উইলিয়াম "বিল" জি. কেলিন জুনিয়র (জন্ম ১৯৫৭) হলো হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের একজন অধ্যাপক। তিনি অক্সিজেনের প্রাপ্যতার সাথে কোষগুলি কীভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারে তার রহস্য উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বেসিক মেডিক্যাল রিসার্চ এর জন্য ২০১৬ সালে লাসকার পুরস্কার এবং অ্যাসকো সায়েন্স অব অনকোলজি ও এএসিআর প্রিন্সেস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।[২][৩] ২০০৮ সালে তিনি হার্ভার্ড ক্যান্সার সেন্টারের বেসিক সায়েন্স বিভাগের সহকারী পরিচালক হন।
উইলিয়াম ক্যালিন, জুনিয়র ১৯৯৫ সালে ভন হিপ্পেল-লিন্ডা(VHL) টিউমার দমনকারী জিনের গবেষণায় জড়িত ছিলেন এবং জিনের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ক্লোনটি বিচ্ছিন্ন করার পরে দেখিয়েছিলেন যে এটি VHL(von Hippel-Lindao) মিউট্যান্ট টিউমারিজেনিক সেল লাইনে টিউমার বৃদ্ধি দমন করতে পারে।[৪]
তার গবেষণায় তিনি "ডানা-ফার্বার" এ মূলত ক্যান্সার প্রকল্পের উন্নয়নে টিউমারের জিন দমনে মিউটেশন বা প্রকরণে মূল ভূমিকা রাখেন। তার প্রধান কাজ ছিলো রেটিনোব্লাস্টোমা, ভন হিপ্পেল-লিন্ডা (VH ও পি৫৩ টিউমার দমন জিন নিয়ে কাজ করা।
তার গবেষণার কাজে ন্যাশনাল ইন্সটিটউট অব হেলদ, আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি, ডোরিস ডিউক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন
ও অন্যান্য সংস্থাসমূহ তহবিল দিয়ে থাকে।[৫]
কেলিন ডিউক ইউনিভার্সিটি থেকে গণিত ও রসায়নে স্নাতক উপাধি অর্জন করেন।[১]
১৯৯২ সালে তিনি DFCI ডাউনে নিজস্ব ল্যাব স্থাপন করেন, যেখান থেকে তিনি ক্যান্সারের বংশগতি সংক্রান্ত গবেষণা করেন। ২০০২ সালে তিনি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক নিযুক্ত হন[৬]
তিনি এলি লিলি নামক পরিচালকমন্ডলীদের বোর্ডের একজন সদস্য।[৬][৭]
তিনি স্তন ক্যান্সার সার্জন ডাক্তার ক্যারোলিন কেলিনকে ১৯৮৮ সালে বিবাহ করেন। তার স্ত্রী ক্যারোলিন ২০১৫ সালে ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে।[৮]