এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ড

এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ড
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি
অবস্থানএজবাস্টন, বার্মিংহাম
দেশEngland
প্রতিষ্ঠা১৮৮২
ধারণক্ষমতা২৫,০০০
প্রান্তসমূহ
নিউ প্যাভিলিয়ন এন্ড
সিটি এন্ড
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য
প্রথম পুরুষ টেস্ট২৯ মে ১৯০২:
ইংল্যান্ড  বনাম  অস্ট্রেলিয়া
সর্বশেষ পুরুষ টেস্ট৬ আগস্ট ২০১০:
ইংল্যান্ড  বনাম  পাকিস্তান
প্রথম পুরুষ ওডিআই২৮ আগস্ট ১৯৭২:
ইংল্যান্ড  বনাম  অস্ট্রেলিয়া
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই৪ জুলাই ২০০৭:
ইংল্যান্ড  বনাম  ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
ওয়ারউইকশায়্যার (১৮৯৪-বর্তমান)
১৬ ডিসেম্বর ২০০৭ অনুযায়ী
উৎস: CricketArchive

কাউন্টি গ্রাউন্ড, এজবাস্টন স্টেডিয়াম বা এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (ইংরেজি: Edgbaston Cricket Ground) ইংল্যান্ডের বার্মিহামের এজবাস্টন এলাকায় অবস্থিত একটি ক্রিকেট মাঠওয়ারউইকশায়্যার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের নিজ মাঠ হিসেবে স্টেডিয়ামটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া, টেস্ট খেলাএকদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্যেও এটি বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।

স্টেডিয়ামের সর্বমোট দর্শক ধারণ ক্ষমতা ২৫,০০০। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পর এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিকেট খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছে।[]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে ১৯৯৪ সালে ব্রায়ান লারা’র অপরাজিত ৫০১ রানের বিশ্বরেকর্ড এ মাঠেই সৃষ্টি হয়েছিল।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

স্টেডিয়ামের ভূমিটি প্রকৃতপক্ষে ক্যালথর্প এস্টেটের অধীনে ছিল যা উইলেম ইনভেস্টম্যান্টস (এজবাস্টন হোল্ডিংস)-এর কাছে দীর্ঘমেয়াদী লীজে বিক্রয় করেছিল। ঊনবিংশ শতকে ক্যালথর্প ক্রিকেট মাঠের উন্নয়নে কাজ করে যা এলাকার ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সহায়তা করে।[] ওয়ারউইকশায়্যার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব রাগবি এবং লিমিংটন স্পা এলাকায় তাদের সদর দফতর গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু ক্লাবের সেক্রেটারী উইলিয়াম অ্যানসেল মনে করতেন যে বার্মিংহামের বৃহৎ জনগোষ্ঠী এবং রেলওয়ে যোগাযোগ সহজ হওয়ার প্রেক্ষাপটে কাউন্টিতে প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদা প্রাপ্তিসহ টেস্ট মর্যাদা পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।[]

এজবাস্টনের প্রথম টেস্ট খেলাটি ছিল অ্যাশেজ সিরিজের। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড ১৯০২ সালে অংশগ্রহণ করে। ক্লাবের প্রচলিত দুটি স্থায়ী প্রান্ত, দুটি অস্থায়ী প্রান্ত এবং ৯০ সদস্যের সাংবাদিক বসার জায়গা রাখে।[] এর উন্নয়নে £১,৫০০ পাউন্ড স্টার্লিং ব্যয় হয়। কিন্তু ওয়ারউইকশায়্যার মাত্র £৭৫০ পাউন্ড পায়।[]

জুলাই, ১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতামূলক দিবা-রাত্রির ক্রিকেট খেলার আয়োজন এই এজবাস্টনেই হয়।[]

মাঠের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত প্যাভিলিয়ন এন্ডের উন্নয়নে ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে £৩২ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হয়। তন্মধ্যে £২০ মিলিয়ন পাউন্ড বার্মিংহ্যাম সিটি কাউন্সিল থেকে ঋণ বাবদ সংগ্রহ করা হয়। এরফলে স্টেডিয়ামের দর্শক সংখ্যা ২৫,০০০-এ উন্নীত করা হয়।[]

ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া ৩য় টেস্ট ম্যাচ, ২০০৯

এজবাস্টন মাঠকে ইংল্যান্ডের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মাঠ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৯২ সালে উইজডেনের ক্রিকেট মাঠের নির্দেশিকায় লর্ডসকে যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় মাঠ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।[] দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায়ও ২০০৯ সালে একমত পোষণ করা হয় এবং লর্ডসের বাইরে সেরা মাঠ হিসেবে এজবাস্টনের কথা উল্লেখ করা হয়।[] ২০১১ সালে দক্ষিণ এবং পশ্চিম প্রান্তের উদ্বোধন হয়। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড সুন্দর সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে সবচেয়ে সেরা মাঠের মর্যাদা দেয়।[]

অতিথি দলের সুন্দর আতিথেয়তার ব্যবস্থা রয়েছে এজবাস্টনে।[১০] সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালেক স্টুয়ার্ট বলেন যে, "বৈশ্বিক পর্যায়ে এটি একলক্ষ আসনের অধিকারী কলকাতার ইডেন গার্ডেনের সমতুল্য। এটি যে-কোন দলকেই উদ্বুদ্ধ করতে পারে।"[১০] এছাড়াও সাবেক ইংরেজ উইকেটরক্ষক জেরেইন্ট জোন্স মন্তব্য করেন যে, "এখানকার দর্শকেরা বিরাট হৈ-চৈ করেন যখন আপনি ভাল কিছু করবেন ........ এটি পরিবেশের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ।"[১০]

সর্বাধিকসংখ্যক দর্শক সমাগমের রেকর্ড রাখা হয়েছে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায়। ১৯৫১ সালে ল্যাঙ্কাশায়্যারের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী খেলায় ২৮,০০০ দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একদিনে ৩২,০০০ দর্শক এসেছিলেন স্টেডিয়ামটিতে।[]

২০০০ সালের পূর্ব পর্যন্ত কয়েকবছর বৃষ্টি আচ্ছাদন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় যা ব্রাম্ব্রেলা নামে পরিচিতি পায়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Barnett, Rob (১০ আগস্ট ২০১১)। "Edgbaston at the cutting edge"। England and Wales Cricket Board। ৮ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১১ 
  2. ""Alumni – Brian Lara". Warwickshire County Cricket Club. Archived from the original on 4 December 2007. Retrieved 7 June 2008."। ৪ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০০৭ 
  3. Hignell 2002, পৃ. 63।
  4. Pringle 1994
  5. Ryder, Rowland (১৯৬৮)। "Warwickshire the unpredictable – Where cricket is always played as it should be"। Preston, Norman। Wisden Cricketers' Almanack। London: Sporting Handbooks। আইএসবিএন 0-85020-017-2। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১১ 
  6. "Counter culture: Good venue guide: Edgbaston"। The Guardian। Guardian Newspapers। ২৭ জুন ১৯৯৮। পৃষ্ঠা 11। 
  7. Halford, Brian (১৮ মার্চ ২০১১)। "It was new Edgbaston or nothing, says Warwickshire CCC chief"Birmingham Post। Trinity Mirror Midlands। ২ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১১ 
  8. Powell 1992, পৃ. 445।
  9. Henderson, Michael (৩০ জুলাই ২০০৯)। "The Ashes: patriotic Edgbaston makes England feel at home"Daily Telegraph। London: Telegraph Media Group। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১১ 
  10. Weaver, Paul (২৯ জুলাই ২০০৯)। "If Australia thought Cardiff and Lord's was noisy, they haven't heard anything yet"The Guardian। London: Guardian News and Media। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১১ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]


টেমপ্লেট:BirminghamBuildings