উরবান (মৃত্যু ১৪৫৩) ছিলেন একজন ধাতু বিশারদ ও প্রকৌশলী। ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দে কনস্টান্টিনোপল অবরোধের সময় তিনি উসমানীয় সুলতানের জন্য বিরাট একটি কামান নির্মাণ করেন।
১৪৫২ তে তিনি বাইজেন্টাইনদের অধীনে কাজ করার জন্য আবেদন জানান। কিন্তু সম্রাট একাদশ কনস্টান্টাইন তার উচ্চ বেতন ও বিরাটকার কামান নির্মাণের জন্য তার প্রয়োজনীয় ধাতব উপকরণ সরবরাহে সক্ষম ছিলেন না। উরবান এরপর উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের কাছে যান। উরবান দাবি করেন যে তার অস্ত্র এমনকি ব্যবিলনের দেয়ালও উড়িয়ে দিতে পারবে। যথেষ্ট পরিমাণ আর্থিক সাহায্য ও উপকরণ পাওয়ার পর তিনি তিন মাসের মধ্যে এড্রিনোপলে কামানটি নির্মাণ করেন। এখান থেকে তা ষাটটি ষাড়ের সাহায্যে কন্সটান্টিনোপল নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে উরবান তুর্কি বাহিনীর জন্য অন্যান্য কামান নির্মাণ করেন।[১১]
হাঙ্গেরিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য গোলন্দাজ প্রযুক্তি বিশেষত জার্মান কারিগররা[১২] সূচনা করে। ১৪০০ থেকে ১৪৫০ এর মধ্যে পশ্চিম ইউরোপে অবরোধ যুদ্ধের ধরন বদলে যায়।[১৩][১৪] তার একটি কামান বিস্ফোরিত হওয়ার পর উরবান তার সহকারীদের নিয়ে প্রায় মারা যেতে বসেছিলেন। এটি সেসময় স্বাভাবিক ঘটনা ছিল।[১৫] একজন আধুনিক লেখকের গবেষণা অনুযায়ী তিনি জার্মান হতে পারেন। হাঙ্গেরির রাজকীয় দরবারে কর্মরত কামান নির্মাতাদের ভিত্তিতে একথা বলা হয়।
↑Hans-Henning Kortüm: Transcultural Wars from the Middle Ages to the 21st century, Akedemie Verlag, Berlin, 2006 [১]ওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ৪ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে
↑Gábor Ágoston: Guns for the Sultan: Military Power and the Weapons Industry in the Ottoman Empire, Cambridge University Press, 2005 [২]
↑Kelly DeVries, Robert Douglas Smith: Medieval Weapons: An Illustrated History of Their Impact, ABC CLIO, 2007 [৩]
↑David Nicolle, Christa Hook: Constantinople 1453: The End of Byzantium, Osprey Publishing, 2000 [৪]ওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ৪ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে
↑The heirs of Archimedes: science and the art of war through the Age of Enlightenment, Brett D. Steele & Tamera Dorland, The MIT Press, 2005, p.128 & Roger Crowley, on In Our Time: Constantinople Siege & Fall, broadcast 2006
Nicolle, David (২০০০), Constantinople 1453: The End of Byzantium, Osprey Publishing, পৃষ্ঠা 13, আইএসবিএন1-84176-091-9উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
Runciman, Steven (১৯৯০), The Fall of Constantinople: 1453, London: Cambridge University Press, পৃষ্ঠা 77–78, আইএসবিএন978-0-521-39832-9উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
Schmidtchen, Volker (১৯৭৭a), "Riesengeschütze des 15. Jahrhunderts. Technische Höchstleistungen ihrer Zeit", Technikgeschichte, 44 (2): 153–173উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
Schmidtchen, Volker (১৯৭৭b), "Riesengeschütze des 15. Jahrhunderts. Technische Höchstleistungen ihrer Zeit", Technikgeschichte, 44 (3): 213–237উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
Crowley, Roger (২০০৬), In Our Time: Constantinople Siege and Fallউদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)