উনা জেলা | |
---|---|
জেলা | |
হিমাচল প্রদেশে উনা জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক (উনা হিমাচল প্রদেশ): ৩১°২৮′৩৪″ উত্তর ৭৬°১৬′১৩″ পূর্ব / ৩১.৪৭৬১১° উত্তর ৭৬.২৭০২৮° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | হিমাচল প্রদেশ |
সদরদপ্তর | উনা, হিমাচল প্রদেশ |
তহসিল | ৫ |
আয়তন | |
• মোট | ১,৫৪৯ বর্গকিমি (৫৯৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৫,২১,০৫৭ |
• জনঘনত্ব | ৩৪০/বর্গকিমি (৮৭০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৮.৮% |
জনসংখ্যা | |
• সাক্ষরতা | ৮৭.২৩% |
• লিঙ্গ অনুপাত | ৯৭৭ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
ওয়েবসাইট | http://hpuna.nic.in/ |
উনা জেলা ভারতের হিমাচল প্রদেশের একটি জেলা। জেলাটি পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর ও রূপনগর জেলা এবং হিমাচল প্রদেশের কাংরা, হামিরপুর ও বিলাসপুর জেলার সাথে সীমানা ভাগ করে নিয়েছে। ভূখণ্ডটি সাধারণত নিম্ন পাহাড়সহ অর্ধ-পাহাড়ি অঞ্চল। উনা প্রধানত একটি শিল্পকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ধর্মশালা শহর বা হিমালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত কুল্লু, মানালি, জাওয়ালামুখী এবং চিন্তপূর্ণীর মত স্থানগুলিতে ভ্রমণকারীদের জন্য এটি ট্রানজিট শহর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মহাকাল মহাকালী মন্দিরটি রোনার কলোনীতে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী মন্দির, উনা দেবী মহাকালী এবং ভগবান মহাকালের প্রতি উৎসর্গীকৃত।[১]
উনা জেলা হিমাচল প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে হিমালয়ের শিভালিক পাহাড় একদিকে ঘুরেছে। সাতলুজ নদী শাহতলাই পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে, যা বাবা বালকনাথে সমাধির জন্য পরিচিত। উনা জেলার উনা শহরের উচ্চতা ৪০৮ মিটারের মত যা চিন্তপূর্ণীতে ১০০০ মিটারেরও বেশি উচ্চতায় পরিবর্তিত হয়েছে। উনা জেলার উত্তর সীমানা বরাবর বিপাশা নদী এবং পূর্বে শতদ্রু নদী প্রবাহিত হয়েছে , দক্ষিণে সোয়ান নদী যা মূলত মৌসুমী নদী, এটি ৬৫ কিলোমিটার জাসওয়ান উপত্যকা বরাবর প্রবাহিত হয়ে আনন্দপুরের নিকট শতদ্রু নদীতে মিলিত হয়েছে।[২]
২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে উনা জেলার মোট জনসংখ্যা ছিল ৫২১,০৫৭ জন।[৩] এরফলে এটি ভারতের ৫৪৩তম জনবহুল জেলায় পরিণত করেছে (৬৪০টি জেলার মধ্যে)। জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৩৮ জন লোক বসবাস করে (প্রতি বর্গমাইলে ৮৮০ জন)। ২০০১-২০১১ এর দশকে উনা জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৬.২৪% শতাংশ। লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৯৭৭ জন নারী রয়েছে। স্বাক্ষরতার হার ৮৭.২৩%।[৩]
স্থানীয় মানুষেলা হিমাচলি, হিন্দি এবং পাঞ্জাবি ভাষায় কথা বলে। উনা শহর, ঘানারি ও হারোলি তহসিলের মানুষেরা হিমাচলি ও পাঞ্জাবি ভাষা সংমিশ্রণের কথা বলে। তবে অন্যান্য অঞ্চল - যেমন বঙ্গানা, আম্ব ও চিন্তপর্ণি হিমাচালি ভাষা বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।
হিন্দুধর্ম এ জেলার প্রধান ধর্ম। এছাড়া শিখ ও ইসলাম ধর্মের প্রচুর অনুসারী রয়েছে। খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা অতি ক্ষুদ্রাকৃতির গোষ্ঠী গঠন করেছে।[৩]
উনা জেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষিনির্ভর। উনা সাম্প্রতিক শিল্পকেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। বাসাল এবং ধামান্দ্রি গ্রামের সমন্বয়ে একটি সমন্বিত শিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠেছে, যা রুদ্রু বাবার মন্দিরের নিকটবর্তী অঞ্চল।
উনা জেলার প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম সড়ক পথ এবং একমাত্র রেলপথ নাঙ্গাল (পাঞ্জাব) থেকে দৌলতপুর হয়ে উনাতে প্রবেশ করেছে। জাতীয় মহাসড়ক এনএইচ২২ শহরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে।