অবস্থান | বার্গ আম লাইম, মিউনিখ, জার্মানি |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৪৮°৭′২৪″ উত্তর ১১°৩৬′৩০″ পূর্ব / ৪৮.১২৩৩৩° উত্তর ১১.৬০৮৩৩° পূর্ব |
পরিচালক | Ultraschall GmbH |
নির্মাণ | |
নির্মিত | ১৯৫০ |
উদ্বোধন | জুন ১৯৯৪ |
বন্ধ | জানুয়ারি, ২০০৩ |
ওয়েবসাইট | |
Ultraschall |
উলট্রাশাল মিউনিখে অবস্থিত একটি নাইটক্লাব। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এটি কার্যক্রম চালু ছিলো। ১৯৯০ সময়কার জার্মানির টেকনো সংস্কৃতিতে সবচেয়ে পরিচিত ক্লাবের মধ্যে অন্যতম।[১] ফেজম্যাগ এর সূত্রমতে, " অনেক টেকনো ভক্তের জন্য ট্রেজরের পাশাপাশি উল্ট্রাশাল সবচেয়ে মূল ধরানার টেকনোক্লাব হিসেবে জনপ্রিয় ছিলো।" [২]
মিউনিখের কালচারস্টেশোন হিসেবে পরিচিত, ওবারফুরিঙ এর মাসিক আল্ট্রাওয়ার্ল্ড পার্টি বা পাঙ্গিক কনসার্টে আয়োজন করা হত।[৩] টেকনোক্লাবগুলো তখনকার বার্লিনে জনপ্রিয় হতে থাকা ট্রেজর ও প্লানেট ক্লাব দ্বারা অনুপ্রেরিত হয়। তদকালীন সময়ে ক্লাবগুলোতে বায়ুপ্রবাহের পূর্ণ ব্যবস্থা ছিলো না। প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর গান বন্ধ করে জানালা খুলে ক্লাবে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের সরবরাহ করার দরকার হতো।
পিটার ওয়াসা, ডেভিড সুস এবং দোরোতেয়া জেনকার ১৯৯৪ সালের ১৭ই জুন প্রথম উল্ট্রাশাল ক্লাব খুলেন। ক্লাবের ঘরটি এর আগে মিউনিখ-রিয়েম বিমানবন্দরের পুরনো রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহৃত হত। এর আগে শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট ভেন্যু- পার্কক্যাফে, টানযলোকাল গ্রোসেনোয়ান, বাবালু ক্লাব এই ধরনের টেকনো সঙ্গীতের আয়োজন করতো। এছাড়াও কিছু অনিয়মিত রেইভ টেকনো সঙ্গীতের আয়োজন করতো। [৩] প্রথমবার মাত্র ১২০ জন অতিথির সামনে জেফ মিল সঙ্গিগীত পরিবেশোনা করে। এরপর ক্লাবে প্রবেশের নির্ধারিত মূল্য বাতিল করা হলে ধীরে ধীরে জনসমাগম বেড়ে যায়। ক্লাবটির বিশেষ আকর্ষণ ছিলো এর ভেতরের দিকে সাদা সিরামিক টাইলে আচ্ছাদিত ছিলো।[৪] এছাড়াও, ক্লাবের সজ্জার বড় অংশ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্ভর চলচ্চিত্র দ্য হাই ক্রুসেড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নভোযান আদলে করা হয়েছিলো।[৫] এরকম আকর্ষণীয় সজ্জা ও অভিজ্ঞতার মাত্রার আয়োজন ক্লাবটিকে একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিয়েছিলো।[৬] এখানে ক্রি মেম্বার হিসেবে কাজ করেছে এরকম ডিজের তালিকায় আছে ডিজে হেল, মনিকা ক্রুজ, রিচার্ড বারতয, এসিড মারিয়া।[৪] উল্ট্রাশালের পার্টির ধারণা গুলো পরীক্ষামূলক ও বন্য ছিলো। মনিকা ক্রুজ উল্লেখ করে, একবার সম্পূর্ণ ডান্সফ্লোর বিশাল বিছানার আদলে করা হয়। অতিথিরা মাশরুম গ্রহণ করে নিজেদের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মেঝেতেই শুয়ে পড়ে আর গল্প করে। [৭] ১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মে মিউনিখের পুরনো বিমানবন্দরের কাজে জায়গাটির প্রয়োজন হলে ক্লাবটি বন্ধ করে দেয়া হয়।