ইস্তাম্বুল পোগ্রম | |
---|---|
স্থান | ইস্তাম্বুল, তুরস্ক |
তারিখ | ৬–৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ |
লক্ষ্য | শহরের গ্রীক জনগণের ব্যক্তিগত সম্পত্তি, অর্থডক্স গির্জা এবং কবরস্থান |
হামলার ধরন | গণহত্যা |
নিহত | সঠিক সংখ্যা অজানা, আনুমানিক ১৩ থেকে ৩৭ অথবা তার বেশি[১][২] |
আহত | ১,০০০ জনের বেশি আহত, আনুমানিক ২০০–৪০০ গ্রীক নারী ও ছেলেকে ধর্ষণ করা হয়েছে[২][৩] |
হামলাকারী দল | ট্যাকটিক্যাল মোবিলাইজেশন গ্রুপ (বিশেষ বাহিনী), ডেমোক্রেট পার্টি,[৪] ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিস,[৫] তুর্কি সাইপ্রাস অ্যাসোসিয়েশন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
ইস্তাম্বুল দাঙ্গা[৬][৩] (প্রকৃত পক্ষে ইস্তাম্বুল পোগ্রম) ছিল ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৬–৭ই সেপ্টেম্বরে প্রাথমিকভাবে ইস্তাম্বুলের গ্রিক সংখ্যালঘুদের উপর পরিচালিত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রিক বিরোধী উচ্ছৃঙ্খল জনতা আক্রমণের একটি ধারাবাহিকতা।[৭][৮] তুরস্কের শাসক ডেমোক্র্যাট পার্টি বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার (ট্যাকটিক্যাল মোবিলাইজেশন গ্রুপ, কাউন্টার-গেরিলা এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিস) সহযোগিতায় এই পোগ্রমের (সুসংগঠিত গণহত্যা) আয়োজন করেছিল।[৯] ঘটনাগুলি গ্রিসের মেসিডোনিয়ার থেসালোনিকিতে তুর্কি কনস্যুলেটে বোমা হামলার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল—যে বাড়িতে ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের জন্ম হয়েছিল।[১০] বোমাটি আসলে কনস্যুলেটে একজন তুর্কি প্রবেশক বা দ্বাররক্ষীর দ্বারা স্থাপন করা হয়েছিল, যাকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছিল। তুর্কি সংবাদমাধ্যম গ্রেপ্তারের বিষয়ে নীরব ছিল, এবং পরিবর্তে, এটি সুকৌশলে ইঙ্গিত দেয় যে গ্রিকরা বোমাটি ফেলেছিল।[২]
পোগ্রমটিকে মাঝে মাঝে গ্রিকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যা হিসাবে বর্ণনা করা হয়, যেহেতু, আলফ্রেড-মরিস ডি জায়াসের মতে, তুলনামূলকভাবে কম মৃত্যুর সংখ্যা সত্ত্বেও, এটি "১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের পরিকল্পিত গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশনের ২ নং অনুচ্ছেদের মানদণ্ডকে পরিপূর্ণ করে কারণ ইস্তাম্বুলে গ্রীক সংখ্যালঘুদের “সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার অভিপ্রায়” প্রদর্শনযোগ্যভাবে উপস্থিত ছিল, গণহত্যা তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আদনান মেন্দেরেসের সরকার দ্বারা সংগঠিত হয়েছে" এবং "পোগ্রমের ফলস্বরূপ, গ্রিক সংখ্যালঘুরা শেষ পর্যন্ত তুরস্ক থেকে দেশত্যাগ করে।"[২]
একটি তুর্কি উচ্ছৃঙ্খল জনতা, যাদের বেশিরভাগ সদস্যকে আগে থেকেই শহরে একত্রিত করা হয়েছিল, ইস্তাম্বুলের গ্রিক সম্প্রদায়কে নয় ঘন্টা ধরে আক্রমণ করেছিল। যদিও উচ্ছৃঙ্খল জনতা স্পষ্টভাবে গ্রিকদের হত্যার আহ্বান জানায়নি, তবে হামলার সময় বা পরে মারধর ও অগ্নিসংযোগের ফলে এক ডজনেরও বেশি লোকের মৃত্যু ঘটেছিল। আর্মেনীয় ও ইহুদিরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।[১১] বেশিরভাগ পুলিশ কর্মী নিষ্ক্রিয় ছিল, এবং সরকার কর্তৃক ইস্তাম্বুলে সামরিক আইন জারি করা, সেনাবাহিনীকে ডাকা ও দাঙ্গা থামানোর নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সহিংসতা অব্যাহত ছিল।[১২] গির্জা পুড়িয়ে ফেলা এবং দোকানপাট ও ব্যক্তিগত বাড়িঘর ধ্বংস সহ বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমান করা হয়েছে।[২]
পোগ্রমটি তুরস্ক থেকে জাতিগত গ্রিকদের, বিশেষ করে ইস্তাম্বুলের গ্রিকদের দেশত্যাগকে ব্যাপকভাবে ত্বরান্বিত করেছিল। তুরস্কের গ্রিক জনসংখ্যা ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ১,১৯,৮২২[১৩] থেকে কমে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে প্রায় ৭,০০০-এ নেমে আসে।[১৪] শুধুমাত্র ইস্তাম্বুলেই, ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে থেকে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে গ্রিক-ভাষী জনসংখ্যা ৬৫,১০৮ থেকে ৪৯,০৮১-এ নেমে আসে।[১৩] তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুসারে গ্রিক বংশোদ্ভূত তুর্কি নাগরিকের সংখ্যা ৩,০০০-৪,০০০;[১৫] যখন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (২০০৬) কর্তৃক তাদের সংখ্যা ২,৫০০ বলে অনুমান করা হয়েছিল।[১৬]
আক্রমণগুলিকে তুর্কিকরণের একটি প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে যা অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের সঙ্গে শুরু হয়েছিল,[৭][১৭][১৮][১৯][২০] কারণ আক্রমণ করা সম্পত্তির প্রায় ৪০% অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মালিকানাধীন ছিল।[১০] কিছু সংবাদমাধ্যমে এই পোগ্রমটিকে ক্রিস্টাইনাখ্টের—১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের নাৎসি জার্মানিতে ইহুদিদের বিরুদ্ধে পরিচালিত পোগ্রম—সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।[২১][৩][২২]
২০০৯ খ্রিস্টাব্দে, তুরস্কের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এরদোগান বলেছিলেন যে তুরস্ক ভুল করেছে, এবং যে: "বিভিন্ন জাতিগত পরিচয়ের সেই সংখ্যালঘুদের অতীতে আমাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। এটি ফ্যাসিবাদী নীতির ফল।"[২৩][২৪][২৫]
The Septemvriana satisfies the criteria of article 2 of the 1948 Convention on the Prevention and Punishment of the Crime of Genocide (UNCG) because the ‘‘intent to destroy in whole or in part’’ the Greek minority in Istanbul was demonstrably present, the pogrom having been orchestrated by the government of Turkish Prime Minister Adnan Menderes. Even if the number of deaths (estimated at thirty-seven) among members of the Greek community was relatively low, the result of the pogrom was the flight and emigration of the Greek minority of Istanbul, which once numbered some 100,000 and was subsequently reduced to a few thousand. The vast destruction of Greek property, businesses, and churches provides evidence of the Turkish authorities’ intent to terrorize the Greeks in Istanbul into abandoning the territory, thus eliminating the Greek minority. This practice falls within the ambit of the crime of ‘‘ethnic cleansing,’’ which the UN General Assembly and the International Criminal Tribunal for the former Yugoslavia have interpreted as constituting a form of genocide... Besides the deaths, thousands were injured; some 200 Greek women were raped, and there are reports that Greek boys were raped as well. Many Greek men, including at least one priest, were subjected to forced circumcision. The riots were accompanied by enormous material damage, estimated by Greek authorities at US$500 million, including the burning of churches and the devastation of shops and private homes. As a result of the pogrom, the Greek minority eventually emigrated from Turkey.
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Vryonis2005
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নিIn 1934 and 1955, the Thrace and Istanbul pogroms respectively, were state-sponsored attacks which were committed against non-Muslim populations as part of the Turkish government's plan to create a homogeneous Turkish nation during the post-Republican period.
In September 1955, the Turkish government orchestrated anti-Greek riots in Istanbul, amassing an angry mob for a pogrom that left tens of people dead, thousands of houses and shops destroyed, and an indelible mark on Greek–Turkish history.
There is a general consensus that the events broke out on the government’s initiative and they were organised in collaboration with the secret police
6–7 Eylül olaylarından önce İstanbul'da 135 bin Rum yaşıyordu. Sonrasında bu sayı 70 bine düştü. 1978'e gelindiğinde bu rakam 7 bindi.
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; kuyucu
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; holland
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নিThe rally got out of control and resulted in a «Kristallnacht» against Greeks in Istanbul.
Tomorrow is the 61st anniversary of Turkey's own Kristallnacht, in which Greeks, Armenians and Jews were attacked and lynched.
Erdogan's words about the expulsion of people with different ethnic identities were covered in the Greek press with the headline "Prime Minister made self-criticism"