উরস বা ওরস ( আরবি: عرس 'উরস ) বা উরুস দক্ষিণ এশিয়ার সূফী সাধকদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন, সাধারণত সাধু দরগায় (মাজার বা সমাধিতে) এটি অনুষ্ঠিত হয়। বেশিরভাগ সূফী আদেশে যেমন নকশবন্দীয়া, সোহরাওয়ার্দিয়া, চিশতিয়্যা, কাদিরিয়া, বুখারী, ইত্যাদি উরস ধারণার উপস্থিতি রয়েছে এবং উৎসাহের সাথে তা উদযাপিত হয়। ভক্তরা তাদের সাধুদেরকে ঈশ্বরের প্রেমিক, প্রিয় হিসাবে উল্লেখ করে।
উরস রীতি সাধারণত মাজারের রক্ষক বা সিলসিলার বিদ্যমান শায়খদের মাধে অনুষ্ঠিত হয়। হামদ থেকে শুরু করে নাত পর্যন্ত উরস উদযাপনের মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে কাওয়ালির মতো ধর্মীয় সংগীত গাওয়া হয়। উদযাপনটিতে খাবারের নমুনা, বাজার এবং বিভিন্ন ধরনের দোকানও থাকে।
আজমীরের দরগাহ শরীফের খাজা মইনুদ্দিন চিশতির উরস প্রতিবছর ৪০০,০০০ এরও বেশি ভক্তকে আকৃষ্ট করে এবং বিশ্বজুড়ে অন্যতম বিখ্যাত উরস উৎসব হিসাবে বিবেচিত হয়। [১]