ধ্রুব | |
---|---|
ভূমিকা | বহু ভূমিকাযুক্ত হেলিকপ্টার |
উৎস দেশ | ভারত |
নির্মাতা | হিন্দুস্তান এরোনটিকস লিমিটেড |
প্রথম উড্ডয়ন | ২০শে আগস্ট ১৯৯২[১] |
প্রবর্তন | মার্চ ২০০২[২] |
অবস্থা | কার্যে প্রযুক্ত |
মুখ্য ব্যবহারকারী | ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতীয় বিমানবাহিনী ভারতীয় নৌবাহিনী |
নির্মিত হচ্ছে | ১৯৯২-বর্তমান |
নির্মিত সংখ্যা | ফেব্রুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত ২৩১ [৩] |
ইউনিট খরচ | প্রায় ₹ ৪০ কোটি (ইউএস$ ৪.৮৯ মিলিয়ন)[৪] |
উদ্ভূত বিমান | এইচএএল, যুদ্ধের হালকা হেলিকপ্টার এইচএল রুদ্র |
এইচএএল ধ্রুব হল একটি বহু ভূমিকাযুক্ত হেলিকপ্টার, যেটি ভারতের হিন্দুস্তান এরোনটিকস লিমিটেড (এইচএল) দ্বারা উদ্ভূত এবং উৎপাদিত। প্রথম ১৯৮৪ সালের নভেম্বর মাসে ধ্রুবের বিকাশের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, এবং পরবর্তীকালে জার্মানির এমবিবির সহায়তায় এর নকশা তৈরি হয়েছিল। ১৯৯২ সালে হেলিকপ্টারটি প্রথম উড়েছিল; তবে একাধিক কারণে এর বিকাশ দীর্ঘায়িত হয়ে পড়েছিল। এর মধ্যে ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রয়োজনে নকশার পরিবর্তন, বাজেট সীমাবদ্ধতা, এবং ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পারমাণবিক পরীক্ষার পরে ভারতের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা।
ধ্রুব কাজ শুরু করে ২০০২ সাল থেকে। এটি সামরিক এবং বেসামরিক, উভয় প্রয়োজন মেটাতেই নকশা করা হয়েছে, ভারতের সামরিক বাহিনীর জন্য হেলিকপ্টারটিকে সামরিক চেহারা দেওয়া হয়েছে, আবার, বেসামরিক / বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য একটি বিকল্প বিকাশও ঘটানো হয়েছে। হেলিকপ্টারটি প্রথমে নেপাল এবং ইসরায়েলে রপ্তানি করা হয়েছিল।[৫]
সামরিক সংস্করণটিতে মধ্যে পরিবহন, পরিদর্শন-পরিক্রমা এবং চিকিৎসার জন্য নিষ্কাশন অন্তর্ভুক্ত। ধ্রুবের নকশার উপর ভিত্তি করে, বর্তমানে, এইচএএল, যুদ্ধের হালকা হেলিকপ্টার (লাইট কমব্যাট/এলসিএইচ), যেটি শুধুমাত্র যুদ্ধের উদ্দেশ্যে ব্যবহার হবে, এবং এইচএল লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার (এলইউএইচ), একটি কার্যকরী এবং পর্যবেক্ষণ হেলিকপ্টার, তৈরি করা হচ্ছে। আগস্ট ২০১৩ পর্যন্ত, ২০০ টিরও বেশি এইচএল ধ্রুব বিভিন্ন গ্রাহকের জন্য উৎপাদিত হয়েছে।
১৯৭৯ সালের মে মাসে, ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং ইন্ডিয়ান নেভাল এয়ার আর্ম, দেশীয় ৫ টনের বহু উপযোগী হেলিকপ্টারের জন্য অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) কার্যক্রমটি শুরু করেছিল।[৬] ১৯৮৪ সালে হেলিকপ্টারটির বিকাশের জন্য ভারত সরকার এইচএএল এর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল;[৬][৭] জার্মানির মেসসর্স্মিট-বলকো-ব্লোম (এমবিবি) ১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে এই কর্মসূচীর নকশার পরামর্শদাতা এবং সহযোগী অংশীদার হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল।[৮][৯] যদিও মূলত ১৯৮৯ সালে বিমানটির উড়ান নির্ধারিত হয়েছিল, আদি এএলএইচ (জেড -৩১৮২) হেলিকপ্টারটি বেঙ্গালুরু থেকে, তৎকালীন ভারতের সহ-রাষ্ট্রপতি কে. আর. নারায়ণনের উপস্থিতিতে ২০শে আগস্ট ১৯৯২ সালে প্রথম আকাশে উড়েছিল। [১০] এর পরে, ১৮ই এপ্রিল ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় প্রোটোটাইপ (জেড -৩১৮৩), একটি সেনা / বিমান বাহিনী সংস্করণ (জেড -৩২৬৮), এবং সহযোগী সংকেত সম্বন্ধীয় সিটিএস ৮০০ ইঞ্জিনযুক্ত এবং প্রত্যাহারযোগ্য ত্রিচক্রীয় অন্তঃকাঠামো সহ একটি নৌচালিত প্রোটোটাইপ (ইন.৯০১) তৈরি হয়েছিল।[১১] Development problems arose due to changing military demands and a funding shortfall in the wake of the 1991 Indian economic crisis.[৬]
১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে আইএনএস বিরাট এবং অন্যান্য জাহাজগুলির ওপরে এই হেলিকপ্টার নিয়ে নৌবাহিনীর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল, এবং প্রায় একই সময়ে এর ওজন কমানোর কর্মসূচীও শুরু হয়েছিল.[১২] তবে ১৯৯৯ সালে বেশ কয়েকটি পোখরান-২ পারমাণবিক পরীক্ষা করা এবং সর্বব্যাপী পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি স্বাক্ষর করতে ভারতের অস্বীকারের পরে ভারতের বিরুদ্ধে কিছু নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়, যার ফলে এর উন্নয়নে আরও বিলম্ব হয়েছিল। ফলস্বরূপ, হেলিকপ্টারটির উদ্দেশ্যে তৈরি অভিপ্রেত ইঞ্জিন, এলএইচটিইসি টি৮০০য়ের ওপর, নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।[১২][১৩] তখন এর পরিবর্তে টারবোমেকা টিএম 333-2B2 টারবোশ্যাফ্ট ইঞ্জিনটি নির্বাচিত করা হয়েছিল; এছাড়াও টার্বোমেকা, এইচএএল এর সাথে, আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন বিকাশ করতে সম্মত হয়েছিল, মূলত এটি আরডিডেন নামে পরিচিত।[১৪] Turbomeca also assisted in the development of the helicopter, stress analysis and studies of rotor dynamics were conducted in France.[১৫] নতুন ইঞ্জিন সহ ধ্রুভের প্রথম হেলিকপ্টারটি শক্তি ' নামে ১৬ই আগস্ট ২০০৭ এ উড়ান শুরু করেছিল।[১৬][১৭]
With first deliveries of HAL's Advanced Light Helicopter imminent, Flight International flew one of the prototypes