ডিজিজ এক্স বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রদত্ত স্থানদখলকারী নাম। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ডব্লিউএইচও বৈশ্বিক মহামারী ঘটাতে সক্ষম এমন অজানা প্যাথোজেন কর্তৃক সৃষ্ট রোগকে প্রতিনিধিত্ব করতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাধির নীল নকশা নামক সংক্ষিপ্ত তালিকায় এই নামটি ব্যবহার করে।[৪][৫] ডব্লিউএইচও অজানা প্যাথোজেন মোকাবেলার কথা পরিকল্পনা করে রাখার উদ্দেশ্যে এটি করে।[৪][৬] বিশেষজ্ঞরা মনে করে যে ডিজিজ এক্সের ধারণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সহায়তা করবে যেন তাদের গবেষণার প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট ভাইরাসের প্রকরণে (যেমন জিকা ভাইরাস) সীমাবদ্ধ না থেকে সবরকম ভাইরাসের (যেমন ফ্ল্যাভিভাইরাস) উপর পরিচালিত হয়। এর পরে অজানা প্রকরণের ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্ট রোগ মোকাবেলায় ডব্লিউএইচও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।[৭] ২০২০ সালে ডব্লিউএইচও'র অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেছেন, করোনাভাইরাস রোগ (সার্স-কোভি-২ প্রকরণ থেকে সৃষ্ট) প্রথম কোনো রোগ যা ডিজিজ এক্স-এর মত বৈশিষ্ট্যবাহী হতে পেরেছে।[১][২][৩]
২০১৫ সালের মে মাসে ডব্লিউএইচওকে সদস্য সংস্থাগুলো আহ্বান করে একটি ভাইরাসজনিত প্রাদুর্ভাব এবং টিকা/চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যকার সময়হ্রাসের লক্ষ্যে "মহামারী প্রতিরোধে গবেষণা ও উন্নয়নের নীলনকশা" তৈরি করার জন্য, যার ফলে প্রাদুর্ভাব "জনস্বাস্থ্যের জরুরী অবস্থা"য় পরিণয় না হয়।[৪][৯] মূল লক্ষ্য ছিল আসন্ন সংক্রামক রোগ বা এমার্জিং ইনফেকশাস ডিজিজ (ইআইডি) দমন, কারণ এই রোগগুলোর জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।[৯][১০] ডব্লিউএইচও এই কাজের জন্য বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে "আরঅ্যান্ডডি ব্লুপ্রিন্ট সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ" তৈর করি,[১১] যারা দশটি "গুরুত্বপূর্ণ রোগের নীলনকশা" প্রণয়ন করবেন।[৪][৫][৯]
২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ১০টি ইআইডি হালনাগাদ করা হয় এবং এরা বরাবরই প্রচলিত নামধারী রোগ যেমন ইবোলা, জিকা এবং সার্স (উচ্চমাত্রার সংক্রমণ ঘটায় বলে) অন্তর্ভুক্ত করে আসছে। একইসাথে ভৌগোলিকভাবে প্রচলিত রোগের নাম যেমন লাসা জ্বর, মারবার্গ ভাইরাস, রিফট ভ্যালি জ্বর এবং নিপাহ ভাইরাসকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে।[৫][১০]
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জেনেভায় "২০১৮ আরঅ্যান্ডডি ব্লুপ্রিন্ট" বৈঠকের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিদ্ধান্ত নেয় ডিজিজ এক্স রোগকে "সম্ভাব্য অচেনা" প্যাথোজেন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে।[৪][৬][১২] ডিজিজ এক্স নামধারী রোগটা ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক মহামারীর নাম দখল করবে যা কীনা অজানা প্যাথোজেনের ফলে শুরু হবে এবং এই নামদখলকারী রোগ অন্তর্ভুক্তির প্রধান কারণ সেরকম বৈশ্বিক মহামারীকালীন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সক্ষমতা যেন ডব্লিউএইচও'র থাকে।[৫][১৩][১৪]
ঘোষণায় ডব্লিউএইচও জানায়, "বর্তমানে অজানা এমন কোনো প্যাথোজেন মানুষে রোগ সৃষ্টি করার মাধ্যমে মারাত্মক আন্তর্জাতিক মহামারী ঘটতে পারে এই তথ্যকেই 'ডিজিজ এক্স' প্রতিনিধিত্ব করছে"।[৫][৬][১৫] অ্যাডভাইজরি দলের জন-আর্নে রটিঞ্জেন,[৮] বলেন: "ইতিহাস বলে এরকম কোনো বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে যা আমরা আগে কখনো দেখিনি", এবং "'এক্স' যুক্ত করাটাকে হয়ত আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে, কিন্তু ব্যাপারটা হল আমরা চাই এরকম রোগের টিকা ও শনাক্তকারী পরীক্ষা তৈরি করার মাধ্যমে প্রস্তুত থাকতে। আমরা এরকম অবস্থা হওয়ামাত্র ব্যবস্থা (প্লাগ অ্যান্ড প্লে) ইতে চাই যা বেশকিছু রোগের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে এবং আমাদেরকে দ্রুতগতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করবে।"[৬][১০] মার্কিন বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে তাদেরকে ধীরে ও সঠিকভাবে এগোতে হবে এবং এর মধ্যে প্রযুক্তিগত উন্নয়নও অন্তর্ভুক্ত", এবং এরকম প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য ডব্লিউএইচওকে ভাইরাসের প্রতিটি শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে জানতে হবে, ফ্লাভিভাইরাসকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং "এদের সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করা গেলে দ্রুতগতিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণও সম্ভবপর হবে।"[৭]
এন্ড অব এপিডেমিক্স (বৈশ্বিক মহামারীর সমাপ্তি) গ্রন্থে লেখক জোনাথন ডি. কুইক বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিজিজ এক্স নামকরণ "ঝুঁকির আলোচনার জন্য ভালো" মনে করেন, এবং "সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রতিক্রিয়া হল আতঙ্ক ও আত্মতুষ্টি, এবং আত্মতুষ্টিই সেখানে প্রধান।"[১৬] উম্যানস হেলথ লেখে যে এই শব্দের ব্যবহার "আতঙ্কসৃষ্টির ক্ষেত্রে সেরকম সঠিক নাম মনে না হলেও এটা মানুষের রাডারে ধরা পড়ার মত শব্দ।"[১৭]
কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই) থেকে রিচার্ড হ্যাচেট লেখেন, "এটা শুনতে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি মনে হতে পারে, কিন্তু ডিজিজ এক্স এমন কিছু যার জন্য আমাদের প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন", একইসাথে তিনি উল্লেখ করেন যে ২০১৪ সালের পশ্চিম আফ্রিকান ইবোলা ভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের পরেও ২০১৮ সালে ঐ ভাইরাসের প্রকরণ ফিরে আসে।[১৮] ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিইপিআই $৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফান্ডপ্রদান করে জার্মান-ভিত্তিক কিউরভ্যাক বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিকে যেন তারা "আরএনএ প্রিন্টার প্রোটোটাইপ"-এর নকশা উন্নয়ন করে, যা কীনা "অজানা সংক্রামক রোগ সৃষ্টিকারী (উদাহরণস্বরূপ ডিজিজ এক্স) কিছুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে।"[১৯]
ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) এবং তাদের প্রিডিক্ট কর্মসূচীর মাধ্যমে অনুরূপ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এগুলোর নকশা করা হয় মূলত বৈশ্বিক মহামারীর প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে, পশু-মানুষ মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি "হট-স্পট" পশু ভাইরাসের উৎস ও গবেষণার জন্য।[২০]
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে কীভাবে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (পিএইচই) যুক্তরাজ্যে ডিজিজ এক্স থেকে বাঁচতে তাদের জনস্বাস্থ্যে বিদ্যমান নানাবিধ রোগের উপর নিজস্ব তদন্ত কার্যক্রম চালু করেছে। তারা প্রায় ১২ রকমের নভেল রোগ এবং/অথবা ভাইরাস চিহ্নিত করে, যেগুলো পিএইচই শেষ যুগে সন্ধান পেয়েছে।[২১]
২০১৯ সালের অক্টোবরে নিউ ইয়র্কে ডব্লিউএইচওর হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রাম একটি "ডিজিজ এক্স ডামি রান" চালু করে। এর উদ্দেশ্য ছিল ডিজিজ এক্সের মাধ্যমে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারী সিমুলেট করা। এর জন্য বিভিন্ন বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংস্থা ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ১৫০ জন প্রতিনিধিদের আনা হয়, যেন ধীরে ধীরে আরো ভালোভাবে তারা প্রতিরোধের ব্যবস্থা খুঁজে পেতে সক্ষম হয়।[২২][২৩]
২০২০ সালের মার্চে দ্য ল্যান্সেট "ডিজিজ এক্স: পরবর্তী বৈশ্বিক মহামারী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ক্রমান্বয়ন" ("Disease X: accelerating the development of medical countermeasures for the next pandemic") নামে এক গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। এতে প্যাথোজেন এক্স (যে সংক্রামক রোগ সৃষ্টিকারীর কারণে ডিজিজ এক্স সৃষ্টি হবে) শব্দটি ব্যবহার করা হয় এবং ভবিষ্যৎ ডিজিজ এক্স নামক বৈশ্বিক মহামারীর বিরুদ্ধে কার্যকর এমন সামগ্রির উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সমন্বয় নিয়ে আলোচনা করে।[২৪]
২০২০ সালের এপ্রিলে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ রেমডেসিভির নামক এক ওষুধ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কার্যকর কীনা তার পরীক্ষামূলক ব্যবহার চালু হয়েছে বলে জানায়। এই ভাইরাসবিরোধী ওষুধের উপর প্রায় এক যুগ আগে গিলিড সায়েন্সেস কাজ করা শুরু করে, যেন সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ডিজিজ এক্স নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।[২৫]
২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায় বিভিন্ন উৎস থেকে, যেমন হেমোরেজিক জ্বর এবং সাম্প্রতিক নন-পোলিঅ এন্টারোভাইরাস ইত্যাদি ডিজিজ এক্সের কারণ হতে পারে।[৬] রটিংজেন ধারণা করেন যে ডিজিজ এক্স সম্ভবত পশুপাখিবাহী সংক্রমণ (পশুপাখীদেহের ভাইরাস যা মানুষে সংক্রামণ ঘটায়) থেকে হবে। "এটা একটা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া এবং এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা সচেতন ও প্রস্তুত থাকি। এটা সম্ভবত বৃহত্তম ঝুঁকি" বলে তারা জানায়।"[৬][১০] ডব্লিউএইচওর বিশেষ উপদেষ্টা অধ্যাপক মারিয়ন কোপম্যান্স বলেন পশুপাখীবাহী রোগ আবির্ভূত হচ্ছে এবং ছড়াচ্ছে, এবং এর হার বাড়ছে কারণ "মানুষ এবং পশুপাখীর সংস্পর্শ পৃথিবীর উন্নয়নের সাথে সাথে বেড়ে চলছে। এর মাধ্যমে নতুন রোগ সৃষ্টি এবং আধুনিককালের ভ্রমণ ও বাণিজ্যের কারণে পৃথিবীময় ছড়িয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।"[১০][২৬]
২০১৮ সালে H7N9 "বার্ড ফ্লু" ভাইরাসের নতুন প্রকরণ দেখা দেয়, যার মৃত্যুহার প্রায় ৩৮% ছিল। কিছু আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এটাকে সম্ভাব্য ডিজিজ এক্স হিসেবে চিহ্নিত করার কথা ভাবেন (ডব্লিউএইচ না, বা আরঅ্যান্ডডি ব্লুপ্রিন্ট গ্রুপও না)।[২৭][২৮] চীন নতুন এ H7N9 প্রকরণ ব্যাপারে জানায় না, তবে ধীরে ধীরে তারা এ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে এবং গুরুত্ব হ্রাস পায়।[২৯]
২০১৯–২০ করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর শুরু থেকে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কোভিড-১৯ ডিজিজ এক্সের মানদণ্ড পূরণ করতে পেরেছে।[৩০][৩১] ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে চীনা ভাইরাসবিশেষজ্ঞ উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির শি জেংলি লেখেন যে প্রথম ডিজিজ এক্স করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্টি হয়েছে।[৩] পরবর্তীতে ঐ মাসে রটারডামে অবস্থিত ইরাসমাস ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের ভাইরোসায়েন্স বিভাগের প্রধান এবং আরঅ্যান্ডডি ব্লুপ্রিন্ট গ্রুপের সদস্য মারিয়ন কোপম্যানস[৮][৩২] সেল সাময়িকীতে লেখেন, "এই প্রাদুর্ভাব দ্রুতগতিতে প্রথম বৈশ্বিক মহামারী হয়ে উঠছে যা ডিজিজ এক্স শ্রেণীতে পড়ে।"[২][৩৩][৩৪] একই সময়ে আরঅ্যান্ডডি ব্লুপ্রিন্ট গ্রুপের অপর এক সদস্য পিটার ডাসজাক নিউ ইয়র্ক টাইমসে বলেন "এক কথায়, কোভিড-১৯ হল ডিজিজ এক্স।"[১]
ধারণা করা হয়েছিল যে ডিজিজ এক্স ঘটতে পারে জীবাণু অস্ত্র থেকেও।[৩৫] ২০১৮ সালে ডব্লিউএইচও আরঅ্যান্ডডি ব্লুপ্রিন্ট গ্রুপের বিশেষ উপদেষ্টা সদস্য রটিংজেনকে প্রশ্ন করা হয় জৈব প্রকৌশলের দ্বারা কৃত্রিম ভাইরাস তৈরির মাধ্যমে ডিজিজ এক্স তৈরি হতে পারে কীনা (এক্ষেত্রে কানাডাতে ২০১৭ সালে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি অর্থোপক্সভাইরাসের কথা বলা হয়)। এমন কোনো ভাইরাস দুর্ঘটনাবশত কিংবা সংঘাতের ক্ষেতে ব্যবহৃত হতে পারে। রটিংজেন মনে করেন এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম, তবে সতর্ক অরে দেন "কৃত্রিম জীববিজ্ঞান মারাত্মক নতুন ভাইরাস সৃষ্টির ক্ষমতা রাখে। এক্ষেত্রে নতুন এমন কোনো রোগ তৈরি হবে যা প্রতিরোধের ক্ষমতা জনগণের নেই এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।"[১০]
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (পিএইচই) এক প্রতিবেদনে জানায় যে ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে কার্বাপেনাম, কলিস্টিন ইত্যাদির মত শক্তিশালীতম অ্যান্টিবায়োটিকও প্রতিরোধ করে ফেলছে ব্যাকটেরিয়া। এর ফলে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া ডিজিজ এক্সের কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ গনোরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক্ষমতার কথা বলা হয়।[৩৬]
২০১৮ সালে লন্ডন জাদুঘর "ডিজিজ এক্স: লন্ডনের পরবর্তী মহামারী?" নামের এক প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ১৯১৮ সালে হওয়া স্প্যানিশ ফ্লু মহামারী শতবর্ষ উপলক্ষ্যে এই প্রদর্শনী আয়োজিত হয়।[৩৭][৩৮]
বৈশ্বিক মহামারী রোগ নিয়ে লেখা বেশকিছু ফিকশন বইতে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়।[৩৯][৪০]
|pmid=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)।
By listing Disease X, an undetermined disease, the WHO is acknowledging that outbreaks do not always come from an identified source and that, as it admits, "a serious international epidemic could be caused by a pathogen currently unknown to cause human disease."
|pmc=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)।
|pmid=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)।
This hope now looks forlorn with the sudden emergence of the respiratory disease Covid-19, which has rapidly acquired most of the characteristic of a Disease X.