"অস্বতী থিরুনাল" উমায়াম্মা, রানী উমায়াম্মা বা রানী আশুরে (অস্বতী) [১] (মৃত্যু ১৯৬৮), ছিলেন দক্ষিণ ভারতের ভেনাদ বা ভেনাতুর [২] [৩] অঞ্চলের রাজকীয় রানী। তার শাসনকাল ছিল ১৬৭৭ থেকে ১৬৮৪ সাল। তার ছোট ভাগ্নে (তার বড় বোন ঊর্ধ্বতন রানী মাকায়রাম থিরুনালের ছেলে) ছিলেন রবি বর্মা। তিনি ঊর্ধ্বতন রানী মাকাইরাম থিরুনালের অধীনে আটিঙ্গালের কনিষ্ঠ রানী ছিলেন এবং পরবর্তীকালে তিনি আটিঙ্গালের প্রধান রানী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। [৪] [৫]
রবিবর্মা ত্রিপ্পাপুরের রাজা হিসেবে শাসন করার সময় (১৬৮৪-১৭১৮), উমায়াম্মা তার স্বরূপমের উপর সার্বভৌম ক্ষমতা বজায় রেখেছিলেন। তিনি কেরালায় ইংরেজ এবং ডাচ ফ্যাক্টরদের সাথে স্বাধীনভাবে আলোচনা করতে সক্ষম ছিলেন। [৪] [১] ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৬৮৮ সালে উমায়াম্মার কাছ থেকে ভিলিনজাম (ব্রিনজহন) এবং রুটেরা (ভালিয়াথুরা বা ভেট্টুর) কারখানার অঞ্চলগুলির অধিকার গ্রহন করে। [১] ১৬৯৪ সালে রানীর কাছ থেকে আনজেঙ্গোতে একটি দুর্গ নির্মাণের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। উমায়াম্মা আটিঙ্গালের নিকটবর্তী এডাভাতে ডেনিসীয়দের সাথে একটি চুক্তিও সম্পন্ন করেন। [৪] [১]
ইতিহাসবিদ কেভিকে আইয়ারের মতে, রানী উমায়াম্মা তার রাজনৈতিক চিন্তাধারা ও সুবুদ্ধির মাধ্যমে রাজ্যের এক জোড়ালো প্রশাসনিক ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন যার উপর তার নাতি মার্থান্ডা ভার্মা আধুনিক ত্রাভাঙ্কোরের শক্তিশালী রাজ্য নির্মাণ করেছিলেন। [৫] ডাচ কমান্ডার হেনরিক ভ্যান রিডে (যিনি ১৬৭৭ সালে উমায়াম্মার সাথে দেখা করেছিলেন) তিনি ১৬৯৪ সালে উমায়াম্মার সম্পর্কে লিখেছিলেন। তার ব্যক্তিগত লেখা থেকে জানা যায় যে আটিঙ্গাল সেই সময়ে প্রায় ৩০,০০ লোকের বিশাল সৈন্যবাহিনী গচ্ছিত রাখতে সক্ষম ছিল। [৪] [১] রানী উমায়াম্মা ১৯৬৮ সালে ভ্যালিয়াথুরায় তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [১] [৪]