ইস্কান্দার মীর্জা اسکندر مرزا | |
---|---|
![]() | |
পাকিস্তানের ১ম রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২৩ মার্চ ১৯৫৬ – ২৭ অক্টোবর ১৯৫৮ | |
প্রধানমন্ত্রী | চৌধুরী মুহাম্মদ আলি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড় ফিরোজ খান নুন |
পূর্বসূরী | দ্বিতীয় এলিজাবেথ পাকিস্তানের রাণী হিসেবে |
উত্তরসূরী | আইয়ুব খান |
পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল | |
কাজের মেয়াদ ৭ আগস্ট ১৯৫৫ – ২৩ মার্চ ১৯৫৬ ভারপ্রাপ্ত: ৭ আগস্ট ১৯৫৫ – ৬ অক্টোবর ১৯৫৫ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় এলিজাবেথ |
প্রধানমন্ত্রী | চৌধুরী মুহাম্মদ আলি |
পূর্বসূরী | মালিক গোলাম মুহাম্মদ |
উত্তরসূরী | বিলুপ্ত |
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৪ অক্টোবর ১৯৫৪ – ৭ আগস্ট ১৯৫৫ | |
প্রধানমন্ত্রী | মুহাম্মদ আলি বগুড়া |
পূর্বসূরী | মুশতাক আহমেদ গুরমানি |
উত্তরসূরী | এ কে ফজলুল হক |
পূর্ব বাংলার গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ৩১ মার্চ ১৯৫০ – ৩১ মার্চ ১৯৫৩ | |
Chief Minister | নুরুল আমিন |
পূর্বসূরী | চৌধুরী খালিকুজ্জামান |
উত্তরসূরী | মুহাম্মদ শাহাবউদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত) |
পাকিস্তানের ১ম প্রতিরক্ষা সচিব | |
কাজের মেয়াদ ২৩ অক্টোবর ১৯৪৭ – ৬ মে ১৯৫৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | লিয়াকত আলি খান খাজা নাজিমুদ্দিন মোহাম্মদ আলী বগুড়া |
পূর্বসূরী | বিলুপ্ত |
উত্তরসূরী | আকতার হুসাইন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মুর্শিদাবাদ, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) | ১৩ নভেম্বর ১৮৯৯
মৃত্যু | ১৩ নভেম্বর ১৯৬৯ লন্ডন, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য | (বয়স ৭০)
নাগরিকত্ব | যুক্তরাজ্য (১৮৯৯–১৯৪৭) (১৯৫৮–১৯৫৯) পাকিস্থান (১৯৪৭–১৯৬৯) [১] |
রাজনৈতিক দল | স্বতন্ত্র |
দাম্পত্য সঙ্গী | রিফাত বেগম (১৯২২-১৯৬৭) নাহিদ আমিরতিমুর(১৯৫৪-১৯৬৯) |
সন্তান | ৬ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | এলফিনস্টোন কলেজ রয়েল মিলিটারি একাডেমি সেন্ডহার্স্ট |
ধর্ম | ইসলাম |
সামরিক পরিষেবা | |
কাজের মেয়াদ | ১৯২০–১৯২৮ |
পদ | ![]() |
কমান্ড | সেনা পুলিশ শাখা (মিলিটারী পুলিশ কোর) |
যুদ্ধ | ওয়াজিরিস্তান যুদ্ধ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৪৭ |
সাহেবজাদা সৈয়দ ইস্কান্দার আলি মির্জা CIE, OBE English IPA: ɪskɑndæɾ əɪiː mi(ə)ɹzə ( উর্দু: اسکندر مرزا; ১৩ নভেম্বর ১৮৯৯ – ১৩ নভেম্বর ১৯৬৯) ছিলেন একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ এবং পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি।[২] তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্বপালন করেন। এর পূর্বে ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের শেষ গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।[৩] তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল পদে অবসর নেন।
ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুকাল অবস্থান করার পর ইস্কান্দার মির্জা ইন্ডিয়ান পলিটিকাল সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের জয়েন্ট সেক্রেটারি হন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান তাকে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। বাংলা ভাষা আন্দোলনের পর পূর্ব পাকিস্তানে অস্থিরতা দেখা দিলে খাজা নাজিমুদ্দিন তাকে প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত করেন। ১৯৫৫ সালে মালিক গোলাম মুহাম্মদের পর তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে সংবিধান প্রণয়নের পর তিনি প্রথম রাষ্ট্রপতি হন।[৪] তার রাষ্ট্রপতিত্বকালে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। ১৯৫৮ সালে তিনি সংবিধান স্থগিত করে সামরিক আইন জারি করেন। সেনাপ্রধানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়। রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর প্রভাব তার সময়ে শুরু হয়। সামরিক আইন জারির বিশ দিন পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক আইয়ুব খান তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেন। ইস্কান্দার মির্জা লন্ডনে নির্বাসিত হন।
ইস্কন্দার আলী মির্জা ১৮৯৯ সালের ১৩ নভেম্বর ভারতের বাংলার মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তিনি মীর জাফরের বংশধর ছিলেন। তার পরিবার ১৭৫৭ সাল থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনাধীন বাংলার নবাব এবং ১৮৮০ সালের পর থেকে মুর্শিদাবাদের নবাব উপাধিতে ভূষিত ছিল।[৬] ইস্কন্দার মির্জা ছিলেন সাহেবজাদা সাইয়্যেদ মুহাম্মদ ফতেহ আলী মির্জা (জন্ম ১৮৬৯-মৃত্যু. ১৯২৪) ও তার প্রথম স্ত্রী দিলশাদ বেগমের (জন্ম. ১৮৬৪-মৃত্যু. ১৯৪৯) জ্যেষ্ঠ সন্তান।[৭]
উপাধি, মির্জা, রাজকীয় প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তার পরিবারকে দেওয়া একটি সম্মানজনক পদবি, যা মধ্যযুগীয় ভারতে ব্যক্তিদের দেওয়ার প্রচলিত ছিল। তার পিতামহের পৈতৃক শিকড় থেকে তিনি ইরাকি আরব বংশোদ্ভূত ছিলেন।[৮]
মির্জা পরিবার ছিল বাংলার একটি প্রভাবশালী এবং ধনী সামন্ত পরিবার, ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তার পিতা ফতেহ আলী মির্জা প্রথম নবাব মনসুর আলী খানের নাতি মুর্শিদাবাদের ক্ষমতাসীন বাড়ির সদস্য ছিলেন।
মির্জা বড় হয়ে বোম্বেতে তার স্কুল শেষ করেন, বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলফিনস্টোন কলেজে পড়াশোনা করেন, কিন্তু স্যান্ডহার্স্টের রয়্যাল মিলিটারি কলেজে পড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন যখন তিনি কিংস কমিশনের জন্য ব্রিটিশ গভর্নর-জেনারেল দ্বারা নির্বাচিত হন।[৯]:২০–২১[১০] মির্জা সামরিক কলেজের প্রথম ভারতীয় স্নাতক ছিলেন, এবং ১৯২০ সালের ১৬ জুলাই ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট হিসাবে তার কমিশন অর্জন করেন।[২][১১][১২]
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
নতুন দপ্তর | পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব ১৯৪৭–১৯৫৪ |
উত্তরসূরী আকতার হুসাইন |
পূর্বসূরী চৌধুরী খালিকুজ্জামান |
পূর্ব বাংলার গভর্নর ১৯৫৪–১৯৫৫ |
উত্তরসূরী মুহাম্মদ শাহাবউদ্দিন ভারপ্রাপ্ত |
পূর্বসূরী মুশতাক আহমেদ গুরমানি |
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ১৯৫৪–১৯৫৫ |
উত্তরসূরী এ কে ফজলুল হক |
পূর্বসূরী মালিক গোলাম মুহাম্মদ |
পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ১৯৫৫–১৯৫৬ |
বিলুপ্ত |
নতুন দপ্তর | পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ১৯৫৬–১৯৫৮ |
উত্তরসূরী আইয়ুব খান |