ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এডউইন ফন দের সার | ||
উচ্চতা | ২.০২ মিটার (৬ ফুট ৭+১⁄২ ইঞ্চি)[১] | ||
মাঠে অবস্থান | গোলরক্ষক | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯০–১৯৯২ | আয়াক্স | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ (গোল) | |
১৯৯০–১৯৯৯ ১৯৯৯–২০০১ ২০০১–২০০৫ ২০০৫–২০১১ |
আয়াক্স জুভেন্টাস ফুলহ্যাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড |
২২৬ (১) ৬৬ (০) ১২৭ (০) ১৮৬ (০) | |
জাতীয় দল | |||
১৯৯৫–২০০৮ | নেদারল্যান্ড | ১৩০ (০) | |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
এডউইন ফন দের সার (জন্ম অক্টোবর ২৯, ১৯৭০ নেদারল্যান্ডের ভুরহৌটে) একজন পেশাদার ডাচ ফুটবলার যিনি গোলরক্ষক হিসেবে খেলতেন। তিনি নেদারল্যান্ড জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন এবং প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলের হয়ে খেলতেন।
ফন দের সার তার ক্যারিয়ার শুরু করেন ফোরহোটে (Foreholte) (ভুরহৌটের আঞ্চলিক ফুটবল দল), পরে তিনি যান ভিভি নুর্দউয়িজক দলে। এখানে থাকাকালীন তিনি আয়াক্স দলের নজরে আসেন। পরে তিনি আয়াক্স দলে যোগ দেন এবং ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে আয়াক্স দলের হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়লাভ করেন। এছাড়া ১৯৯১-৯২ মৌসুমে তার দল উয়েফা কাপ জিতে নেয়। তিনি আয়াক্সের হয়ে মোট ২২৬ টি খেলাতে অংশ নেন।
এরপর তিনি জুভেন্টাস দলে আসেন, কিন্ত শেষ পর্যন্ত তিনি বুফনের কাছে তার অবস্থান খোয়ান, যাকে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখেন। তিনি জুভের হয়ে ৬৬টি খেলায় অংশ নিয়েছেন এবং একমাত্র অ-ইতালীয় গোলরক্ষক হিসেবে জুভের গোলপোস্ট সামলেছেন।[১]
২০০১ সালে তিনি ফুলহ্যামের সাথে প্রায় ৭.৭ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে চার বছর মেয়াদী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। [২] তিনি ফুলহ্যামের হয়ে ১২৭টি খেলাতে অংশ নেন।
২০০৫ সালের ১লা জুন তিনি আনুমানিক ২ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে দুই বছরের চুক্তিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন। তবে সঠিক ফী অজানা। ফন দের সারকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলরক্ষকের সমস্যা সমাধানে আনা হয়, কেননা পিটার স্মাইকেল যুগের পর দলটি দীর্ঘকাল একজন ভাল গোলরক্ষক পাননি। ইউনাইটেড ম্যানেজার এলেক্স ফার্গুসনের মতে পিটার স্মাইকেলের পর ম্যানচেস্টারের সেরা গোলরক্ষক ফন দের সার। [৩] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে তার চুক্তি নবায়ন করে তিনি ২০০৮ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত খেলার দায়িত্ব পান।
স্যার এলেক্স ফার্গুসন জনসম্মুখে তার খেলার কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন (এই মৌসুমে তার বয়স হবে ৩৮): "এডউইন ফিট, দক্ষ ও ক্ষুধার্ত এবং সে সহজেই আরো দুই বছর খেলতে পারে"
ভ্যন ডের সারকে তার উচ্ছল সবুজ দৈত্য নাম দেয়ার কারণ তার উচ্চতা (১৯৭ সেমি / ৬'৬") ও সবুজ গোলরক্ষকের পোশাক যা তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পড়েন। [৪] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০০৭ এ প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেডের হয়ে টোটেনহামের বিপক্ষে খেলার সময় আইরিশ স্ট্রাইকার রবি কিনের সাথে সংঘর্ষে তার নাক ভেঙ্গে যায়। [৫].
মে ৫, ২০০৭ এ তিনি ম্যানচেস্টার সিটির দারিয়ুস ভেসেলের একটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিজয় নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে চেলসি আর্সেনালের বিপক্ষে জিততে ব্যর্থ হলে সে ম্যানচেস্টার চার বছর পর তাদের ১৬তম লিগ শিরোপা লাভ করে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফন দের সারের অভিষেক ঘটে ১৯৯৫ সালের ৭ জুন বেলারুশের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ যে তিনটি খেলায় নেদারল্যান্ড পেনাল্টিতে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়েছে তার সবকয়টিতেই তিনি গোলরক্ষক হিসেবে ছিলেন: ইউরো ১৯৯৬, ফিফা বিশ্বকাপ ১৯৯৮ ও ইউরো ২০০০।
২০০৬ বিশ্বকাপে আইভরি কোস্টের বিরুদ্ধে খেলার আগে ফন দের সার টানা ১০টি প্রতিযোগিতামূলক খেলায় কোন গোল হজম করেননি। ১,০১৩ মিনিট গোল না খাওয়া একটি সর্বকালের ইউরোপীয়ান রেকর্ড। [৬]
ফন দের সার নেদারল্যান্ডের হয়ে ১১৮ বার খেলেছেন যা তাকে নেদারল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়ে পরিনত করেছে। এটি তাকে একশর বেশি জাতীয় দলে খেলা শীর্ষ ৬০ জন খেলোয়াড়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। অধিনায়ক হিসেবে তিনি ফ্রাঙ্ক ডি বোরের রেকর্ড ভেঙ্গেছেন ২০০৬ বিশ্বকাপে পর্তুগালের সাথে খেলার সময়। পর্তুগালের বিপক্ষে দুঃখজনক হারের পর নেদারল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়লেও তিনি ইউরো ২০০৮ পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলার সিদ্ধান্ত নেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অ্যান-ম্যারি ফন কেস্টেরেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। তাদের বিয়ে হয় আমস্টার্ডামে ২০০৬ সালের ২০শে মে। অন্যন্যদের মধ্যে তৎকালীন পেশাদার দল ও জাতীয় দল সহযোগী রুড ফন নিস্তেলরয় উপস্থিত ছিলেন।
এই জুটির দুটি সন্তান আছে: ছেলে জো ও মেয়ে লিন।