ঊষা উথুপ | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | ঊষা বিদ্যানাথ সোমেশ্বর সামী |
উপনাম | কেরালার এবং পশ্চিম বঙ্গের দিদি |
জন্ম | মুম্বাই, ভারত[১] | ৭ নভেম্বর ১৯৪৭
ধরন | পপ |
পেশা | সঙ্গীতশিল্পী, প্লেব্যাক সঙ্গীতশিল্পী |
বাদ্যযন্ত্র | কন্ঠশিল্পী |
কার্যকাল | ১৯৬৬-বর্তমান |
দাম্পত্যসঙ্গী | জনি উথুপ |
ওয়েবসাইট | Official website |
ঊষা উথুপ (তামিল: உஷா உதுப்; জন্ম ৭ নভেম্বর, ১৯৪৭)[২] একজন জনপ্রিয় ভারতীয় পপ, জ্যাজ এবং প্লেব্যাক সঙ্গীতশিল্পী। তিনি ১৯৬০এর শেষের দিক, ১৯৭০র এবং ১৯৮০র দশকে কিছু জনপ্রিয় হিট গানের জন্য তিনি বিখ্যাত।[৩][৪]
ঊষা উথুপ মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন,[১] একটি তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারে। তার বাবা বিদ্যনাথ সোমেশ্বর সামী।[৫] যিনি মাদ্রাজ (বর্তমানে চেন্নাই) থেকে ১৯৪৭ সালে তামিলনাডুতে স্থানান্তর হন।
তিনি সেন্ট অগ্নেস উচ্চ বিদ্যালয়ে (ক্লার রোড, বাইকুল্লা)। যখন তিনি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন তখন তাকে সঙ্গীত ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়, কারণ তার মত নারী কন্ঠে গানের জন্য উপযুক্ত ছিল না। কিন্তু গানের শিক্ষক বুঝেন যে, তার কন্ঠে এমন গান গাওয়ানো যাবে, যা গানের এক নতুন মাত্রা সংযোজন করবে। এমনকি তিনি গান শেখার জন্য কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেননি কিন্তু তিনি পরিবারে এক সঙ্গীত সমৃদ্ধ পরিবেশের মধ্যে বেড়ে উঠেন। তার মা-বাবা প্রায়ই পশ্চিমা ক্লাসিকাল থেকে হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত এবং কিশোরী আমোনকর এবং বড়ে (বড়) গোলাম আলী খান সহ আরো অনেকের কার্নাটিক গান রেডিওতে শুনতেন এবং তিনিও তাদের সাথে গান শুনতেন।[৬] তিনি সাধারণত রেডিও সিলনে প্রচারিত গান উপভোগ করতেন।
তার প্রতিবেশী এস.এম.এ পাঠান, যিনি পরবর্তীতে পুলিশের কমিশনার হন। তার কন্যা জমিলা, ঊষাকে হিন্দি গান শেখার এবং ভারতীয় ক্লাসিকাল সঙ্গীত শেখার জন্য উৎসাহ দিতেন। এই উৎসাহ তাকে ১৯৭০ দশকের ভারতীয় পপ সঙ্গীতের মৌলিক ধরনের গানে পথিকৃত হওয়ার জন্য অনেকাংশে সাহায্য করে। তিনি কেরালার কোট্টায়্যামের মিঃ যানি উথুপকে বিয়ে করেন।
তিনি বর্তমানে পশ্চিম বঙ্গের কলকাতায় বসবাসরত।
তার যখন বয়স মাত্র নয়, তখন তিনি প্রথম কনসার্টে গান করেন। তার বোন যার তখন সঙ্গীত জীবন চলছিল, তিনি ঊষাকে নিয়ে যান তখনকার রেডিও সিলনের একজন রেডিও উপস্থাপক আমীন সায়নীর কাছে এবং তাকে রেডিও সিলনে “ওভালটিন মিউজিক আওয়ারে” গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন। তিনি “মকিংবার্ড হিল” নামে অনেক গান পরিবেশন করেন। এরপর তিনি কিশোরী বয়সে অনেকবার গান পরিবেশন করেন।
ঊষা উথুপ চেন্নাইয়ের মাউন্ট রোডে অবস্থিত এর্স্টায়াল সাফির থিয়েটার কমপ্লেক্সের নিচ তলায় অবস্থিত “নয় রত্ন” (Nine Gems) একটি ছোট নাইটক্লাবে গান গাওয়া শুরু করেন।[৭] যখন তার বয়স ২০, তখন তিনি শাড়ি এবং লেগ কালিপার্স পড়তেন। ক্লাবে তার পরিবেশনা এতই ভাল হচ্ছিল যে নাইটক্লাবের মালিক তাকে এক সপ্তাহ থেকে যাওয়ার জন্য বলেছিলেন।[৮] তার প্রথম নাইট ক্লাবে বিভিন্ন ধরনের গান পরিবেশনের তিনি কলকাতার বিভিন্ন নাইট ক্লাবে যেমন ট্রিনচাসে গান গাওয়া শুরু করেন। এই ট্রিনচাস নাইট ক্লাবে তার স্বামীর সাথে তার প্রথম দেখা হয়। প্রায় ঐ একই সময়ে, তিনি বোম্বের (বর্তমানে মুম্বাই) “টক অব দ্য টাওনে” গান করেন যা বর্তমানে “নট জাজ বায় দ্য বে” নামে পরিচিত।[৯] ট্রিনচাসের পর, তিনি তার গানের জন্য দিল্লী চলে যান এবং ওখানে তিনি ওবেরী নামক হোটেলে গান পরিবেশন করেন। একদিন হঠাৎ করে একটি চলচ্চিত্র কলাকুশলীদের দল, যেখানে শশী কাপুরও ছিলেন, ঐ নাইট ক্লাব পরিদর্শন করতে আসে এবং তারা ঊষাকে সিনেমার প্লেব্যাক সঙ্গীত গাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। এর ফলে, বলিউডে তার কর্মজীবন শুরু হয়, তিনি প্রথম “হরে রাম হরে কৃষ্ণ” (১৯৭১) সিনেমার গান করেন। আসলে, তিনি মনে করেছিলেন তিনি আশা ভোসলের সাথে দাম মারো দাম গানটি গাইবেন। যাহোক, অন্যান্য সঙ্গীতশিল্পীদের আভ্যন্তরীন কথা বাইরে ছড়ানোর ফলে, তিনি এখানে গান গাওয়ার সুযোগ হারান, কিন্তু ইংরেজি অংশটি তিনি শেষ পর্যন্ত গেয়েছিলেন।
১৯৬৮ সালে, তিনি দুইটি ইংরেজি গানের অ্যালবামের প্রচ্ছদ গানের রেকর্ড সম্পন্ন করেন। এগুলো হল, “জামবাল্যা” এবং দ্য কিংস্টোন ট্রায়োর “গ্রিনব্যাক ডলার”। এ গানগুলো “লাভ স্টোরি” এবং কিংস্টোন টায়োর গান “স্কচ এন্ড সোডা”র অতিরিক্ত অংশ (Extended Play-EP) হিসেবে গানগুলো রেকর্ড করা হয় এবং যা ভারতে ভালই বিক্রয় হয়। তার কর্মজীবনের প্রথমদিকে তিনি কিছুদিন লন্ডনেও কাটান। তিনি লন্ডনের ল্যাংহামে অবস্থিত ভার্নন কোরিয়ার বিবিসি অফিসের একজন নিয়মিত অতিথি ছিলেন। এবং তাকে নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান বিবিসি রেডিও লন্ডনের “লন্ডন সাউন্ডস ইস্টার্ণ” অনুষ্ঠানে প্রচারিত হত।
ঊষা ভারতীয় উৎসবের অংশ হিসেবে নায়োরবী পরিদর্শন করেন। তিনি এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে, তাকে সেখানে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হত। তার গান এবং স্বাহিলি ধরনে নির্মিত দেশাত্ববোধক গান তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায় এবং তারপর কেনিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জোমো কেন্যাট্টা তাকে কেনিয়ার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেন। তিনি বিখ্যাত “মালাইকা” (দেবতা) গান পরিবেশন করেন, এই গানটি তিনি পরিবেশন করেন এই গানের আসল কণ্ঠশিল্পী ফাধিলি উইলিয়াম্সের সাথে। তিনি স্থানীয় “ফেলিনী ফাইভ” নামে একটি ব্যান্ডের সাথে “লিভ ইন নায়োরবী’ রেকর্ড করেন।
উথুপ ১৯৭০ এবং ১৯৮০র দশকে বাপ্পী লাহিড়ী এবং রাহুল দেব বর্মন পরিচালিত বহু গান পরিবেশন করেন। তিনি রাহুল দেব বর্মনের অনেক পুরানো গান যেমন “মেহ্বুবা মেহ্বুবা” এবং “দাম মারো দাম” গানগুলো নতুন করে গান, যা প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করে।
উথুপ ক্রিস পেরির অ্যালবাম “ক্রিস পেরি প্রেজেন্ট ঊষা – মিউ আমর” গানটি রেকর্ড করেন।.[১০]
উথুপ দুই ভলিউমে কারাদি গল্প হতে নির্মিত শিশুদের ছড়া “কারাদি ছড়া” যা, ‘ভারতীয় শিশুদের জন্য ভারতীয় ছড়া’ গান করেন।(www.karaditales.com) এই ছড়াগুলোতে সা-রে-গা-মা, বেজী, ভারতীয় নদী, ভারতীয় পোশাক যেমন, ধুতি, শাড়ি, নুপুর এবং চুড়ি, ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা, ভারতীয় উৎসব, গাছপালা, ক্রিকেট, ভারতীয় খাবার যেমন, ভেলপুরী এবং সাম্ভার এমনকি কিছু লোক গল্প প্রকাশ পায়। প্রত্যকটি ছড়ার সাথে ভারতীয় রাগ এবং একটি নির্দিষ্ট কন্ঠে গানগুলো রেকর্ড হয়। ঊষা এই শিশুদের জন্য এমনকি বড়দের গানগুলো শোনার জন্য সেই পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং একটি বিটের সাথে সাথে পায়ের নাচও তিনি সৃষ্টি করেন।
তাকে ইসমাইল দারবারের সাথে গানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান “ভারত কি শানঃ সিঙিন স্টার” – ২য় পর্ব (২০১২) তে বিচারক হিসেবে দেখা যায়। এই অনুষ্ঠানটি ডিডি ন্যাশনাল টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়। ইটিভি মারাঠি চ্যানেলে প্রচারিত মারাঠি গানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান “গৌরব মহারাষ্ট্রচ” তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি মারাঠি সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করেন।
তার কিছু বিখ্যাত চলচ্চিত্রের গান (সহযোগী পরিচালক):
গান | সিনেমা | বছর | সুরকার |
---|---|---|---|
"Race gurram" | Race Gurram | ২০১৪ | S. Thaman |
"রাম্বা মে সাম্বা" | শিরি ফরহাদ কি তোহ্ নিকাল পাড়ি | ২০১২ | জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় |
"আমি সত্যি বলছি" | কাহানী | ২০১২ | বিশাল-শেখর |
"ইয়ে রাত মোনা লিসা" | কাফিরু কি নামায | ২০১২ | আদ্ভাইত নেম্লেকার |
"হেয় ইয়ে মায়া" | ডন ২ | ২০১১ | শঙ্কর-এহসান-লয় |
"ভিরিয়ুন্নু" | বোম্বে মার্চ ১২ | ২০১১ | আফজাল উইসুফ |
"ডার্লিং", "দুসরী ডার্লিং" (রেখা ভরদ্বাজের সাথে) | ৭ খুন মাফ (ফিল্মফেয়ার সেরা প্লেব্যাক সঙ্গীতশিল্পী পুরস্কার) | ২০১১ | বিশাল ভরদ্বাজ |
"উইকেট বাচা (আর্লের সাথে) | হ্যাট্রিক | ২০০৭ | প্রিতম |
"তেরী মেরী ক্রিসমাস" | বৌ ব্যারাক ফরএভার | ২০০৭ | অঞ্জন দত্ত |
"ভাবে মাকানে" | পোথান ভভ | ২০০৬ | আলেক্স পল |
"কাভি পা লিয়া তো কাভি খো গিয়া" | জগার্স পার্ক | ২০০৩ | তাবুন |
"দিন হে না ইয়ে রাত" | ভুত | ২০০৩ | সেলিম-সুলায়মান |
"বন্দে মাতারাম" | কাভি খুশি কাভি গাম... | ২০০১ | যতীন-ললীত, সন্দেশ সন্ধ্যা, আদেশ শ্রীবাস্তব |
"রাজা কি কাহানী" | গডমাদার | ১৯৯৯ | বিশাল ভরদ্বাজ |
"দাউদ" | দাউদ | ১৯৯৮ | এ আর রহমান |
"উরি উরি বাবা" | দুশমন দেবতা | ১৯৯১ | বাপ্পী লাহিড়ী |
"ভেগাম ভেগাম পগুম পগুম" | অঞ্জলি | ১৯৯১ | ইলায়্যারাজা |
"কেচুরাল্লু" | কেচুরাল্লু | ১৯৯১ | ইলায়্যারাজা |
"কই ইহান আহা নাচে নাচে" | ডিস্কো ড্যান্সার | ১৯৮২ | বাপ্পী লাহিড়ী |
"রাম্বা হো" | আরমান | ১৯৮১ | বাপ্পী লাহিড়ী |
"হরি ওম হরি" | পেয়ার দুশমন | ১৯৮০ | বাপ্পী লাহিড়ী |
"তু মুঝে জান সে ভি পেয়ার হে" | ওয়ারদাত | ১৯৮১ | বাপ্পী লাহিড়ী |
"দোস্তো সে পেয়ার কিয়া" | শান | ১৯৮০ | রাহুল দেব বর্মন |
"শান সে..." | শান | ১৯৮০ | রাহুল দেব বর্মন |
"এক দো চা চা চা" | শালিমার | ১৯৭৮ | রাহুল দেব বর্মন |
"লাভ ইজ বিউটিফুল" | মেলানাত্তু মারুমাগাল | ১৯৭৫ | কুন্নাকুদি ভাইদ্যানাত্থান |
"Love Is Just Around The Corner" | Chattakkari | ১৯৭৪ | G. Devarajan |
পরশেষে, তিনি এর পাশাপাশি আরো বলিউড সিনেমায় প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। যেমনঃ ঢোল (২০০৭), জুন আর (২০০৫), জগার্স পার্ক (২০০৩), যযন্তর্ম মমন্তর্ম (২০০৩), এক থা রাজা (১৯৯৬), দুশমন দেবতা (১৯৯১), ভবনী জংশন (১৯৮৫), হাম পাঁচ (১৯৮০) এবং পুরাব অর পাশ্চিম (১৯৭০) ইত্যাদি।[১১]
তিনি একজন স্টেজ সঙ্গীত পরিবেশক এবং সারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে তিনি গান পরিবেশন করেছেন এবং তাই এই সরাসরী গানের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য তিনি পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বহু পুরস্কার ও সম্মান অর্জন করেন, যার মধ্যে রাজীব গান্ধী উন্নত সঙ্গীত চর্চা জাতীয় পুরস্কার, আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য মহিলা শিরোমনী পুরস্কার এবং চ্যানেল ভি পুরস্কার।
তিনি তার প্রথম অ্যালবাম রেকর্ডিং করেন লুইস বাঙ্কের সাথে, যার জন্য তিনি ৩,৫০০ রুপি সম্মানী পেয়েছিলেন। তারপর থেকে, তিনি অসংখ্য অ্যালবাম রেকর্ড করেছেন। ২০০৪ সালে মাইকেল জ্যাকসনের "Don't Stop Til You Get Enough", গানটির হিন্দি ভাষায় "Chhupke Kaun Aya" বের করেন উষা। তিনি ভারতীয় রক ব্যান্ড “পরিক্রমা”-র সাথে “রিদম এন্ড ব্লুস” নামে একটি গান রেকর্ড করেন যা ২০০৭ সালে এপ্রিলের ২৩ তারিখ চ্যানেল ভি তে প্রচারিত হয়।
বছর | নাম | চরিত্র | ভাষা |
---|---|---|---|
২০০৬ | পোথান ভভ | কুরিসুভেট্টিল মারিয়াম্মা | মালায়ালাম |
২০১০ | মানমাদান আম্বু | ইন্দিরা | তামিল |
২০১১ | ৭ খুন মাফ | ম্যাগি আন্টি | হিন্দি |
২০১২ | পারী | কন্নড় | |
২০১৪ | X | হিন্দি |
উথুপ একজন অভিনেত্রীও বটে, তিনি প্রায় গান করেন এবং ভারতের সঙ্গীত নির্ভর সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ২০০৬ সালে, মালায়ালাম সিনেমা কুরিসুভেট্টিল মারিয়াম্মা নামক চরিত্রে “পোথান ভভ” নামক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
১৯৭২ সালে তিনি অমিতাভ বচ্চন এবং শত্রুঘাং সিনহা অভিনীত “বম্বে টু গোয়া” নামক সিনেমায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। ২০০৭ সালে, তাকে অঞ্জন দত্ত পরিচালিত “বৌ ব্যারাক ফরএভার” সিনেমায় নিজের ভূমিকায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। ২০০৭ সালে, তাকে আবার দেখা যায় “হ্যাট্রিক” সিনেমার গানের ভিডিওতে।
তাকে “ইন্ডিয়ান আইডল” ১ এবং ২ তে দেখা যায়। এই প্রতিযোগিতায় তিনি ২০০৭ ও ২০০৮ সালের অন্যতম সহ-বিচারক ছিলেন। তাকে ২০১০ সালের মালায়ালাম ভাষায় গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান “আইডিয়া স্টার সিঙ্গার” এ দেখা যায়।
তিনি ২০১০ সালে তামিল সিনেমা “মান্নাম আম্বু” তে মাধবানের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন।
তিনি বিশাল ভরদ্বাজের “৭ খুন মাফ” সিনেমায় গৃহকর্মী হিসেবেও অভিনয় করেন। তিনি এই সিনেমায় গানও রেকর্ড করেন যা মুক্তি হয় ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ২০১২ সালে, তিনি কন্নড় সিনেমা “পারী” তে অভিনয় করেন, যা এপ্রিলের শেষের দিকে মুক্তি পায়।
উষা সাধারণত বিন্দি (নুপুর জাতীয় মাথায় পড়ার বিশেষ অলঙ্কার) এবং চুলের খোপায় ফুল বাধেন, তার সাথে তিনি কাচেপুরাম শাড়ি (বিশেষ কুচি সমৃদ্ধ শাড়ি) পরিধান করেন। যা ঊষা স্টাইল নামে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
উষা কত্তায়ামের মাঙ্গানাম আধিবাসী জনি চাকো উথুপকে বিয়ে করেন, যিনি রামু আইয়্যারের প্রাক্তন স্বামী ছিলেন। তাদের একজন কন্যা অঞ্জলি এবং একজন পুত্র সানী, যার নামকরণ করা হয় “সানী” নামক গান থেকে।[১২]
তিনি বর্তমানে তার স্বামীর সাথে কলকাতায় বসয়াবসরত। তাকে আধুনিক কলকাতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শহরের শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি একজন কার্যকরী সামাজিক কর্মী।
|তারিখ=
(সাহায্য)