লেখক | চার্লস ডিকেন্স |
---|---|
অঙ্কনশিল্পী | হাবল্ট নাইট ব্রাউন |
প্রচ্ছদ শিল্পী | হাবল্ট নাইট ব্রাউন |
দেশ | যুক্তরাজ্য |
ভাষা | ইংরেজি |
ধারাবাহিক | ৩০ এপ্রিল ১৮৫৯ থেকে ২৬ নভেম্বর ১৮৫৯[১] |
ধরন | উপন্যাস |
প্রকাশক | লন্ডন: চ্যাপম্যান এন্ড হিল |
প্রকাশনার তারিখ | ১৮৫৯ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রিত |
এ টেল অব টু সিটিজ (A Tale of Two Cities) ইংরেজ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের লেখা একটি উপন্যাস। ফরাসি বিপ্লবের পটভূমিকায় রচিত এই উপন্যাসে নাম ভূমিকায় লন্ডন ও প্যারিস শহরকে চিত্রায়িত করা হয়েছে। এছাড়াও উপন্যাসটিতে ফরাসি বিপ্লব শুরুর সময়ে ফ্রান্সের চাষিদের দুর্দশার কথা, বিপ্লবের প্রথম বছরগুলোয় বিপ্লবীদের নিষ্ঠুরতা এবং একই সময়ে লন্ডনের জীবনের সঙ্গে নানা পার্থক্যের কথা তুলে ধরা হয়। [২] মূলত এ সময় কিছু মানুষের জীবনকেই এ উপন্যাসের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। অনেকে বলে থাকেন, উপন্যাসটিতে চার্লস ডিকেন্সের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু ঘটনার প্রতিচ্ছবি রয়েছে। [৩] ৪৫ অধ্যায়ের এ উপন্যাসটি ১৮৫৯ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ৩১ সপ্তাহ ধরে প্রকাশিত হয়।[৪][৫] অতি জনপ্রিয় এই উপন্যাসের কাহিনীকে ভিত্তি করে এ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে সিনেমা। বহুবার এটি প্রচারিত হয়েছে রেডিওতে এবং টেলিভিশনে। বানানো হয়েছে অনেক নাটক। এমনকি ১৯৫৭ সালে মঞ্চনাটক হিসেবেও উপন্যাসটির কাহিনী পরিবেশিত হয়েছিল। এ পর্যন্ত ‘এ টেল অব টু সিটিজ’ বিক্রি হয়েছে দুইশ’ মিলিয়নেরও বেশি কপি।[৬] সারা পৃথিবীতে অনুবাদ হয়েছে পঞ্চাশেরও বেশি ভাষায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
এই section অসম্পূর্ণ। |
ফরাসি বিপ্লবের পূর্ববর্তী সময়ের এবং ফরাসি বিপ্লব চলাকালীন লন্ডন এবং প্যারিসের পটভূমিতে এই উপন্যাসের রচনা।কাহিনীর শুরুতে দেখা যায় যে Jerry Cruncher নামক এক বার্তাবাহক, টেলসন ব্যাংকের ম্যানেজার Mr. Jarvis Lorry কে একটি বার্তা এনে দেন, যার উত্তর হিসাবে লরিসাহেব বলেন,"Recalled to life."
উনি এই বার্তাটি পাঠান Alexandre Manette নামক একজন ফ্রেঞ্চ চিকিৎসকের উদ্দেশ্যে, যিনি ১৮ বছর ধরে বাস্তিল দুর্গে বন্দী দশায় থাকার পর অবশেষে মুক্তিলাভ করেন। জারভিস লরির সাথে দেখা হয় ডাক্তার ম্যানেটের কন্যার Lucie Manette, যে এতকাল তার বাবাকে মৃত বলে ধরে এসেছিল। লরিসাহেব লুসিকে নিয়ে ফ্রান্সে যান তাকে তার বাবার সাথে দেখা করাতে। সেখানে গিয়ে লুসিকে প্রথমে চিনতে না পারলেও পরে ডাক্তার ম্যানেট তার স্ত্রীর মুখের সাথে লুসির মুখের মিল খুঁজে পেয়ে তাকে নিজের কন্যা বলে চিনতে পারেন। এতকাল ডাক্তার ম্যানেটের জীবন অতিবাহিত হয়েছিল জুতো বানিয়ে, যে কাজটি তিনি জেলে থাকতে শিখেছিলেন।
charitra mulya