এ ওয়েডনেসডে!

এ ওয়েডনেসডে!
পরিচালকনীরজ পান্ডে
চিত্রনাট্যকারনীরজ পান্ডে
কাহিনিকারনীরজ পান্ডে
শ্রেষ্ঠাংশেঅনুপম খের
নাসিরুদ্দিন শাহ
জিমি শেরগিল
দীপল শাহ
আমির বশির
সুরকারসঞ্জয় চৌধুরী
চিত্রগ্রাহকফাওয়াদ খান
সম্পাদকশ্রীনারায়ণ সিং
পরিবেশকইউটিভি মোশন পিকচার্স
মুক্তি৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৮
স্থিতিকাল১০৩ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

এ ওয়েডনেসডে! ২০০৮ সালে বলিউডে নির্মিত একটি হিন্দি থ্রিলার চলচ্চিত্র। এই সিনেমাটির পরিচালক নীরজ পান্ডে। তুলনামূলক স্বল্প বাজেটের ছবি হলেও বক্স অফিসে সাড়া ফেলে এবং ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার ও ৫৬তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী হয়।

কাহিনী

[সম্পাদনা]

মুম্বাই পুলিশের কমিশনার তার অবসর গ্রহণের দিন অধস্তন অফিসারদের এই অভিজ্ঞতার কথা বলছেন যা তার চাকরি জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা। অথচ যার কোনো রেকর্ড রাখা হয়নি পুলিশের খাতায়।

অজানা এক ব্যক্তি (নাসিরুদ্দিন শাহ) স্থানীয় থানায় মানিব্যাগ চুরির অভিযোগ জানাতে এসে কায়দা করে ফেলে যায় একটি ছয় কিলোগ্রাম আর ডি এক্স বিস্ফোরক ভর্তি ব্যাগ। কিছু পরে নির্মিয়মান এক বহুতলের ওপর অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক যন্ত্র, ল্যাপটপ ইত্যাদির সহযোগে ফোন করতে থাকে বিভিন্ন জায়গায়। সে কমিশনারকে জানায় গোটা শহরে কয়েক জায়গায় বোমা রাখা আছে তার দাবী পূর্ণ না হলে তা নির্দিষ্ট সময়ে বিস্ফোরিত হবে। আতংকিত কমিশনার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন ও তার দাবীমত চারজন প্রথম সারির সন্ত্রাসবাদীকে একত্র করার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি তিনি গোয়েন্দা দপ্তর, বোম স্কোয়াডকে খবর দেন তদন্তের অগ্রগতির জন্যে। যে ফোন করছে তার অবস্থান জানার জন্যে তরুন হ্যাকারকে আনা হয় সদর দপ্তরে। ফোনকর্তা একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক নয়না রায়কে এ খবর জানায় এবং টিভির মাধ্যমে প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে থাকে। আরিফ খান ও জয় সিং নামক দুই সাহসী অফিসার চার জন সন্ত্রাসবাদীকে ছেড়ে আসতে যায় জুহু বিমানঘাঁটির কাছে। চারজনের বদলে তিনজনকে ছেড়ে দুই অফিসার যখন ইব্রাহিম খাঁ নামক অপরাধী কে নিয়ে চলে আসছে তখন প্রবল বিস্ফোরনে মুক্ত তিনজনই মারা যায়। অজানা ফোনকর্তা ফোন করে কমিশনার ও বাকিদের জানায় যে, সে সন্ত্রাসবাদীদের বাঁচাতে নয়, মারতেই চায়। দিনের পর দিন যারা সাধারণ মানুষকে বোমাতে হত্যা করে ও করে চলেছে, একজন নিছকই সাধারণ নামহীন ব্যক্তির তরফ থেকে এটা ছিল সেই হত্যার সামান্য জবাব। সরকার উদাসীন হলে নামহীন সাধারণ মানুষও অস্ত্র তুলে নিতে পারে এটিই হল ফোনকর্তার মূল বক্তব্য। ঘটনার এই নাটকীয় মোড়ে ইব্রাহীম খাঁ'কে জয় ও আরিফ হত্যা করতে বাধ্য হয় এবং কমিশনার বুঝতে পারেন আর কোথাও শহরে বোমা রাখা নেই। অবস্থান জানতে পেরে অন্তিম মুহুর্তে ফোনকর্তার সাথে মোলাকাত করেন তিনি। ইতিমধ্যে সমস্ত প্রমাণকে নষ্ট করে অজানা ব্যক্তি বহুতলের বাইরে বেরিয়ে এসেছে। দুজনের হাত মেলানোতে শেষ হয় কাহিনী।[][]

অভিনয়

[সম্পাদনা]

অনুপম খের - কমিশনার প্রকাশ রাঠোর

নাসিরুদ্দিন শাহ্ - কমন ম্যান

আমির বশির - ইনস্পেকটর জয় সিং

জিমি শেরগিল - আরিফ খান

দীপল শাহ - টিভি সাংবাদিক নয়না রায়[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "A Wednesday (2008)"imdb.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৭ 
  2. "A WEDNESDAY (2008)"rottentomatoes.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৭