তেজস | |
---|---|
ভূমিকা | বহুভূমিকাযুক্ত হালকা যুদ্ধবিমান |
উৎস দেশ | ভারত |
নির্মাতা | হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড |
নকশা প্রণয়নকারী দল | অ্যারোনটিকাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সি, বিমান গবেষণা ও নকাশা কেন্দ্র (এইচএল), প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, জাতীয় মহাকাশ গবেষণাগার |
প্রথম উড্ডয়ন | ৪ জানুয়ারি ২০০১[১] |
প্রবর্তন | ১৭ জানুয়ারি ২০১৫[২] |
অবস্থা | পরিষেবায় নিযুক্ত[৩] |
মুখ্য ব্যবহারকারী | ভারতীয় বিমানবাহিনী |
নির্মিত হচ্ছে | ২০০১–বর্তমান |
নির্মিত সংখ্যা | ৩৪ টি[N ১] |
কর্মসূচির খরচ | ₹১১,০৯৬ কোটি (ইউএস$ ১.৩৬ বিলিয়ন)(২০২০ সালের মার্চ মাসে মোট এলসিএ)[৬] |
ইউনিট খরচ | আইওসি এমকে ১ ₹ ১৬২ কোটি (ইউএস$ ১৯.৮ মিলিয়ন) (২০১৪)[৭] এফওসি এমকে ১₹ ২৯৯.৪৫ কোটি (ইউএস$ ৩৬.৬ মিলিয়ন) (২০১০)[৮] এমকে ১এ ₹ ২৭৫ কোটি (ইউএস$ ৩৩.৬১ মিলিয়ন) (২০২০)[৯] |
উদ্ভূত বিমান | এইচএএল তেজস এমকে২ |
এইচএএল তেজস হল ভারতীয় বিমানবাহিনী ও ভারতীয় নৌবাহিনী হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (এইচএএল) বিমা গবেষণা ও নকশা কেন্দ্রের (এআরডিসি)[১০] সহযোগিতায় অ্যারোনটিকাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সি (এডিএ) দ্বারা নকশা করা একটি ভারতীয় একক ইঞ্জিন বিশিষ্ট চতুর্থ প্রজন্মের বহু ভূমিকাযুক্ত হালকা যুদ্ধবিমান। এটি লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (এলসিএ) প্রোগ্রাম থেকে তৈরি করা হয়, যা ১৯৮০-এর দশকে ভারতের পুরাতন মিগ-২১ যুদ্ধবিমান প্রতিস্থাপনের জন্য শুরু হয়। ২০০৩ সালে এলসিএ-এর আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় "তেজস"।[১১][১২]
তেজসের একটি একক উল্লম্ব স্ট্যাবিলাইজার সহ লেজে একটি কম্বাউন্ড ডেল্টা-উইং বিন্যাস রয়েছে। এটি প্রচলিত উইং নকশার চেয়ে অধিক উচ্চ-আলফা কর্মক্ষমতা বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে[১৩] এর ডানা মূলের অগ্রণী প্রান্তটি ৫০ ডিগ্রি, একটি বহির্মুখের অগ্রভাগের প্রান্তে ৬২.৫ ডিগ্রি বেঁকে রয়েছে এবং পিছনের প্রান্তটিতে চার ডিগ্রি ফরোয়ার্ড সুইপ রয়েছে। এটি রিল্যাক্সড স্ট্যাটিক স্ট্যাবিলিটি, ফ্লাই বাই ওয়্যার ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম, মাল্টি-মোড রাডার, ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল এভায়োনিক্স সিস্টেম ও সংমিশ্রিত উপাদান কাঠামোর মতো প্রযুক্তিগুলিকে সংহত করে। এটি সমসাময়িক সুপারসনিক যুদ্ধ বিমানের শ্রেণীর মধ্যে সবচেয়ে ছোট ও সবচেয়ে হালকা।[১৪][১৫]
তেজস এইচএএল এইচএফ-৪৪ মারুতের পরে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএল) দ্বারা নির্মিত দ্বিতীয় সুপারসোনিক যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) জন্য তেজস মার্ক ১ এর উৎপাদন ২০১৬ সালে শুরু হয়, সেই সময়ে নৌ সংস্করণটি ভারতীয় নৌবাহিনীর (আইএন) জন্য উড়ানের পরীক্ষা চালাচ্ছিল। আইএএফ-এর জন্য প্রয়োজনীয়তা ছিল ২০০ টি একক আসনের যুদ্ধবিমান ও ২০ টি দ্বি-আসনযুক্ত প্রশিক্ষনে ব্যবহারের যুদ্ধবিমান, যখন আইএন কমপক্ষে ৪০ টি সিঙ্গেল সিট যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন ছিল। প্রথম তেজাস আইএএফ ইউনিট ২০১৬ সালের ১ জুলাই ৪৫ নং স্কোয়াড্রন আইএএফ ফ্লাইং ডগার দুটি বিমান নিয়ে গঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত ৪৫ স্কোয়াড্রনকে পরে তামিলনাড়ুর সুলুরের নিজস্ব ঘাঁটিতে স্থানান্তরিত করা হয়।[১৬][১৭] প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ ভামরে সংসদে জানিয়েছিলেন যে মান অনুসারে তেজসের দেশীয় বিষয়বস্তু ৫৯.৭% এবং লাইনে প্রতিস্থাপনযোগ্য ইউনিট সংখ্যা ৭৫.৫%।[১৮]
২০১৯ সালের হিসাবে, ভারতীয় বিমানবাহিনী বিভিন্ন ভেরিয়েন্টে মোট ৩২৪ টি তেজসের জন্য পরিকল্পনা করেছে।[১৯] ৪০ টি মার্ক ১ বিমানের প্রথম ব্যাচে ১৬ টি প্রাথমিক পরিচালনাগত ছাড়পত্রের (আইওসি) মান রয়েছে, যা ২০১৯ সালের শুরুর দিকে সরবরাহ করা হয়।[২০] ১৬ টি সম্পূর্ণ পরিচালনাগত ছাড়পত্র (এফওসি) মানের বিমানের দ্বিতীয় ব্যাচের সরবরাহ ২০১৯ সালের শেষদিকে শুরু হয় এবং ২০২০ সালের ২৭ মে সুলুরে দ্বিতীয় তেজাস স্কোয়াড্রন — নং ১৮ স্কোয়াড্রন আইএএফ ফ্লাইং বুলেটস গঠনের দিকে পরিচালিত করে।[৫][২১] আইএএফ ৮ টি দ্বি-আসনের প্রশিক্ষক বিমান গ্রহণ করবে।[৪] পরবর্তী ৮৩ টি মার্ক ১এ অধিক উন্নত মানের হবে।[২২] তেজস মার্ক ২ বিমান ২০১৫-২৬ সালের মধ্যে ধারাবাহিক প্রযোজনার জন্য প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।[২৩]
১৯৬৯ সালে, ভারত সরকার তার অ্যারোনটিক্স কমিটির প্রস্তাবটি গ্রহণ করে, যে প্রস্তাবে বলা হয়েছিল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডকে (এইচএল) একটি প্রমাণিত ইঞ্জিনের চারপাশে একটি যুদ্ধবিমানের নকশা তৈরি ও উন্নয়ন ঘটানো উচিত। একটি 'ট্যাকটিকাল এয়ার সাপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট' এর উপর ভিত্তি করে এএসআর মারুত-এর মতো স্পষ্টতই অনুরূপ,[২৪] এইচএল ১৯৭৫ সালে নকশার গবেষণা সম্পন্ন করে, তবে বিদেশী নির্মাতাও নির্বাচিতদের কাছ থেকে নির্বাচিত "প্রমাণিত ইঞ্জিন" সংগ্রহ করতে অক্ষমতার কারণে প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে পরে। আইএএফ-এর গৌণ বায়ু সমর্থন ও আন্তঃক্ষমতা সহ বায়ু শ্রেষ্ঠত্ব যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তা অপূরণীয় থেকে যায়।[২৫]
১৯৮৩ সালে, আইএএফ দুটি প্রাথমিক উদ্দেশ্যে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। প্রধান ও সর্বাধিক সুস্পষ্ট লক্ষ্যটি ছিল ভারতের পুরাতন মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের প্রতিস্থাপন, যা ১৯৭০-এর দশক থেকে আইএএফ-এর মূল ভিত্তি ছিল। "দীর্ঘমেয়াদী পুনরায় সরঞ্জাম পরিকল্পনা ১৯৮১" উল্লেখ করেছে যে মিগ-২১ বিমানগুলি ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি নাগাদ তাদের পরিষেবা জীবনের শেষের দিকে পৌঁচ্ছে যাবে এবং ১৯৯৫ সালের মধ্যে, আইএএফ-এর ৪০ শতাংশ বিমানের অভাব ঘটবে। পূর্বাভাসের অভাবটি পূরণ করতে প্রকল্পটি কাঠামোগত প্রয়োজনীয়তার উপরে জোরদেবে।[২৬] এলসিএ কর্মসূচীর অন্যান্য প্রধান লক্ষ্য ছিল ভারতের অভ্যন্তরীণ মহাকাশ শিল্পের বোর্ড অগ্রগতি।[২৭] মহাকাশ "স্বনির্ভরতা" উদ্যোগের মূল্য কেবল বিমানের উৎপাদনই ছিল না, বৈশ্বিক বাজারের জন্য বাণিজ্যিক অনুষঙ্গের সাথে অত্যাধুনিক পণ্য তৈরিতে সক্ষম একটি স্থানীয় শিল্পের নির্মাণও ছিল।[২৮]
ভারত সরকার ১৯৮৪ সালে এলসিএ কর্মসূচী পরিচালনার জন্য অ্যারোনটিকাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সি (এডিএ) প্রতিষ্ঠা করে। যদিও তেজসকে প্রায়শই হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (এইচএল) পণ্য হিসাবে বর্ণনা করা হয়, বিমানটির উন্নয়নের দায়বদ্ধতা এডিএ-র অন্তর্ভুক্ত, অপরদিকে এইচএএল এর সাথে একশরও বেশি প্রতিরক্ষা ল্যাবরেটরি, শিল্প সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ঠিকাদার হিসাবে রয়েছে।[২৯] এলসিএ-এর জন্য সরকারের "স্বনির্ভরতা" লক্ষ্যগুলির মধ্যে তিনটি অত্যাধুনিক ও চ্যালেঞ্জিং ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত ছিল: ফ্লাই বাই-ওয়্যার (এফবিডাব্লু) ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম (এফসিএস), মাল্টি-মোড পালস-ডপলার রাডার এবং টার্বোফ্যান ইঞ্জিন জ্বালানো।[৩০]
১৯৮৫ সালের অক্টোবর মাসের আগে এলসিএ-এর জন্য আইএএফ-এর বিমান কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা চূড়ান্ত হয়নি। ১৯৯০ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম উড়ান ও ১৯৯৫ সালে পরিষেবায় প্রবেশের কথা থাকলেও, প্রকল্পের সময়সূচীতে বিলম্বটি ঘটে। তবে এটি এডিএ'কে আরও ভাল মার্শাল জাতীয় গবেষণা ও উন্নয়ন ও শিল্প সম্পদ, কর্মী নিয়োগ, অবকাঠামো তৈরি ও আরও পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের সময় প্রদান করে, যার ফলে আমদানির পরিবর্তে উন্নত প্রযুক্তিগুলি স্থানীয়ভাবে উন্নত হতে থাকে।[২৫][৩১]
প্রকল্পে ১৯৮৭ সালের অক্টোবর মাএ ফ্রান্সের দাসোল্ট-ব্রেগুয়েট এভিয়েশন পরামর্শদাতা হিসাবে নিযুক্ত হয়। দাসোল্ট-ব্রুগুয়েট বিমানটির নকশা ও ব্যবস্থার সংহতকরণে সহায়তা করে। ৩০ জন শীর্ষ বিমান ইঞ্জিনিয়ার আইএডিএ-র প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করার জন্য ভারতে আসেন। এর পরিবর্তে সংস্থাটিকে $১০০ মিলিয়ন/₹৫৬৯ কোটি (২০১৯ সালে হিসাবে ₹৫৬ বিলিয়ন বা $৭৯০ মিলিয়ন) প্রদান করা হয়। এই পর্বটি ১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হয়।[৩১][৩২]
এলসিএ কার্যক্রমের সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের জন্য ১৯৮৯ সালে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়, যা সুপারিশ করে, যে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া যেতে পারে।[৩৩] এলসিএ-এর উন্নয়নের জন্য একটি দ্বি-পর্যায়ের পূর্ণ-পাল্লার প্রকৌশল উন্নয়ন (এফএসইডি) প্রক্রিয়াটি বেছে নেওয়া হয়।[২৬][৩৩] নকশাটি ১৯৯০ সালে শিথিল স্থির স্থিতিশীলতার সাথে একটি ছোট টেললেস ডেল্টা উইং নকশা চূড়ান্ত হয়, যা বর্ধিত কসরতের জন্য "নিয়ন্ত্রণ কনফিগার যান" ধারণা ও ডিজিটাল এফবিডাব্লু উড়ান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করে।[১৪][৩৪][৩৩] কোটা হরিনারায়ণ তেজস কার্যক্রমের মূল কার্যক্রম পরিচালক ও প্রধান নকশাকার ছিলেন।[৩৫][৩৬] তেজসের জন্য ভারতের নিজস্ব শিল্পের এফবিডাব্লু উড়ান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি বিকশিত করার জন্য ১৯৯২ সালে ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স ল্যাবরেটরি (বর্তমানে ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ল্যাবরেটরিস নামে পরিচিত) দ্বারা এলসিএ ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল (সিএলডাব্লু) দল গঠন করা হয় এবং লকহিড মার্টিন পরামর্শদাতা হিসাবে নির্বাচিত হয়।[৩৭] ভারতের দ্বিতীয় পারমাণবিক পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ১৯৯৮ সালের মে মাসে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ওই বছরে লকহিড মার্টিনের পরামর্শ প্রদান বন্ধ হয়।[৩৮][৩৯]
Of the specified amount, ₹9063.96 crore was spent on LCA and ₹2032 crore on the Kaveri Engine.
Another 20 Tejas in their FOC (final operational clearance) or combat-ready configuration were to be delivered by December 2016, as per the second Rs 5,989 crore contract inked in December 2010.
The Ministry of Defence on Friday gave the go-ahead for the purchase of 83 Tejas Mark 1A aircraft for the Indian Air Force at a cost of Rs 38,000 crore bringing down the price from earlier R. 56,000 quoted by the Hindustan Aeronautics Limited (HAL).
The clearance is a major milestone in the fourth generation aircraft's development, which began in 1985.
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; TrainersImpasse
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; tejas2sq
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি