ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এজরা আলফোন্সা মোসলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়ালড্রোন্স ভিলেজ, ক্রাইস্টচার্চ, বার্বাডোস | ৫ জানুয়ারি ১৯৫৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৯৫) | ২৩ মার্চ ১৯৯০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৫ এপ্রিল ১৯৯০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫৭) | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৯ মার্চ ১৯৯১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮০ - ১৯৮৬ | গ্ল্যামারগন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮১ - ১৯৯২ | বার্বাডোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৩ - ১৯৮৫ | ইস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১ - ১৯৯২ | নর্দার্ন ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
এজরা আলফোন্সা মোসলি (ইংরেজি: Ezra Moseley; জন্ম: ৫ জানুয়ারি, ১৯৫৮) ক্রাইস্টচার্চের ওয়ালড্রোন্স ভিলেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বার্বাডীয় বংশোদ্ভূত কোচ ও সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ইস্টার্ন প্রভিন্স ও নর্দার্ন ট্রান্সভাল এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যামারগন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন এজরা মোসলি।
১৯৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৯৯১-৯২ মৌসুম পর্যন্ত এজরা মোসলি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের আরও একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে এজরা মোসলি’র আত্মপ্রকাশ ঘটে। শুরুরদিকে তার খেলোয়াড়ী জীবনে প্রতিশ্রুতিশীলতা দেখা যায়। তবে, পিঠের আঘাতের কারণে অস্ত্রোপচারসহ দীর্ঘদিন বিশ্রামে থাকতে হয়।[১][২]
১৯৮০ সালে গ্ল্যামারগনের সাথে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। ক্লাব ক্রিকেটে দলের শক্তিমত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশ ভালো খেলা উপহারে সচেষ্ট হন। ১৯৮০ ও ১৯৮১ সালের উভয় মৌসুমেই ৫০-এর অধিক উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান। এর পরই কেবল বার্বাডোসের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার।
বার্বাডীয় বংশোদ্ভূত এজরা মোসলেকে ইংরেজ কাউন্টি ক্লাব গ্ল্যামারগনের পক্ষে খেলার জন্যে ট্রেভর বেইলি ও রেগ সিম্পসন সুপারিশ করেন।[৩] ১৯৮০ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। প্রথম দুই মৌসুমে গ্ল্যামারগনের পক্ষে শতাধিক উইকেট লাভ করেন তিনি। পাশাপাশি কাউন্টি ক্যাপের অধিকারী হন।[১] এরপর, ১৯৮১ সালে বার্বাডোসের পক্ষে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।[২]
১৯৮২ সালে বিতর্কিত দক্ষিণ আফ্রিকা গমনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদ্রোহী দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। এরফলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন তিনি। এ সফরের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় ইস্টার্ন প্রভিন্সের সাথে খেলার পাশাপাশি ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত গ্ল্যামারগনের পক্ষে খেলেন। এরপর, ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন।
২৫ বছর বয়সী এজরা মোসলে’র খেলোয়াড়ী জীবন দৃশ্যতঃ শেষেরদিকে হলেও ১৯৮৬ সালে গ্ল্যামারগনের পক্ষে কয়েকটি খেলায় অংশ নেন। বার্বাডোসের পক্ষে আরেক মৌসুম খেলার পর কারি কাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। ঐ সময়েও তিনি ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে খেলেছিলেন। ১৯৯০ সালে সারে দলের পক্ষে খেলার জন্যে প্রস্তাবনা দেয়া হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
১৯৮৯ সালে বিদ্রোহী দলের সদস্যদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এরফলে, বার্বাডোসে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। ঐ দলের প্রথম ও একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও নয়টিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন এজরা মোসলি। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ২৩ মার্চ, ১৯৯০ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৫ এপ্রিল, ১৯৯০ তারিখে ব্রিজটাউনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
৩২ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে দুই টেস্টে অংশ নিয়ে ছয় উইকেট পান। এক পর্যায়ে তিনি সিরিজের তৃতীয় টেস্টে গ্রাহাম গুচের হাত ভেঙ্গে ফেলেন ও ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা অবস্থায় ইংল্যান্ড দল ছোট লক্ষ্যমাত্রা মন্দ আলোকের কারণে জয় পায়নি। গুচবিহীন অবস্থায় ইংল্যান্ড দল বাদ-বাকী দুই খেলায় পরাজিত হয় ও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করে।
১৯৯২ সালে নিজস্ব সর্বশেষ মৌসুম দক্ষিণ আফ্রিকায় নর্দার্ন ট্রান্সভালের পক্ষে পাড় করেন। ঐ বছর তিনি খেলার জগৎ থেকে অবসর গ্রহণ করেন ও কোচ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।[২] ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর সেন্ট মাইকেলে বার্বাডোসের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় প্রশিক্ষণ দেন। বর্তমানে তিনি বার্বাডোসের কিশোর দল নির্বাচকমণ্ডলীর দায়িত্বে রয়েছেন।