উষা নাগিসেট্টি | ||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | উষা নাগিসেট্টি ১৩ আগস্ট ১৯৮৪ | |||||||||||||||||||||||
জাতীয়তা | ভারতীয় | |||||||||||||||||||||||
পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||
ওজন | ফ্লাইওয়েট | |||||||||||||||||||||||
পদকের তথ্য
|
উষা নাগিসেট্টি (জন্ম ১৩ই আগস্ট ১৯৮৪) হলেন অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনমের একজন ভারতীয় বক্সার। তিনি বিশাখাপত্তনমের স্পোর্টস ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেন। তিনি একটি অলাভজনক ফাউন্ডেশন অলিম্পিক গোল্ড কোয়েস্ট দ্বারা সমর্থিত। এই ফাউন্ডেশনটি দক্ষ ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের শনাক্ত করে ও সমর্থন করে।[১][২] তিনি ২০০৮ এশিয়ান মহিলা বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে[৩] এবং ২০০৮ এআইবিএ মহিলা বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[৪]
নাগিসেট্টি ২০০২ সাল থেকে তাঁর সাই সমর্থিত কোচ ইনুকুর্থি ভেঙ্কটেশ্বর রাওয়ের কাছ থেকে বিশাখাপত্তনমের ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।[৫]
তিনিই একমাত্র মহিলা বক্সার যিনি ২০০৯ সালে পুরুষদের জন্য বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে প্রদর্শনী লড়াইয়ের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন।[১] খবরটি শুনে তাঁর প্রশিক্ষক বলেছেন, "এটি শুধু উষার জন্য নয়, ভারতীয় বক্সিংয়ের জন্যেও একটি দুর্দান্ত মুহূর্ত। মূলত, ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে মহিলাদের বক্সিং অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে প্রচারমূলক প্রচারণার অংশ হিসাবে এই লড়াইগুলি সংগঠিত হচ্ছে। যেহেতু ঊষা (৫৭ কেজি) ইতিমধ্যেই একটি পরিচিত নাম, এই আমন্ত্রণটি তাঁকে একটি বড় উপায়ে সাহায্য করবে,”[১] নাগিসেট্টি নিজেই মন্তব্য করেছেন, "এটি আমার ক্ষমতার একটি দুর্দান্ত স্বীকৃতি"।[১]
তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দুটি রৌপ্য পদক জিতেছেন এবং ২০০৮ সালে চতুর্থ এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে কাজাখস্তানের ইমানবায়েভা ঝুলদাজায়েকে ৫৭ কেজি বিভাগে পরাজিত করে সোনা জিতেছেন।[১][৬]
তিনি ২০১১ সালে ফেডারেশন কাপে অন্ধ্র প্রদেশের হয়ে একটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। তিনি আবার অল ইন্ডিয়া পুলিশ বক্সিং মিট এবং ইন্টার-জোনাল জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতেছেন।
২০১১ সালে, ফেডারেশন কাপ মহিলা বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে, নাগিসেট্টি আবারও সোনা জিতেছিলেন, তিনি জাতীয় চ্যাম্পিয়ন প্রীতি বেনিওয়ালের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং জিতেছিলেন।[৭] যদিও প্রথম তিন রাউন্ডে প্রীতি বেনিওয়াল সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাগিসেট্টি জিতে যান।[৭] “জেতা সহজ ছিল না, প্রীতি ভাল লড়াই করেছিল। আমি আমার শক্তি সংরক্ষণ করতে চাইছিলাম এবং শেষ দুই রাউন্ডে সর্ব শক্তি নিয়োগ করে লড়াই করতে চাইছিলাম। আমার কৌশল শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এবং আমি আমার প্রদর্শনে খুব খুশি”, জয়ের পর তিনি দাবি করেন।[৭]
তিনি অল ইন্ডিয়া পুলিশ বক্সিং মিট এবং ইন্টার-জোনাল জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতেছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
নাগিসেট্টির জন্ম অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনমে। তাঁর বাবা ও মায়ের নাম যথাক্রমে এন ভি রমনা এবং এন উমামাহেশ্বরী।[৯] তিনি বলেন যে তাঁর অনুপ্রেরণা তাঁর বাবা, যিনি নিজেও একজন ক্রীড়াবিদও ছিলেন।[১০] তিনি তাঁর স্বপ্নকে বিশ্বাসকারী লোকদের চারপাশে বেড়ে উঠেছেন।[১০] তিনি বলেন, “আমার প্রতিবেশীরা আসলে রোমাঞ্চিত ছিল যে আমি একজন বক্সার এবং আমি মনোযোগ পছন্দ করতাম। এটা সত্যিই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।”[১০] তাঁর ভাই সন্তোষ একজন বক্সার।[৮] তাঁর স্বামী গণেশ একজন ফুটবল গোলরক্ষক।[৮]