প্রতিষ্ঠিত | ২০১৩ |
---|---|
অঞ্চল | ইউরোপ (উয়েফা) |
দলের সংখ্যা | ৬৪ |
উন্নীত | আন্তর্মহাদেশীয় কাপ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | অলিম্পিয়াকোস (১ম) |
সবচেয়ে সফল দল | বার্সেলোনা চেলসি (২) |
টেলিভিশন সম্প্রচারক | সম্প্রচারকের তালিকা |
ওয়েবসাইট | uefa.com |
২০২৪–২৫ উয়েফা যুব লিগ |
উয়েফা যুব লিগ (যা সংক্ষেপে ইউওয়াইএল নামেও পরিচিত) হচ্ছে ইউরোপীয় ফুটবল ক্লাবগুলোর যুব দলের মধ্যে ২০১৩ সাল থেকে ইউনিয়ন অব ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (উয়েফা) কর্তৃক আয়োজিত একটি বার্ষিক ফুটবল ক্লাব প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় ইউরোপের শীর্ষ স্তরের ক্লাবগুলোর যুব দলগুলো অংশগ্রহণ করে থাকে। এই প্রতিযোগিতার বর্তমান বিন্যাসে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর যুব দলগুলোর পাশাপাশি উয়েফাভুক্ত অ্যাসোসিয়েশনের সেরা ঘরোয়া যুব চ্যাম্পিয়ন দল অংশগ্রহণ করে।
সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ ঐতিহ্যগতভাবে সুইজারল্যান্ডের নিওঁয়ের কোলোভরায় স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলকে লেনার্ত ইয়োহানসন শিরোপা প্রদান করা হয়, যা উয়েফার সাবেক সভাপতির নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এপর্যন্ত এই প্রতিযোগিতাটি ৭টি ক্লাব জয়লাভ করেছে, যার মধ্যে ২টি ক্লাব একাধিকবার জয়লাভ করেছে। স্পেনীয় ক্লাব বার্সেলোনা এবং ইংরেজ ক্লাব চেলসি এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্লাব, যারা সর্বমোট ২টি করে শিরোপা জয়ালাভ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা, যারা এপর্যন্ত এক বার রিসপা জয়লাভ করার পাশাপাশি তিন বার রানার-আপ হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় স্পেনীয় ক্লাবগুলো সর্বাধিক ৩ বার শিরোপা জয়লাভ করেছে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পর্তুগাল এবং ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলো (যারা এপর্যন্ত ২ বার করে শিরোপা জয়লাভ করেছে)। স্পেন এবং পর্তুগাল হতে সর্বাধিক দুই বার ভিন্ন ভিন্ন ক্লাব এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়লাভ করেছে।
এই প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোস ২০২৪ সালের ফাইনালে ইতালীয় ক্লাব এসি মিলানকে ৩–০ গোলে হারিয়ে ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল।[১][২][৩]
২০১০ সালের মে মাসে, উয়েফা একটি ম্যাচের আয়োজন করে (যা "উয়েফা অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যালেঞ্জ" নামে পরিচিত), যেখানে বায়ার্ন মিউনিখ এবং ইন্টার মিলানের অনূর্ধ্ব-১৮ দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল; উক্ত ম্যাচের তিন দিন পর দলগুলোর জ্যেষ্ঠ দল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। দেনিস আলিবেকের জোড়া গোলে ইন্টার মিলান ২–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। ম্যাচটি "উয়েফা তৃণমূল দিবস"-এর অংশ ছিল এবং এটি উয়েফা যুব লিগের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল।[৪][৫][৬]
এই প্রতিযোগিতার প্রথম আসর ২০১৩–১৪ উয়েফা যুব লিগের দলগুলো ২০১৩–১৪ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের মতো একই গঠন এবং সময়সূচীর অধীনে গ্রুপ পর্ব আয়োজন করেছিল এবং এটি "পরীক্ষা" হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল।[৬] গ্রুপ পর্ব থেকে আটটি গ্রুপ বিজয়ী এবং আটটি রানার-আপ দল পরবর্তীতে নকআউট পর্বে অংশগ্রহণ করেছিল। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের বিপরীতে, নকআউট পর্বের সকল ম্যাচ এক লেগের ম্যাচ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনাল নিরপেক্ষ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৬] নেক্সটজেন সিরিজকে স্থানচ্যুত করতেই এই প্রতিযোগিতা তৈরি করা হয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মন্তব্য করেছিল।[৭][৮]
২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে, স্পেনীয় ক্লাব বার্সেলোনা প্রথম ক্লাব হিসেবে উয়েফা যুব লিগের শিরোপা জয়লাভ করেছে, নিওঁয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে তারা বেনফিকাকে ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল।
দুই বছরের পরীক্ষামূলক আয়োজনের পর, উয়েফা যুব লিগ ২০১৫–১৬ মৌসুম থেকে একটি স্থায়ী উয়েফা প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে, প্রতিযোগিতাটি ৩২ থেকে ৬৪টি দলে সম্প্রসারিত হয়, যেখানে শীর্ষ ৩২টি অ্যাসোসিয়েশনের যুব ঘরোয়া চ্যাম্পিয়ন দলগুলোও তাদের উয়েফা গুণাঙ্ক অনুযায়ী অংশগ্রহণ করার জন্য উত্তীর্ণ হয়। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ৩২টি যুব দল গ্রুপ পর্বের বিন্যাসে অংশগ্রহণ করে, গ্রুপ বিজয়ী দলগুলো ১৬ দলের পর্বে উত্তীর্ণ হয় এবং গ্রুপ রানার-আপ দলগুলো প্লে-অফে অংশগ্রহণ করার জন্য উত্তীর্ণ হয়। ৩২টি যুব ঘরোয়া চ্যাম্পিয়ন দলগুলো দুই-লেগের দুই পর্বে অংশগ্রহণ করে, যার মধ্য হতে আটটি বিজয়ী প্লে-অফের জন্য উত্তীর্ণ হয়, যেখানে তারা চ্যাম্পিয়নস লিগের পথের রানার-আপের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে একটি ম্যাচে অংশগ্রহণ করে। ১৬ দলের পর্ব থেকে পূর্বের মতোই নকআউট পর্বের সকল ম্যাচ এক লেগের ম্যাচ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।[৯]
মৌসুম | বিজয়ী | ফলাফল | রানার-আপ | শীর্ষ গোলদাতা |
---|---|---|---|---|
২০১৩–১৪ | বার্সেলোনা | ৩–০ | বেনফিকা | মুনির আল হাদ্দাদি (১১) |
২০১৪–১৫ | চেলসি | ৩–২ | শাখতার দোনেৎস্ক | ডোমিনিক সোলাঙ্কি (১২) |
২০১৫–১৬ | চেলসি | ২–১ | পারি সাঁ-জেরমাঁ | রোবের্তো নুনিতেস (৯) |
২০১৬–১৭ | রেড বুল জালৎসবুর্গ | ২–১ | বেনফিকা | জর্দি এমবোলা কাই সিরহইস (৮) |
২০১৭–১৮ | বার্সেলোনা | ৩–০ | চেলসি | ইভান ইগনাতিয়েভ (১০) |
২০১৮–১৯ | পোর্তু | ৩–১ | চেলসি | চার্লি ব্রাউন (১২) |
২০১৯–২০ | রিয়াল মাদ্রিদ | ৩–২ | বেনফিকা | রোবের্তো পিক্কোলি গোনসালো রামোস (৮) |
২০২০–২১ | কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর জন্য বাতিল | |||
২০২১–২২ | বেনফিকা | ৬–০ | রেড বুল জালৎসবুর্গ | মাদস হানসেন আরাল শিমশির রোকো শিমিচ (৭) |
২০২২–২৩ | আল্কমার | ৫–০ | খায়দুক স্প্লিত | বিলাল মাজহার মেক্স মেরডিঙ্ক (৯) |
২০২৩–২৪ | অলিম্পিয়াকোস | ৩–০ | এসি মিলান | আমিন শিয়াখাহ রোদ্রিগো মোরা (৭) |
ক্লাব | বিজয়ী | রানার-আপ | বিজয়ের মৌসুম | রানার-আপের মৌসুম |
---|---|---|---|---|
চেলসি | ২ | ২ | ২০১৫, ২০১৬ | ২০১৮, ২০১৯ |
বার্সেলোনা | ২ | ০ | ২০১৪, ২০১৮ | — |
বেনফিকা | ১ | ৩ | ২০২২ | ২০১৪, ২০১৭, ২০২০ |
রেড বুল জালৎসবুর্গ | ১ | ১ | ২০১৭ | ২০২২ |
পোর্তু | ১ | ০ | ২০১৯ | — |
রিয়াল মাদ্রিদ | ১ | ০ | ২০২০ | — |
আল্কমার | ১ | ০ | ২০২৩ | — |
অলিম্পিয়াকোস | ১ | ০ | ২০২৪ | — |
শাখতার দোনেৎস্ক | ০ | ১ | — | ২০১৫ |
পারি সাঁ-জেরমাঁ | ০ | ১ | — | ২০১৬ |
খায়দুক স্প্লিত | ০ | ১ | — | ২০২৩ |
এসি মিলান | ০ | ১ | — | ২০২৪ |
দেশ | বিজয়ী | রানার-আপ | সর্বমোট |
---|---|---|---|
স্পেন | ৩ | ০ | ৩ |
পর্তুগাল | ২ | ৩ | ৫ |
ইংল্যান্ড | ২ | ২ | ৪ |
অস্ট্রিয়া | ১ | ১ | ২ |
নেদারল্যান্ডস | ১ | ০ | ১ |
গ্রিস | ১ | ০ | ১ |
ইউক্রেন | ০ | ১ | ১ |
ফ্রান্স | ০ | ১ | ১ |
ক্রোয়েশিয়া | ০ | ১ | ১ |
ইতালি | ০ | ১ | ১ |
প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ চারটি ম্যাচ (প্রতি মৌসুমে মোট ৩৯টি ম্যাচ) হাইলাইটসহ সকল অঞ্চলে উপলব্ধ, অবিক্রীত অঞ্চলে উয়েফা.টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে স্ট্রিম করা হয়।
ইউরোপ[সম্পাদনা]
|
অন্যান্য[সম্পাদনা]
|