উমরাও জান | |
---|---|
পরিচালক | মোজাফফার আলী |
প্রযোজক | মোজাফফার আলী |
রচয়িতা |
|
শ্রেষ্ঠাংশে | রেখা |
সুরকার | মোহাম্মদ জহুর খৈয়াম |
চিত্রগ্রাহক | প্রবীন ভট্ট |
সম্পাদক | বি. প্রসাদ |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪৫ মিনিট |
ভাষা | হিন্দুস্তানি[১] |
নির্মাণব্যয় | ₹৫০ লাখ[২] |
উমরাও জান মোজাফফার আলী পরিচালিত ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় হিন্দুস্তানি ভাষায় প্রেমমূলক সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র, ছবিটিতে রেখা নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ১৯০৫ সালে প্রকাশিত উর্দু উপন্যাস উমরাও জান আদার কাহিনীর উপর ভিত্তি করে নির্মিত ছবিটিতে লখনউয়ের এক বারাঙ্গনা এবং তাঁর খ্যাতির উত্থানের গল্প বলা হয়েছে।
১৮৪০ সালে আমিরান নামের এক মেয়েকে ফয়জাবাদে তার পরিবার থেকে অপহরণ করা হয় এবং তাকে লখনউয়ের পতিতালয়ের ম্যাডাম খানুম জানের কাছে বিক্রি করা হয়, খানুম জান অল্পবয়সী বারাঙ্গনাদের শিক্ষা দিত। তার নতুন নাম দেওয়া হয় উমরাও জান, আমিরান ধনী পুরুষদের আকৃষ্ট ও আসক্ত করার জন্য প্রশিক্ষিত একজন মার্জিত মহিলায় পরিণত হয়।
উমরাও নবাব সুলতানের নজর কাড়ে এবং দুজনে প্রেমে পড়ে, তবে যখন নবাব জানায় যে তার পরিবারকে খুশি করার জন্য তাকে অবশ্যই বিয়ে করতে হবে তখন তাদের সম্পর্কের অবসান ঘটে । তারপর উমরাও দস্যু সর্দার ফয়েজ আলীর প্রতি মোহাবিষ্ট হয়, সে উমরাও এর পাণিপ্রার্থনা করে এবং তার হৃদয় জিতে নেয়। সে তার সাথে পালিয়ে যায় কিন্তু স্থানীয় পুলিশের কাছে আলী মারা যাওয়ার পর সে লখনউতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
এর কিছুদিন পরে ব্রিটিশ সেনারা লখনউ আক্রমণ করে এবং সেখানকার লোকেরা পালাতে বাধ্য হয়। উমরাওদের শরণার্থী দল একটি ছোট্ট গ্রামে থামে, যাকে উমরাও ফয়জাবাদ বলে চিনতে পারে। তবে বাসিন্দারা তাকে চিনতে ব্যর্থ হয় এবং তাদের আনন্দের জন্য তাকে নাচতে বলে।
এরপর সে তার পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হয়, তারা তাকে মৃত বলে বিশ্বাস করেছিল। তার মা উমরাওকে ফিরে পেয়ে খুশি হয়ে গ্রহণ করে কিন্তু তার ভাই তা নিষেধ করে এবং উমরাওকে আর কখনও ফিরে না আসার আদেশ দেয়। সে লুটপাটকৃত ও পরিত্যক্ত পতিতালয়টি খুঁজে দেখতে লখনউতে ফিরে আসে।
রেখার অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হলেও বক্স অফিসে আয় ছিল গড় মানের।[৪] পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসিরুদ্দিন শাহ্, ফারুক শেখ, রাজ বব্বর এবং ভারত ভূষণ। সমালোচকরা সাবধানতার সাথে সম্পন্ন ঐতিহাসিক বিন্যাসের অনুকূল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।
সঙ্গীত রচনা করেছেন খৈয়াম এবং গানের কথা লিখেছেন শাহরিয়ার। চলচ্চিত্রটিতে আশা ভোঁসলের গাওয়া বেশ কয়েকটি গান চলচ্চিত্র সঙ্গীতের চিরায়ত হিসাবে বিবেচিত হয়: "দিল চিজ কেয়া হ্যায়", "জুস্তুজু জিস্কি থি", "ইন আনখন কি মাস্তি", এবং "ইয়ে কায়া জাগা হাই দোস্তন"।
পুরস্কার | বিভাগ | প্রাপক(সমূহ) এবং মনোনীত(সমূহ) | ফলাফল | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | রেখা | বিজয়ী | [৫] |
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক | মোহাম্মদ জহুর খৈয়াম | বিজয়ী | ||
শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী | আশা ভোঁসলে | বিজয়ী | ||
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশনা | মনজুর | বিজয়ী | ||
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পরিচালক | মোজাফফার আলী | বিজয়ী | [৬] |
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | রেখা | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক | মোহাম্মদ জহুর খৈয়াম | বিজয়ী |
নং. | শিরোনাম | গীতিকার | গায়ক(সমূহ) | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|
১. | "দিল চিজ কেয়া হ্যায়" | শাহরিয়ার | আশা ভোঁসলে | ৬:০৬ |
২. | "ইন আনখন কি মাস্তি কে" | শাহরিয়ার | আশা ভোঁসলে | ৫:৪২ |
৩. | "জব ভি মিলতি হ্যায়" | শাহরিয়ার | আশা ভোঁসলে | ১:২৮ |
৪. | "ঝুলা কিন্নে দালা" | শাহরিয়ার | ওস্তাদ গোলাম মোস্তফা খান, শাহিদা খান নিজামী | ২:৩১ |
৫. | "জুস্তুজু জিস্কি থি" | শাহরিয়ার | আশা ভোঁসলে | ৪:৩৭ |
৬. | "কাহে কো বাইহি বিদেস" | আমির খসরু[৭] | জগজিৎ কৌর | ৪:৫২ |
৭. | "রাগমালা" | শাহরিয়ার | ওস্তাদ গোলাম মোস্তফা খান, রুনা প্রসাদ, শাহিদা খান | ৫:২২ |
৮. | "ইয়ে কায়া জাগা হাই দোস্তন" | শাহরিয়ার | আশা ভোঁসলে | ৬:০৭ |
৯. | "জিন্দেগী যাব ভি" | শাহরিয়ার | তালাত আজিজ | ৪:৫১ |
১০. | "প্রথম দ্বার ধায়ান" | ওস্তাদ গোলাম মোস্তফা খান |
২০০৬ সালের ৩ নভেম্বর উমরাও জানের পুনঃনির্মাণ মুক্তি পায়। এটি পরিচালনা করেছেন জে.পি. দত্ত এবং এতে উমরাও জান চরিত্রে ঐশ্বরিয়া রায়, ফয়েজ আলীর চরিত্রে সুনীল শেঠি, গৌহর মির্জা চরিত্রে পুরু রাজ কুমার এবং নবাব সুলতান চরিত্রে অভিষেক বচ্চন অভিনয় করেছেন। শাবানা আজমি ম্যাডাম খানুম জাঁন চরিত্রে অভিনয় করেছেন (উল্লেখযোগ্য যে, আজমির নিজের মা শওকত কাইফি ছবিটির মূল সংস্করণে ম্যাডাম খানুম জাঁর চরিত্রে অভিনয় করেছেন)। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আনু মালিক এবং গানের কথা লিখেছেন জাভেদ আখতার।
ভান্য মিশ্র ২০১২ সালের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগীতায় গানটির সাথে নেচেছিলেন।.