ইসলামি বিপ্লব পরিষদ | |
---|---|
গঠনের তারিখ | ১২ জানুয়ারি ১৯৭৯[১] |
বিলুপ্তির তারিখ | ২০ জুলাই ১৯৮০[১] |
ব্যক্তি ও সংস্থা | |
রাষ্ট্রপ্রধান | রুহুল্লাহ খোমেনি |
ইসলামি বিপ্লবের পরিষদ (ফার্সি: شورای انقلاب اسلامی, প্রতিবর্ণীকৃত: শুরা-ই এনকেলাব-ই ইসলামি) ছিল ইরানী বিপ্লব পরিচালনা করার জন্য আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি কর্তৃক গঠিত একটি দল। তিনি ইরানে ফিরে আসার কিছুদিন আগে ১০ জানুয়ারী ১৯৭৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[২] "পরবর্তী কয়েক মাসে কাউন্সিল থেকে জারি করা হয়েছে শত শত বিধি ও আইন, যা ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ থেকে শুরু করে নার্সদের বেতন পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে কাজ করে।"[৩] বিপ্লবের প্রথম দিকে, কম নিরাপদ সময়ে এর অস্তিত্ব গোপন রাখা হয় এবং এর সদস্যরা এবং কাউন্সিল কী করেছে তার সঠিক প্রকৃতি ১৯৮০ সালের প্রথম দিকে জনসাধারণের কাছে অপ্রকাশিত ছিল।[৪] পরিষদের কিছু সদস্য যেমন মোতাহারি, তালেকানি, বাহোনার, বেহেশতি, কারানি ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় মারা গিয়েছিলেন বা ইরানী বিপ্লবের একত্রীকরণের সময় এমকেও দ্বারা হত্যা করা হয়। যারা রয়ে গিয়েছিল তাদের বেশিরভাগকে সরকার কর্তৃক দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়।[৫]
কাউন্সিলটি খোমেনির সাথে সম্পর্কিত সাতজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, সাতটি ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী ব্যক্তিত্ব এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দুইজন প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত হয়। আকবর হাশেমি রাফসানজানির মতে খোমেনি বেহেশতি, মোতাহারারি, রাফসানজানি, বাহোনার, মীর-হোসেন মুসাভি এবং মুসাভি আরদাবিলিকে সদস্য হিসেবে বেছে নেন। এরা অন্যদের অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়: বাজারগান, তালেকানি, খামেনি, বানিসাদর, মাহদাভি কানি, সাহাবি, কাতিরায়ী, জাভাদি, কারানি এবং মাসুদি, [৬] মইনফার, মিনাচি (১৯৭৯ সাল পর্যন্ত) এবং ঘোতবজাদেহ।[৭]
কাউন্সিল বাজারগানকে ইরানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এগিয়ে দেয় যা খোমেনি গ্রহণ করেছিলেন।[৮]
এটিকে "একটি সমান্তরাল সরকার" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে যা আইন পাস করে এবং সরকারী অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যার নেতৃস্থানীয় সদস্যরা কাউন্সিল থেকে এসেছে।
কাউন্সিলটি বাজারগানের পদত্যাগ থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে প্রথম সংসদ (৬ নভেম্বর ১৯৭৯ - ১২ আগস্ট ১৯৮০) গঠনের আগ পর্যন্ত ইরানের অবিসংবাদিত সরকার হিসাবে কাজ করে।[৯]
কাউন্সিল যে পদক্ষেপগুলি নিয়েছিল তার মধ্যে ছিল এপ্রিল ১৯৭৯ বিপ্লবের শত্রুদের বিচার ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য বিপ্লবী ট্রাইব্যুনাল তৈরি করা;[১০] কোম্পানি জাতীয়করণ; ১৯৮০ সালের এপ্রিলে বামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করার জন্য একটি আল্টিমেটাম প্রদান করে। এর পরে "বড় সংখ্যক" বামপন্থী "হত বা আহত" হয়েছে।
কাউন্সিলের সদস্যরা কীভাবে ইরানকে শাসিত করতে চায় সে বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত ছিল না। আবোলহাসান বানিসাদর, ইব্রাহিম ইয়াজদি, এবং সাদেগ ঘোতবজাদেহ এবং আয়াতুল্লাহ মাহমুদ তালেগনি একটি গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষপাতী ছিলেন, যখন খোমেনি, বেহেশতি এবং অন্যান্য আলেমরা একটি পরিকল্পনা পরিষদের সাথে একটি সংবিধান চান কিন্তু কোনো নির্বাচিত সংসদ চাননি, কারণ আইন শরিয়া আইনের ব্যাখ্যার ভিত্তিতে হবে। মুজতাহিদ আয়াতুল্লাহ মুতাহারির হত্যার পর পরবর্তী দৃষ্টিভঙ্গি প্রবল হয় এবং ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯-এ আয়াতুল্লাহ মাহমুদ তালেগানির মৃত্যুর পর ইসলামপন্থীদের হাতকে শক্তিশালী করে তোলে।[৫]
মেহেদি বাজারগানের মতে, পরিষদের সদস্যরা নিম্নরূপ: [১১]
ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯-এর পূর্বে | ফেব্রুয়ারি–জুলাই ১৯৭৯ | জুলাই–নভেম্বর ১৯৭৯ | নভেম্বর ১৯৭৯–জুলাই ১৯৮০ | ||
---|---|---|---|---|---|
মোর্তেজা মোতাহারি | গুপ্তহত্যার শিকার | ||||
মাহমুদ তালেগনি | মৃত | ||||
ওয়ালিউল্লাহ ক্বারানী | গুপ্তহত্যার শিকার | ||||
আকবর হাশেমী রাফসানজানি | |||||
মোহাম্মদ বেহেশতী | |||||
মোহাম্মদ রেজা মাহদাভী কানী | |||||
আব্দুল করিম মৌসাভি আরদেবিলি | |||||
মোহাম্মদ-জাভেদ বাহোনার | |||||
ইব্রাহিম ইয়াজদি | অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দেন | — | |||
ইয়াদুল্লাহ ছাহাবী | অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দেন | — | |||
আহমদ সাইয়েদ জাভাদী | অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দেন | — | |||
মোস্তফা কাটিরেই | অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দেন | মোস্তফা কাটিরেই | — | ||
মেহেদী বাজারগান | অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দেন | মেহেদী বাজারগান | |||
ইজ্জাতুল্লাহ ছাহাবী | |||||
আব্বাস শায়বানী | |||||
— | আলী খামেনেয়ী | ||||
— | আলী-আসগর মাসুদী | — | |||
— | আবোলহাসান বনিসদর | ||||
— | সাদেঘ ঘোতবজাদেহ | ||||
— | মীর হোসেন মুসাভি | — | |||
— | হাবিবুল্লাহ পেমান | — | |||
— | আহমদ জালালী | — | |||
— | আলী আকবর মঈনফার | ||||
— | রেজা সদর |