবি করেন যে, গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদগণ বিগত ৫০ বছর ধরে ব্রিটিশ জনগণের কাছ থেকে ইসলামের সত্যকে গোপন রেখেছেন, তারা আরও মনে করেন যে, প্রামাণ্যচিত্রটি আরও আগে তৈরি হলে ইডিএলকে তখন আর ইসলাম-বিরোধী চেতনা প্রচারের জন্য কাজ করতে হতো না।[৩]
২০১২র ১১ই সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা ভীতি ছড়িয়ে পড়ার পর, চ্যানেল ৪ অপিনিয়ন ফরমারসদের জন্য লন্ডন সদরদপ্তরে পরিকল্পিত একটি প্রদর্শনী বাতিল করে। তারা বলেন যে, এ ঘটনার পরেও তারা এই চলচ্চিত্র নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত এবং তারা তাদের ওয়েবসাইট ফোরওডিতে এটি প্রদর্শনের সুযোগ অব্যহত রাখবেন।[৪][৫][৬][৭]
বৈশ্বিক ঘটনাপ্রবাহের ধর্মীয় সাক্ষরতাভিত্তিক অন্যতম পরামর্শপ্রতিষ্ঠান, ল্যাপিডো মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা, জেনি টেইলর তাদের প্রদর্শনী বাতিলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। উক্ত প্রদর্শনীতে আমন্ত্রিত এই অতিথি তথ্যচিত্রটিকে একটি উত্তম ঐতিহাসিক গবেষণা এবং প্রদর্শনী স্থগিতকরণকে গণমাধ্যম প্রভাবিত প্রতিবাদ বিক্ষোভের আতঙ্কিত ফলাফল বলে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন যে, ঐতিহাসিক ঘটনাকে নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার পশ্চিমা বিশ্বের মূল্যবোধের একটি অন্যতম অংশ, এবং ইসলামকেও এই ঐতিহাসিক তদন্ত হতে অব্যহতি দেয়া উচিত নয়।[৪][৫][৭]
ব্রিটেনের প্রাক্তন মুসলিমদের পরিষদ প্রদর্শনী বাতিলের প্রতিক্রিয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলে,ইসলামপন্থীদের এই দাবি মেনে নেয়ার ফলে ইসলাম সম্পর্কিত মুক্ত তদন্ত ও মুক্তমত প্রকাশে তীব্র বিপর্যয়মুখী প্রভাব বয়ে আনবে। তারা এর সমর্থকদেরকে চ্যানেল ৪ ও অফকমের এর নিকট একটি পুনঃপ্রচার লিখিত আবেদন জানানোর সনির্বদ্ধ অণুরোধ জানান।[৮]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Dunn
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি