এক থা টাইগার | |
---|---|
পরিচালক | কবির খান |
প্রযোজক | আদিত্য চোপড়া |
চিত্রনাট্যকার | কবির খান নিলাশ মিশ্র |
কাহিনিকার | আদিত্য চোপড়া |
শ্রেষ্ঠাংশে | সালমান খান ক্যাটরিনা কাইফ রনভীর শোরে আনান ইসলাম |
সুরকার | মূলগান: সোহাইল সেন অতিথি সুরকার: সাজিদ-অয়াজিদ আবহ সঙ্গীত: জুলিয়াস প্যাকিয়াম |
চিত্রগ্রাহক | অসীম মিশ্র |
সম্পাদক | রামেস্বর এস ভাগাত |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
মুক্তি | ১৫ আগস্ট ২০১২ |
স্থিতিকাল | ১৩২ মিনিট[১] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
নির্মাণব্যয় | ₹ ৭৫ কোটি (ইউএস$ ৯.১৭ মিলিয়ন)[২] |
আয় | ₹ ৩০৭ কোটি (ইউএস$ ৩৭.৫৩ মিলিয়ন) (বিশ্বব্যাপী আয়)[৩] |
'এক থা টাইগার' (অনু. এক যে ছিল টাইগার) (ইংরেজি: Ek Tha Tiger) ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বলিউড চলচ্চিত্র। অ্যাকশনধর্মী এই রোমান্টিক চলচ্চিত্রের মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা করেছেন আদিত্য চোপড়া ও পরিচালনা করেছেন কবির খান। যশ রাজ ফিল্মস এর সঙ্গে এটি কবির খানের তৃতীয় চলচ্চিত্র প্রথমটি কাবুল এক্সপ্রেস (২০০৬) এবং দ্বিতীয়টি নিউ ইয়র্ক (২০০৯)। এছাড়া এটি যশ রাজ ফিল্মস সঙ্গে সালমান খানের প্রথম কাজ। চলচ্চিত্রের মূলগান তৈরী করেছেন সোহাইল সেন এবং অতিথি সুরকার সাজিদ-অয়াজিদ।[৪]
এক থা টাইগার চলচ্চিত্রের জন্য প্রি প্রডাকশনের কাজ শুরু করে ২০১০ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে, পরে স্ক্রিপ্ট সম্পন্ন হয়। এটির মূল চিত্রায়ন শুরু হয় সেপ্টেম্বর ২০১১ এবং জুন ২০১২-এ শেষ হয়ে যায়। চলচ্চিত্রটি তিনটি মহাদেশের পাঁচটি দেশ জুড়ে চিত্রায়ন করা হয়েছে।[৫]
প্রাথমিকভাবে চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ নির্ধারন করা হয়েছিল জুন ২০১২-এ, পরে তা বিলম্বের সম্মুখীন হয় এবং ১৫ আগস্ট, ২০১২ স্বাধীনতা দিবস-এ মুক্তি লাভ করে।
মুক্তির পর থেকে, এক থা টাইগার ভারতে সমালোচকেদের মিশ্র প্রক্রিয়ার পাশাপাশি সাধারণভাবে বিদেশী অভ্যর্থনা পাচ্ছে যা ইতিবাচক, ততক্ষণ এটি বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার এর তালিকায় নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছে।
একজন এজেন্ট-যার সাঙ্কেতিক নাম "টাইগার" সালমান খান- ভারতের শীর্ষ গুপ্তচর এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) এর একজন কর্মকর্তা - যিনি উত্তর ইরাকের একটি মিশন পরিচালনা করছেন। টাইগার তার একজন নিজস্ব লোককে এক হত্যা করতে বাধ্য হয়-গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে নেয়। ইরাক থেকে ফিরে আসার পর তাকে খুব শীঘ্রই একটি মিশনে ডাবলিন পাঠানো হয়-ডাবলিনের এক বিজ্ঞানী, যিনি কি না পাকিস্তানে মিসাইল প্রযুক্তির গোপন তথ্য পাচার করছেন, তাকে ধরার জন্য সেখানে বিজ্ঞানীর কেয়ারটেকার, ব্যালে ড্যান্সার শিক্ষক জোয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। গোপী বারবার টাইগারকে জয়ার সঙ্গে প্রেমে পড়া না সতর্ক করে, কিন্তু তিনি. নৃত্য একাডেমী একটি দর্শন সময়, তার তার অনুভূতি বলার আগে, টাইগার আবিষ্কার করে জোয়া একজন আইএসআই এজেন্ট। টাইগার তার কাছে আইএসআই সম্বন্ধে তথ্য চাইলে জোয়া পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতা করতে রাজি হয়না। জোয়াকে হত্যার পরিবর্তে টাইগার তাকে যেতে দেয়।
কিছু দিন পরে ইস্তানবুল এ জাতিসংঘের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাত অনুষ্ঠান এ টাইগার আর জোয়ার দেখা হয়। তারা তাদের ভালবাসার জন্য সবকিছু ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ও তাদের এজেন্সী কে বোকা বানিয়ে কাজাখস্তান যাবার কথা বলে গোপনে কিউবা চলে যায়। কয়ে বছর পর টাইগার আর জোয়াকে তাদের এজেন্সী খুঁজে বের করে। ভারতে ফিরে আসার পরিবর্তে, তারা এরোপ্লনে বিদেশে পালিয়ে যায়। টাইগার সিনয় কে বলে তারা তখন ফিরে আসবে যখন ভারত আর পাকিস্তানের র আর আইএসআই এর প্রয়োজন থাকবে না।