এডওয়ার্ড অ্যান্ড্রেইড | |
---|---|
জন্ম | এডওয়ার্ড নেভিল ডা কস্তা অ্যান্ড্রেইড ২৭ ডিসেম্বর ১৮৮৭ |
মৃত্যু | ৬ জুন ১৯৭১ | (বয়স ৮৩)
পুরস্কার | হিউজ মেডেল (১৯৫৮) হলওয়েক মেডেল (১৯৪৭) |
এডওয়ার্ড নেভিল ডা কস্তা অ্যান্ড্রেইড'FRS [১](২৭ ডিসেম্বর,১৮৮৭ - ৬ জুন,১৯৭১) ছিলেন একজন ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী,লেখক এবং কবি।
লিটারারি ডাইজেস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি উল্লেখ করেন তার নামের উচ্চারণ প্রকৃতপক্ষে "air raid" শব্দদ্বয় থেকে "air" শব্দটিকে "and" দ্বারা প্রতিস্থাপন করলে যে উচ্চারণ পাওয়া যায়,তার অনুরূপ।"[২]
বিজ্ঞান মহলে অ্যান্ড্রেইড সর্বাধিক পরিচিত বিখ্যাত পদার্থবিদ আর্নেস্ট রাদারফোর্ডের সাথে তার যুগ্ম গবেষণা-কাজের জন্য,যেখানে তারা সর্বপ্রথম বিশেষ গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য নির্ণয় করেছিলেন এবং প্রমাণ করেছিলেন এই রশ্মি তৎকালে জ্ঞাত রঞ্জন রশ্মির তুলনায় অত্যন্ত উচ্চশক্তিসম্পন্ন।জনপ্রিয় ধারায় তিনি সমধিক পরিচিত ছিলেন বেতার অনুষ্ঠান দা ব্রেইনস ট্রাস্টে তার উপস্থাপনার জন্য।
এডওয়ার্ড নেভিল অ্যান্ড্রেইড ছিলেন একজন সেফার্ডি ইহুদি এবং মোজেস ডা কস্তা অ্যান্ড্রেইড-এর উত্তরপুরুষ( মোসেস ডা কস্তা নয়,যদিও অনেক সময় সেভাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে)।পেশায় পূর্ব লন্ডনের পালক ব্যবসায়ী,ডা কস্তা অ্যান্ড্রেইড,ছিলেন তার দ্বিতীয় প্রপিতামহ।তা সত্ত্বেও ধারণা করা যায়,"অ্যান্ড্রেইড" পদবির আগমন পর্তুগিজ উৎস থেকে(প্রকৃত উচ্চারণের নোটস দেখুন)।
এডওয়ার্ড নেভিল হিডেলবার্গ ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং এরপর ১৯১৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড-এর সাথে সংক্ষিপ্ত,কিন্তু কার্যকর গবেষণার অভিজ্ঞতা লাভ করেন।রেডিয়াম মৌল ব্যবহার করে গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য নির্ণয় করার জন্য তারা একত্রে বিচ্ছুরণ পরীক্ষা পরিচালনা করেন এবং এর পরিমাণগত বিশ্লেষণ করতে সমর্থ হন।এই গবেষণা থেকেই তারা দেখান যে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিবেচনায় উক্ত রশ্মি "রঞ্জন নল" বা "রন্টজেন টিউব" থেকে উৎপন্ন রঞ্জন রশ্মির তুলনায় ক্ষুদ্রতর।[৩][৪]
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি গোলন্দাজ-দঙ্গল "রয়েল আর্টিলারি"তে যোগ দেন এবং পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে সেখান থেকে ১৯২০ সালে যোগ দেন উলউইচের অর্ডন্যান্স কলেজে।
১৯২৮ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত তিনি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ-এ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সম্মানজনক কোয়াইন অধ্যাপক এর দায়িত্ব পালন করেন এবং তারপর রসায়নবিজ্ঞানের ফুলেরিয়ান অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন রয়েল ইনস্টিটিউশনে[৫] ।সে সময়ে তিনি রয়েল ইনস্টিটিউশনকে পুনর্গঠন করতে চেষ্টা করেছিলেন,কিন্তু এই সম্পর্কিত সম্মতিভোটে অন্যান্য সভ্যরা তার প্রতি অনাস্থাজ্ঞাপন করলে টানা তিন বছর ফুলেরিয়ান অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অ্যান্ড্রেইড পদত্যাগ করেন।১৯৪৩ সালে "কম্পন এবং তরঙ্গ" বিষয়ে রয়েল ইনস্টিটিউশন স্মারক ক্রিসমাস বক্তৃতা প্রদানের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।পরবর্তীতে,১৯৫০ সালে তিনি এই বক্তৃতাগুলিকে উন্নতরূপে পরিমার্জন করে "কম্পন এবং তরঙ্গ" শীর্ষক সিরিজ আকারে প্রকাশ করেন।
অ্যান্ড্রেইড উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করেছেন;যুদ্ধ-চলাকালীন বিবিসি বেতার থেকে প্রচারিত দা ব্রেইন ট্রাস্ট অনুষ্ঠান আয়োজন করে তিনি বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন। [৬]
তার প্রকাশনা-
ইউনিভার্সিটি অফ লিচেস্টারএ তার গবেষণাপত্রগুলো রক্ষিত আছে।[৭]