ইস্কানদারিয়া আত্মঘাতি বোমা হামলা | |
---|---|
ইরাক গৃহযুদ্ধ (২০১৪-বর্তমান) অংশ | |
স্থান | ইস্কানদারিয়া, বাবিল, ইরাক |
তারিখ | ২৫ মার্চ ২০১৬ |
হামলার ধরন | আত্মঘাতি বোমা হামলা |
ব্যবহৃত অস্ত্র | বোম |
নিহত | ৪১+[১] |
আহত | ১০৫+[১] |
হামলাকারী দল | Islamic State of Iraq and the Levant (claimed)[২] |
ইরাকের বাবিল প্রদেশের ইস্কানদারিয়ায় একটা স্থানীয় ফুটবল খেলা চলছিলো। অনেক মানুষ সেই খেলা উপভোগ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে একজন আত্মঘাতি হামলাকারী শরীরে বোম বেধে হামলা করে এবং নিজেও মারা যায়। ২০১৬ সালের ২৫শে মার্চ উক্ত ঘটনা ঘটে। ঐ অঞ্চলে শিয়া-সুন্নী সবাই বসবাস করত।[৩] ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জংগী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট উক্ত হামলার দ্বায় স্বীকার করে। তাদের টার্গেট ছিলো জনপ্রিয় সমবায় বাহিনী।[২]
এই হামলায় কমপক্ষে ৪১ জন প্রাণ হারায় এবং ১০৫ জনেরও বেশি আহত হয়।[১][৪][৫] নিহতদের মধ্যে সেখানকার মেয়র আহমেদ শাকের অন্যতম। তিনি আহত অবস্থায় হাসপাতালে প্রাণ ত্যাগ করেন। [৬][৭][৮][৯] নিহতদের মধ্যে অনেক কম বয়সী বালক ছিলো। ইরাকের সরকারী তথ্য অনুযায়ী ১০ থেকে ১৬ বছরের প্রায় ১৭ জন উক্ত হামলায় প্রাণ হারায়।[৩]
খেলা শেষে যখন পুরস্কার বিতরণ করা হচ্ছিলো তখন হামলাটি চালানো হয়। প্রত্যাক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী হামলাকারী সকলের একদম মধ্যে যাওয়ার জন্য দর্শকদের ভেতর দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো। মেয়র যখন পুরস্কার প্রদান করতে যাচ্ছিলেন তখনই হামলাকারী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
ইস্কানদারিয়া আত্মঘাতি বোমা হামলার ঘটনায় বাবিল প্রদেশে তিন দিনের শোক পালন করা হয়।[৩] সেই সময় জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল বান কি মুন ইরাক ভ্রমণ করছিলেন। তিনি উক্ত হামলার নিন্দা করেন।[৩] ফিফার প্রেসিডেন্ট বলেন, "দিনটি ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক। যখন সাধারণ মানুষ খেলা উপভোগ করতে হয়েছিলো, তখন তাদের সহিংসতার স্বীকার হতে হলো।[৩] এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন এই হামলার নিন্দা করে বিবৃতি প্রদান করেন। তারা বলেন, "ফুটবল এবং অন্যান্য খেলার স্টেডিয়ামকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো কাপুরুষতা। এটি সম্পূর্ণ অন্যায় এবং গর্হিত অপরাধ।[৩]