উইজেডন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার (ইংরেজি: Wisden Leading Cricketer in the World) প্রদেয় সম্মাননাটি ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ নামে পরিচিত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক কর্তৃক ২০০৪ সালে প্রবর্তন করা হয়। এটি উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা পাঁচজন ক্রিকেটার পুরস্কারের অন্যতম অংশ। উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরই প্রকাশিত অ্যালমেনাকে প্রকাশের জন্য পূর্ববর্তী বছরে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী ক্রিকেটারকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে। উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার পুরস্কারটি খেলোয়াড়ী জীবনে মাত্র একবার পুরস্কার প্রদান করা হলেও এখানে এর ব্যতিক্রম রয়েছে। এখানে একজন খেলোয়াড় একাধিকবার পুরস্কৃত হতে পারেন।
২০০৭ সালের সংস্করণের জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচারকমণ্ডলীদের নিয়ে গড়া একটি পরিষদ গঠন করা হয়। সদস্যরা ১৯০০ সাল থেকে ২০০২ সালের মধ্যকার সময়কালে বছরের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার নির্বাচন করেন। তবে, দুইটি বিশ্বযুদ্ধের জন্য ঐ বছরের কোন খেলোয়াড়কে মনোনীত করা হয়নি।
ব্র্যাডম্যান এ পুরস্কারটি একাই দশবার এবং গ্যারি সোবার্স আটবার লাভ করেছিলেন। অন্য কোন খেলোয়াড়ই তিনবারের বেশি লাভ করতে পারেননি। যে বছরের জন্য খেলোয়াড় পুরস্কৃত হয়েছেন তা উইজডেনের পরবর্তী বছরের সংস্করণে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ: বীরেন্দ্র শেওয়াগ ২০০৮ সালে পুরস্কার পেলেও তা ২০০৯ সালের সংস্করণে ঘোষণা করা হয়।
সাল | খেলোয়াড়ের নাম | দলের নাম |
---|---|---|
২০১৯ | বেন স্টোকস | ইংল্যান্ড |
২০১৮ | বিরাট কোহলি | ভারত |
২০১৭ | বিরাট কোহলি | ভারত |
২০১৬ | বিরাট কোহলি | ভারত |
২০১৫ | কেন উইলিয়ামসন | নিউজিল্যান্ড |
২০১৪ | কুমার সাঙ্গাকারা | শ্রীলঙ্কা |
২০১৩ | ডেল স্টেইন | দক্ষিণ আফ্রিকা |
২০১২ | মাইকেল ক্লার্ক | অস্ট্রেলিয়া |
২০১১ | কুমার সাঙ্গাকারা | শ্রীলঙ্কা |
২০১০ | শচীন তেন্ডুলকর | ভারত |
২০০৯ | বীরেন্দ্র শেওয়াগ | ভারত |
২০০৮ | বীরেন্দ্র শেওয়াগ | ভারত |
২০০৭ | জ্যাক ক্যালিস | দক্ষিণ আফ্রিকা |
২০০৬ | মুত্তিয়া মুরালিধরন | শ্রীলঙ্কা |
২০০৫ | অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ | ইংল্যান্ড |
২০০৪ | শেন ওয়ার্ন | অস্ট্রেলিয়া |
২০০৩ | রিকি পন্টিং | অস্ট্রেলিয়া |
খেলোয়াড় | পুরস্কার | সাল |
---|---|---|
ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান | ১০ | ১৯৩০, ১৬৩১, ১৯৩২, ১৯৩৪, ১৯৩৬, ১৯৩৭, ১৯৩৮, ১৯৩৯, ১৯৪৬, ১৯৪৮ |
গারফিল্ড সোবার্স | ৮ | ১৯৫৮, ১৯৬০, ১৯৬২, ১৯৬৪, ১৯৬৫, ১৯৬৬, ১৯৬৮, ১৯৭০ |
জ্যাক হবস | ৩ | ১৯১৪, ১৯২২, ১৯২৫ |
বিরাট কোহলি | ৩ | ২০০৮, ২০০৯ |
ভিভ রিচার্ডস | ৩ | ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮০ |
শেন ওয়ার্ন | ৩ | ১৯৯৩, ১৯৯৭, ২০০৪ |
সিডনি বার্নস | ২ | ১৯১২, ১৯১৩ |
চার্লস বার্জেস ফ্রাই | ২ | ১৯০১, ১৯০৩ |
লেন হাটন | ২ | ১৯৪৯, ১৯৫২ |
ব্রায়ান লারা | ২ | ১৯৯৪, ১৯৯৫ |
ডেনিস লিলি | ২ | ১৯৭২, ১৯৭৭ |
চার্লি ম্যাককার্টনি | ২ | ১৯২১, ১৯২৬ |
ম্যালকম মার্শাল | ২ | ১৯৮৬, ১৯৮৮ |
মুত্তিয়া মুরালিধরন | ২ | ২০০০, ২০০৬ |
গ্রেইম পোলক | ২ | ১৯৬৭, ১৯৬৯ |
কুমার সাঙ্গাকারা | ২ | ২০১১, ২০১৪ |
বীরেন্দ্র সেহবাগ | ২ | ২০০৮, ২০০৯ |
শচীন তেন্ডুলকর | ২ | ১৯৯৮, ২০১০ |
ভিক্টর ট্রাম্পার | ২ | ১৯০২, ১৯১১ |
বারোটি টেস্টভূক্ত দেশের মধ্যে কেবলমাত্র বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান বাদে বাদ-বাকী আটটি দেশের খেলোয়াড়েরা উইজডেন কর্তৃক এ সম্মাননায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা এ তালিকায় প্রভাববিস্তার করে আছেন। সম্মিলিতভাবে তারা অর্ধেকের বেশি পুরস্কার পেয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ৩৬টি পুরস্কারের ৩৪টি তারা পেয়েছিলেন। তবে, ২০০৪ সালের পর থেকে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা ছয়বার, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার তিনবার, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা দুইবার করে পেয়েছেন।[১]
দল | পুরস্কার |
---|---|
অস্ট্রেলিয়া | ৩৫ |
ইংল্যান্ড | ২৯ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ২০ |
ভারত | ৮ |
দক্ষিণ আফ্রিকা | ৮ |
শ্রীলঙ্কা | ৫ |
নিউজিল্যান্ড | ৩ |
পাকিস্তান | ২ |