উত্তরা বাওকর | |
---|---|
জন্ম | ১৭ মে ১৯৪৪ |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৬৮-বর্তমান |
উত্তরা বাওকর একজন ভারতীয় মঞ্চ, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেত্রী। তিনি বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছিলেন, এরমধ্যে আছে মুখ্যমন্ত্রী, মেনা গুরজারি, ওথেলো, তুঘলক , ছোট সাইয়াদ বড় সইয়াদ উমরাও জান ইত্যাদি।[১] ১৯৭৮ সালে, তিনি কুসুম কুমারের হিন্দি অনুবাদে জয়বন্ত দলবির নাটক সন্ধ্যা ছায়া পরিচালনাও করেছিলেন।[২]
১৯৮৪ সালে, তিনি সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার এবং হিন্দি থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য ভারতের জাতীয় একাডেমী পুরস্কার জিতেছিলেন।[৩] তিনি সদাশিব আম্রপুরকর ও রেণুকা দফতরদারের সাথে দোঘি (১৯৯৫) এবং সোনালী কুলকার্নির সাথে উত্তরায়ণ (২০০৫), শেওরি (২০০৬) এবং রেস্তোঁরা (২০০৬) এর মতো মারাঠি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। [৪]
১৯৮৯ সালে তিনি এক দিন অচানক ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা সহ অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন।[৫]
উত্তরা ১৯৪৪ সালের ১৭ই মে তারিখে মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলি তে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইব্রাহিম আলকাজির অধীনে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি) তে অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেন,[৬] এবং ১৯৬৮ সালে স্নাতক হন।[৭]
মারাঠি মঞ্চে উত্তরা তাঁর কর্ম জীবন শুরু করেছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাটকে মূল ও বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যেমন মুখ্যমন্ত্রী তে পদ্মাবতী, 'মেনা গুরজারি'-তে মেনা, শেক্সপিয়ারের ওথেলো তে ডেসডিমোনা, গিরিশ কারনাডের তুঘলক এ নাট্যকারের মা, ছোট সাইয়াদ বড় সইয়াদ এ নাচনী, এবং উমরাও জান নাটকে মুখ্য ভূমিকা উমরাও ইত্যাদি। দিল্লিতে এনএসডি-র প্রাক্তন শিক্ষার্থী হওয়ার কারণে, তিনি ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে এনএসডি নিধি সংস্থার সাথে শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসাবে ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে চলচ্চিত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আগে এই সময়টি হিন্দি থিয়েটারের পুনর্জাগরণ সময় হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে তিনি জয়বন্ত দলবির নাটক সন্ধ্যা ছায়া পরিচালনাও করেছিলেন। মূল নাটকের হিন্দি অনুবাদ করেছিলেন কুসুম কুমার। তিনি মারাঠি ছবি শেভরী এবং দোঘি তে সদাশিব আম্রপুরকরের সাথে অভিনয় করেছিলেন। উত্তরায়ণ এবং রেস্তোঁরা ছবিতে তিনি সোনালী কুলকার্নির সাথে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৮৪ সালে, তিনি সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার এবং হিন্দি থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য ভারতের জাতীয় একাডেমির পুরস্কার জিতেছিলেন। এরপর ১৯৮৯ সালে তিনি এক দিন অচানক ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা সহ অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। এই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন মৃণাল সেন। এই চলচ্চিত্রে শাবানা আজমি শ্রীরাম লাগু অপর্ণা সেনের মত সহ শিল্পীদের তিনি পেয়েছিলেন।[৫]
উত্তরা বাওকার ভারতের একজন বরিষ্ঠ থিয়েটার ব্যক্তিত্ব। সম্প্রতি তিনি মর্যাদাপূর্ণ এমপি স্কুল অফ ড্রামা প্রতিষ্ঠানে একটি নাটকের ক্লাস নিতে ভোপালে গিয়ে ছিলেন। তিনি নাটক স্কুলে বাচ্চাদের সাথে একটি পারস্পরিক আলোচনা সভা পরিচালনা করেছিলেন। এরপরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, "ভোপাল একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক শহর যেখানে প্রচুর প্রতিভা খুঁজে পাওয়া যাবে। এমনকি আপনি এটিকে ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবেও বলতে পারেন।"[৮]
উত্তরা বিবাহ করেন নি। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, "এটা কখনও ঘটেনি। আমি বিবাহিত জীবনের অভাব বোধ করি না। কারণ আমার উভয় লিঙ্গের অনেক বন্ধু রয়েছে। বিবাহ এবং মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা না পাওয়া হিসাবে বলা যায়, এমন অনেক জিনিস রয়েছে যেগুলি সম্বন্ধে কারোর কারোর প্রথম অভিজ্ঞতা হত নি। এটি মানুষ হিসাবে বা অভিনেত্রী হিসাবে আমাকে অসম্পূর্ণ করে তোলে না"[৯]