উপরের কোনটিই নয় (সংক্ষেপে নোটা) বা সবার বিপক্ষে ভোট হল কিছু বিচারব্যবস্থায় বা প্রতিষ্ঠানে একটি ব্যালট মনোনয়ন যার মাধ্যমে কোন ভোটদাতা একটি নির্বাচন-এর সকল প্রার্থীদের অসমর্থন করার মতকে প্রকাশের সুযোগ পায়। এটা এই নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা যে, কোন নির্বাচনে না ভোট এর মাধ্যমে মনোনয়নদের নির্বাচনে অসম্মতিতে সম্মতি জানানোর আধিকারও ভোটদাতাদের দরকার।
যে সমস্ত দেশে প্রমিত পদ্ধতি হিসেবে ব্যালটে উপরের কোনটিই নয়-কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ভারত ("নান অব দ্য অ্যাবাভ"), গ্রীস (λευκό, সাদা, কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্কহীন, কেবলমাত্র প্রতীকী।) ইউ. এস. স্টেট অব নেভাদা (নান অব দ্য ক্যান্ডিডেটস), ইউক্রেন (Проти всіх), স্পেন (ভোটো এন ব্ল্যাংকো), এবং কলোম্বিয়া (ভোটো এন ব্ল্যাংকো), [রাশিয়ায় ব্যালটে (Против всех) মনোনয়ন ছিল যেটি ২০০৬ সালে বিলুপ্ত করা হয়।[১] বাংলাদেশ ২০০৮ সালে না ভোটের মনোনয়ন চালু করে।[২] পাকিস্তান ২০১৩ সালের পাকিস্তান নির্বাচনের ব্যালট পেপারে এই সুযোগটি রাখলেও পরে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন একে বাতিল করে দেয়।[৩]
যখন "উপরের কোনটিই নয়" ব্যালটে তালিকাভুক্ত করা হয়, তখন ভোটের অধিকাংশ নোটাতে পড়ার সম্ভাবনা থাকে যেক্ষেত্রে নোটা নির্বাচনে "বিজয়ী" হতে পারে। সেক্ষেত্রে কতগুলি প্রথাগত পদ্ধতি বলবত হতে পারে যেমন, অফিস খালি থাকা, বিভিন্ন অ্যাপয়েন্টমেন্টে অফিস ভরে থাকা, পুননির্বাচন অথবা এর কোন ফালাফল না থাকতে পারে, যেমন, ভারত-এ বা ইউ. এস. স্টেট অব নেভাদা তে দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোট প্রাপকই জয়ী গণ্য হয়।
ভারতের নির্বাচন কমিশন ২০০৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট-কে জানায় যে তারা "নান অব দ্য অ্যাবাভ" যা সরকার সাধারণত বিরোধিতা করে -একে ভোটারদের জন্য ব্যালটে মনোনীত করতে চায়।[৪] পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ নামে একটি বেসরকারি সংগঠন এর সমর্থনে পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন নামে বিবৃতি দায়ের করে।[৫]
২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট আমল করেন যে "নান অব দ্য অ্যাবাভ"-কে নির্বাচনে অন্তর্ভুক্তি করা উচিত এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন যন্ত্রে এর জন্য বোতাম রাখতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন, যাতে ভোটে নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়াছে নাকি তা লক্ষ্য করা যায়।[৬][৭][৮][৯][১০]
নির্বাচন কমিশন আরো ব্যাখ্যা করেছে যে যদিও "নোটা" হিসেবে পড়া ভোট গণনা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার ফলাফল পরিবর্তন করা হবে না। "নোটা" ভোটকে মোট বৈধ ভোট গণনার জন্য এবং নিরাপত্তা আমানত বাজেয়াপ্তকরণ বিষয়ের নির্ধারক হিসাবে বিবেচনা করা হবে না।[১১][১২][১৩][১৪]
২০১৪ সালের ভারতের সাধারণ নির্বাচনে, ১.১ শতাংশ "নোটা" ভোট পড়েছে[১৫] যা কিনা ৬০ লক্ষাধিক ভোট।[১৬]