উচ্চ-তীব্রতা ক্ষরণ বাতি এক ধরনের বৈদ্যুতিক গ্যাস ক্ষরণ বাতি যা একটি বিগলিত কোয়ার্জ বা বিগলিত অ্যালুমিনা দিয়ে নির্মিত আলোকধনু নলের ভেতরে স্থাপিত দুইটি টাংস্টেন তড়িৎদ্বারের মধ্যে বৈদ্যুতিক আলোকধনু সৃষ্টির মাধ্যমে আলো প্রদান করে।[১] এই নলটি অভিজাত গ্যাস দিয়ে পূর্ণ করা থাকে এবং প্রায়শই এতে একটি উপযুক্ত ধাতু বা ধাতব লবণ থাকে। অভিজাত গ্যাসটি আলোকধনুর প্রথম ঘাতটি শুরু করে। আলোকধনু একবার শুরু হবার পরে এটি ধাতব মিশ্রণটিকে উত্তপ্ত করে বাষ্পীভূত করে। আলোকধনু প্লাজমাতে ধাতব মিশ্রণের উপস্থিতি একটি প্রদত্ত ক্ষমতার বিদ্যুৎ শক্তির জন্য আলোকধনু দ্বারা উৎপাদিত দৃশ্যমান আলোর তীব্রতা অনেক বাড়িয়ে দেয়, কারণ ধাতব পরমাণুগুলির দৃশ্যমান আলোক বর্ণালীর বহু কম্পাংক পরিসরে বহুসংখ্যক নিঃসরণ বর্ণালীরেখা থাকে। উচ্চ-তীব্রতা ক্ষরণ বাতিগুলি এক ধরনের আলোকধনু বাতি (arc lamp)। এই বাতিগুলিকে ইংরেজিতে হাই-ইনটেনসিটি ডিসচার্জ ল্যাম্প (High-intensity discharge lamp) বা সংক্ষেপে এইচআইডি ল্যাম্প (HID lamp) বলা হয়।
আনকোরা নতুন উচ্চ-তীব্রতা ক্ষরণ বাতিগুলির দীপন ক্ষমতা অর্থাৎ প্রতি একক বিদ্যুৎশক্তির জন্য দৃশ্যমান আলো উৎপাদনের ক্ষমতা প্রতিপ্রভ বাতি ও ভাস্বর বাতির তুলনায় বেশি হয়, কেননা এদের বিকিরণের এক বৃহৎ ভগ্নাংশ দৃশ্যমান আলোক বর্ণালীতে বিদ্যমান, যার বিপরীতে প্রতিপ্রভ বাতি ও ভাস্বর বাতিগুলির বিকিরণের এক তাৎপর্যপূর্ণ অংশ অবলোহিত বিকিরণ হয়ে থাকে। তবে ১০ হাজার ঘণ্টা চালানোর পরে উচ্চ-তীব্রতা ক্ষরণ বাতিগুলির লুমেন উৎপাদন ৭০% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।
অনেক আধুনিক মোটরযানের মূল আলোক ব্যবস্থাতে উচ্চ-তীব্রতা ক্ষরণ বাতি ব্যবহার করা হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এলইডি বাতি ও লেজার প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়া শুরু করেছে। [২]