উদীয়মান প্রযুক্তি হল সেসব প্রযুক্তি যেগুলো বর্তমান অবস্থা পরিবর্তনে সক্ষম বলে বিবেচ্য। এই প্রযুক্তিগুলো সাধারণত নতুন হলেও কিছু পুরোন প্রযুক্তি যেগুলো সম্পর্কে দ্বিমত আছে বা তুলনামূলকভাবে অনুন্নত, সেসব প্রযুক্তিও উদীয়মান প্রযুক্তির অন্তর্গত। উদাহরণস্বরূপঃ ৩ডি প্রিন্টিং ও জিন থেরাপি উদীয়মান প্রযুক্তি হলেও এদের উতপত্তি যথাক্রমে ১৯৮১ ও ১৯৯০ সালে।
উদীয়মান প্রযুক্তি তুলনামূলক ভিত্তিগত নতুনত্ব, দ্রুত বৃদ্ধি ও প্রসারমান, যুক্তিসম্পন্ন, দৃশ্যমান প্রভাব বিস্তারকারী, অনিশ্চিত ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। [১]
বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি উদীয়মান প্রযুক্তির অন্তর্গত। যেমনঃ শিক্ষা প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞান, মনস্তত্ব প্রযুক্তি, রোবটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। [২]
বিভিন্ন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সমসাময়িক অগ্রগতি ও উদ্ভাবনকে উদীয়মান প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বহু শতাব্দি ধরে এসব অগ্রগতি ও উদ্ভাবন সাধারণত তাত্ত্বিক গবেষণা এবং বাণিজ্যিক গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য হয়ে আসছে। [৩][৪]
ক্রমবর্দ্ধমান উন্নয়ন এবং সংহতিনাশক প্রযুক্তিও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের অন্তর্ভুক্ত। বিপরীতভাবে, সংহতিনাশক প্রযুক্তি বলতে বোঝায় একটি নতুন পদ্ধতি পূর্ববর্তী প্রযুক্তি প্রতিস্থাপন করে। উদাহরণ ঃ অটোমোবাইল দ্বারা ঘোড়ায় টানা রথ প্রতিস্থাপন।
কম্পিউটার বিজ্ঞানী বিল জয় সহ আরো অনেক লেখক প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্লাস্টারকে মানবতার ভবিষ্যতের জন্য সমালোচনামূলক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। জয় সাবধান করেছেন যে, প্রযুক্তি অভিজাতদের দ্বারা ভালো বা মন্দ- উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে পারে। [৫]
উদীয়মান প্রযুক্তি |
|
|
|
|