উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ | ||
---|---|---|
![]() | ||
অফিসিয়াল ওয়েব সাইট | ||
অবস্থান | লন্ডন বোরো অফ মার্টন যুক্তরাজ্য | |
ভেন্যু | দি অল ইংল্যান্ড লন টেনিস এন্ড ক্রোকুয়েট ক্লাব | |
সারফেস | ঘাস / আউটডোর (সেন্টার কোর্ট ব্যতীত যেখানে বৃষ্টি এবং স্বল্পালোকের জন্য ছাদ দিয়ে খেলা হয়) | |
পুরুষদের ড্র | ১২৮ একক / ৬৪ দ্বৈত | |
মহিলাদের ড্র | ১২৮ একক / ৬৪ দ্বৈত | |
মিশ্র ড্র | ৪৮ দ্বৈত | |
প্রাইজমানি | £ ৪৪,৭০০,০০০ (২০২৩)[১] | |
গ্র্যান্ড স্ল্যাম | ||
বর্তমান | ||
![]() |
উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ (ইংরেজি: Wimbledon Championship) বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন টেনিস প্রতিযোগিতাবিশেষ। অনেকের মতে এটি বিশ্ব টেনিস জগতের সবচেয়ে ধ্রুপদী, মর্যাদাসম্পন্ন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা।[২][৩][৪][৫] ১৮৭৭ সাল থেকে এটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উইম্বলডনের এলাকায় সাংবাৎসরিকভাবে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মহিলাদের একক ৭ বছর পর ১৮৮৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়। একই বছর পুরুষদের দ্বৈত খেলা অক্সফোর্ড থেকে স্থানান্তর করা হয়। ১৯১৩ সালে মিশ্র দ্বৈত এবং প্রমিলা দ্বৈতের প্রচলন ঘটানো হয়।
প্রতিযোগিতাটি চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম টেনিস প্রতিযোগিতার অংশবিশেষ। বাকী তিনটি প্রধান গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতা হচ্ছে - অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং ইউএস ওপেন। উইম্বলডনই একমাত্র প্রাকৃতিক ঘাস প্রধান মাঠ যা বর্তমান বিশ্বে অদ্যাবধি প্রচলিত রয়েছে। খেলার প্রকৃত অবস্থার প্রেক্ষিতে এটির নামকরণ লন টেনিস করা হয়েছে।
ক্রীড়া সময়সূচী মোতাবেক উইম্বলডন বছরের ৩য় গ্র্যান্ড স্ল্যাম টেনিস প্রতিযোগিতা যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেনিস প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচ্য। ফ্রেঞ্চ ওপেন প্রতিযোগিতার পর কিন্তু ইউএস ওপেনের পূর্বে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সচরাচর গ্রীষ্মকালেই এর আয়োজন করা হয়। ১৯৬৮ সালে পেশাদার এবং শৌখিন খেলোয়াড় - উভয়ের জন্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। রড ল্যাভার এবং বিলি জিন কিং তাদের স্ব-স্ব এককে জয়লাভ করেছিলেন।
২০২৩ উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ উইম্বলডনের ১৩৬ তম আসর যা ৩ জুলাই ২০২৩ থেকে ১৬ জুলাই ২০২৩-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়৷
১৮৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত অল ইংল্যান্ড লন টেনিস এন্ড ক্রোকুয়েট ক্লাব একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্লাবরূপে গড়ে উঠে যা অল ইংল্যান্ড ক্রোকুয়েট ক্লাব নামে পরিচিত। ক্লাবটির প্রথম মাঠ ছিল উইম্বলডনের ওরপল রোডে।[৬]
১৮৭৬ সালে মেজর ওয়াল্টার ক্লপটন উইংফিল্ড কর্তৃক আবিস্কৃত লন টেনিস খেলা যা তিনি স্টিকি বা স্ফেইরিস্টিক নামে বলতেন, তা ক্লাবের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়। ১৮৭৭ সালের বসন্তে দলটির নাম পুনরায় পরিবর্তিত হয়ে দি অল ইংল্যান্ড ক্রোকুয়েট এন্ড লন টেনিস নাম ধারণ করে। নাম পরিবর্তন করে এটি প্রথমবারের মতো লন টেনিস প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের পরিচালনায় অণুসৃত নিয়মাবলী পরিবর্তিত করে এ খেলার উপযোগী আইন-কানুন তৈরী করা হয়। বর্তমানে প্রচলিত আইন-কানুনের মধ্যে তৎকালীন নেট বা জালের উচ্চতা ও খুঁটি এবং নেট থেকে সার্ভিস লাইনের দূরত্ব বহাল রয়েছে।
দুই সপ্তাহব্যাপী এ টেনিস প্রতিযোগিতা জুনের শেষ দিক শুরু হয়ে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালের প্রতিযোগিতাটি ২৫ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রমিলা এবং পুরুষ এককের চূড়ান্ত খেলাগুলো সাধারণতঃ ২য় শনিবার ও রবিবারে অনুষ্ঠানের জন্য পূর্বেই নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
উইম্বলডনে প্রাচীনধারায় বহমান রয়েছে খেলোয়াড়দের পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যবহার। আম্পায়ার বা রেফারী এবং লাইন্সম্যান - সকলেই বিশেষ ধরনের গাঢ় সবুজ ও ফিকে লাল রঙের পোশাক পরিধান করেন। খেলোয়াড়গণ সাদা পোশাক পড়েন। দর্শকদের জন্য স্ট্রবেরী এবং ক্রিম খাওয়াসহ রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা। আরও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে কোর্টে কোনরূপ বিজ্ঞাপনচিত্র নেই। ২০০৯ সালে খেলা চলাকালে বৃষ্টিবিঘ্নতা থেকে রক্ষা পাবার জন্যে উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে ছাদের আচ্ছাদন দেয়া হয়েছে।
প্রতিটি টেনিস প্রতিযোগিতার শুরুতে খেলোয়াড়গণ তাদের অবস্থান নির্ধারণের জন্য ড্র বা টসের মুখোমুখি হন। উইম্বলডনে খেলোয়াড়গণের র্যাংকিং যা-ই থাকুক না কেন এ সুযোগ পান। কিন্তু অন্যান্য টেনিস প্রতিযোগিতায় মাঠের অবস্থানের জন্য র্যাংকিংকে প্রাধান্য দেয়া হয়।
১৯৬৮ সালে প্রথমবারের মতো পুরস্কারের অর্থমূল্যমান বা প্রাইজমানি প্রবর্তন করা হয়। একই বছর পেশাদারী খেলোয়াড়দেরকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়।[৭]
২০০৭ সালের পূর্বে গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রস্থল উইম্বলডন এবং ফরাসী ওপেনে মহিলা প্রতিযোগীদের তুলনায় পুরুষ প্রতিযোগীকে অধিক পরিমাণে প্রাইজমানি প্রদান করা হতো। ২০০৭ সালে উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ এ নীতির পরিবর্তন করে। মহিলা ও পুরুষ - উভয় বিভাগেই সমান অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।[৮] এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে টেনিস অঙ্গনে ক্ষাণিকটা বিতর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কারণ, নারীরা পুরুষদের তুলনায় কোর্টে প্রায় অর্ধেক সময় ব্যয় করেন। তাঁরা মাত্র ৩টি সেট খেলেন, যেখানে পুরুষ প্রতিযোগীগণ ৫ সেট খেলেন। ফলে পুরুষ প্রতিযোগীর তুলনায় তাঁরা ঘণ্টা প্রতি বেশি অর্থ পান।[৯][১০][১১]
২০০৯ সালে সর্বমোট প্রাইজমানি প্রদান করা হয় £১২,৫০০,০০০ পাউন্ড। তন্মধ্যে পুরুষ ও মহিলা এককের শিরোপাধারীকে £৮৫০,০০০ পাউন্ড স্টার্লিং দেয়া হয় যা ২০০৮ সালের তুলনায় ১৩.৩% বেশি ছিল।[১২]
২০১০ সাল উইম্বলডন প্রতিযোগিতায় প্রাইজমানি বৃদ্ধি করে £১৩,৭২৫,০০০ পাউন্ডে উন্নীত করা হয়। একক শিরোপাধারীর প্রত্যেককে £১,০০০,০০০ পাউন্ড স্টার্লিং দেয়া হয়।
উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ কর্তৃপক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়ে যে ২০১১ সালের প্রতিযোগিতায় সর্বমোট £১৪,৬০০,০০০ পাউন্ড স্টার্লিং দেয়া হবে যা ২০১০ সালের তুলনায় ৬.৪% বেশি। পুরুষ ও নারী এককের চ্যাম্পিয়নকে £১,১০০,০০০ পাউন্ড স্টার্লিং প্রদান করা হয় যা পূর্ববতী বছরের তুলনায় ১০% বেশি।[১৩]
২০২২ আসর | বিজয়ী | ফাইনাল | সেমি ফাইনাল | কোয়ার্টার ফাইনাল | রাউন্ড অফ ১৬ | রাউন্ড অফ ৩২ | রাউন্ড অফ ৬৪ | রাউন্ড অফ ১২৮1 | কোয়ালিফায়ার ৩ | কোয়ালিফায়ার ২ | কোয়ালিফায়ার ১ |
একক | £২,৩৫০,০০০ | £১,১৭৫,০০০ | £৬০০,০০০ | £৩৪০,০০০ | £২০৭,০০০ | £১৩১,০০০ | £৮৫,০০০ | £৫৫,০০০ | £৩৬,০০০ | £২১,৭৫০ | £১২,৭৫০ |
দ্বৈত | £৬০০,০০০ | £৩০০,০০০ | £১৫০,০০০ | £৭৫,০০০ | £৩৬,২৫০ | £২২,০০০ | £১৩,৭৫০ | — | — | — | — |
উইম্বলডনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে খেলোয়াড়ের র্যাংকিং পয়েন্ট অর্জনে এটিপি ও ডব্লিউটিএ-তে ভিন্নতা রয়েছে। বর্তমানে একক খেলায় নিম্নরূপ পয়েন্ট প্রদান করা হয়ঃ-
স্তর | চ্যাম্পিয়ন | ফাইনাল | সেমি ফাইনাল | কোয়ার্টার ফাইনাল | ৪র্থ রাউন্ড | ৩য় রাউন্ড | ২য় রাউন্ড | ১ম রাউন্ড | |
একক | পুরুষ | ২০০০ | ১২০০ | ৭২০ | ৩৬০ | ১৮০ | ৯০ | ৪৫ | ১০ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মহিলা | ১৩০০ | ৭৮০ | ৪৩০ | ২৪০ | ১৩০ | ৭০ | ১০ | ||
দ্বৈত | পুরুষ | ২০০০ | ১২০০ | ৭২০ | ৩৬০ | ১৮০ | ৯০ | ০ | – |
মহিলা | ১৩০০ | ৭৮০ | ৪৩০ | ২৪০ | ১৩০ | ১০ | – |
|
২০২৩ আসর | চ্যাম্পিয়ন | রানার-আপ | স্কোর |
---|---|---|---|
পুরুষ একক | ![]() |
![]() |
১–৬, ৭–৬(৮–৬), ৬–১, ৩–৬, ৬–৪ |
মহিলা একক | ![]() |
![]() |
৬–৪, ৬–৪ |
পুরুষ দ্বৈত | ![]() ![]() |
![]() ![]() |
৬–৪, ৬–৪ |
মহিলা দ্বৈত | ![]() ![]() |
![]() ![]() |
৭–৫, ৬–৪ |
মিশ্র দ্বৈত | ![]() ![]() |
![]() ![]() |
৬–৪, ৬–৭(৯–১১), ৬–৩ |
Federer said[:] 'I love playing with him, especially here at Wimbledon, the most prestigious tournament we have.'
this first tennis championship, which later evolved into the Wimbledon Tournament ... continues as the world's most prestigious event.
পূর্বসূরী ফ্রেঞ্চ ওপেন |
গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতা জুন-জুলাই |
উত্তরসূরী ইউএস ওপেন |