উবাইদুল্লাহ সিন্ধি | |
---|---|
জন্ম | ১০ মার্চ ১৮৭২ |
মৃত্যু | ২২ আগস্ট ১৯৪৪ | (বয়স ৭২)
যুগ | ব্রিটিশ রাজ |
অঞ্চল | ইসলামী দার্শনিক/উলামা |
উবায়দুল্লাহ সিন্ধি (উর্দু: مولانا عبیداللہ سندھی), (১০ মার্চ ১৮৭২ -২২ আগস্ট ১৯৪৪) ছিলেন একজন জাতীয়তাবাদী নেতা ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের রাজনৈতিক কর্মী।[১][২][৩]
উবাইদুল্লাহ সিন্ধি শিয়ালকোটের একটি শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মের চার মাস আগে তাঁর পিতা ইন্তিকাল করেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি তার নিজস্ব ডায়েরীর মধ্যে লিখেছেন,"আমি যখন ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করা শুরু করি তখন সিন্ধু ও মুলতানের কিছু শিক্ষকের কাছে নাহু- সরফের পাঠ গ্রহন করি।এসময় হজরত মাওলানা আবুস সিরাজ গোলাম মুহাম্মদ দিনপুরীর সান্নিধ্যে ছয় মাস অবস্থান করি।। দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন। তিনি মাওলানা রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহি ও মাওলানা মাহমুদুল হাসানের মত তৎকালীন ইসলামি পন্ডিতদের সান্নিধ্য লাভ করেন। তিনি ১৯০৯ সালে দারুল উলুম দেওবন্দে ফিরে আসেন এবং ধীরে ধীরে প্যান-ইসলামি আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মাওলানা মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে অক্ষশক্তির সাহায্যে ভারতে একটি প্যান ইসলামি আন্দোলনের জন্য ভারত ত্যাগ করা নেতাদের মধ্যে অন্যতম। এই ঘটনা পরবর্তীতে রেশমি রুমাল আন্দোলন নামে পরিচিতি পায়।
যুদ্ধের সময় তিনি আফগান আমির হাবিবউল্লাহ খানের সাথে দেখা করার জন্য কাবুল যান। সংক্ষিপ্ত সময় পর তিনি জার্মান সমর্থনে ভারতে বিপ্লবের জন্য রাজা মহেন্দ্র প্রতাপের পরিকল্পনায় নিজের সমর্থন জানান। ১৯১৫ সালের ডিসেম্বরে কাবুলে গঠিত ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দেন এবং যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানে অবস্থান করেন এবং রাশিয়া চলে যান। এরপর বিভিন্ন দেশের মধ্য দিয়ে তিনি তুরস্কে যান এবং সেখানে দুই বছর অবস্থান করেন। এরপর তিনি হেজাজ যান। সেখানে তিনি ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করেন। কর্মজীবনের প্রথমদিকে তিনি প্যান ইসলামি চিন্তাবিদ ছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি প্যান ইসলামি চিন্তা থেকে সরে আসেন। দেওবন্দি উলামাদের নেতৃত্বে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। উবাইদুল্লাহ সিন্ধি ১৯৪৪ সালের ২১ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। তার লিপিবদ্ধ কিতাব সমূহ হলো "হজরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ এবং তার দর্শন","হজরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ এবং তার রাজনৈতিক আন্দোলন", "খুতুবা"।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |