ঈদগাহ (উর্দু: عید گاہ) হলো খোলা আকাশের নিচে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার নামাজ পড়ার ময়দান। বছরের অন্যান্য সময়ে এই জায়গায় নামাজ পড়া হয় না। সুন্নত অনুযায়ী ঈদের দিন সকালে মুসলমানগণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে, পারতপক্ষে নতুন পোশাক পরে ঈদগাহে জমায়েত হয়। যদিও ঈদগাহ একটি হিন্দুস্তানি শব্দ, বিশ্বের অন্যান্য অংশে ঈদের নামাজ পরার জন্য যেকোনো খোলা স্থানকে বুঝানোর ক্ষেত্রে এ শব্দ ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যেহেতু ইসলামী পরিভাষায় এর কোন নির্দিষ্ট আরবি শব্দ নেই।
ঈদগাহে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে শরীয়তের কিছু সুস্পষ্ট বিধান আছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান।[৫] প্রতিবছর এ ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কালের স্রোতে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানটি পরিণত হয়ে উঠেছে একটি ঐতিহাসিক স্থানে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এখানে। এ ময়দানের বিশাল জামাত গৌরবান্বিত ও ঐতিহ্যবাহী করেছে কিশোরগঞ্জকে। বর্তমানে এখানে একসঙ্গে তিন লক্ষাধিক মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শুরুর আগে শর্টগানের ফাঁকা গুলির শব্দে সবাইকে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সঙ্কেত দেওয়া হয়। কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্বে নরসুন্দা নদীর তীরে এর অবস্থান।
ঢাকার ধানমন্ডি থানায় অবস্থিত ধানমন্ডি শাহী ঈদগাহ বা মুঘল ঈদগাহ। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। ১৬৪০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার সুবাদার সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার প্রধান অমাত্য নীর আবুল কাসেম ধানমন্ডির শাহী ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন।[৬][৭]
সিলেট শহরের উত্তর সীমায় শাহী ঈদগাহ বা সিলেট শাহী ঈদগাহ মাঠের অবস্থান। বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক স্থাপনা সমুহের মধ্যে ১৭০০ সালের প্রথম দিকে নির্মিত সিলেটের শাহী ঈদগাহকে গণ্য করা হয়। [৮]
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)