এডওয়ার্ড মরড্রেক বা এডওয়ার্ড মরডেক ১৯ শতকের ইংরেজ অভিজাত মানুষ এডওয়ার্ড মরডেক। ঊনিশ শতকে জন্ম নেয়া একজন হতভাগ্য মানুষ, যে দু'টো মাথা নিয়ে জন্মেছিলো। সাধারণ মানুষের চেহারা কেবল সামনের দিকেই থাকে, অথচ এই মানুষটার মাথার পেছনেও আর একটা চেহারার অস্তিত্ব ছিলো। সেই অস্তিত্বটা হাসতো, কাঁদতো আর উদ্ভট উদ্ভট শব্দ করতো। এবং এডওয়ার্ডের কোন কন্ট্রোল ছিলো না ঐ মাথাটার ওপর! সে নিজেই একটা আলাদা অস্তিত্ব হয়ে উঠেছিলো। এডওয়ার্ডের ধারণা ছিলো এটা " শয়তানের মাথা"। রাতের বেলা যখন এডওয়ার্ড ঘুমাতে যেতো, তখন ঐ বাড়তি জিনিসটা নাকি ফিসফিস করে কিছু একটা বলতো তাকে! ডাক্তারদের বার বার অনুরোধ করা হয়েছিলো বাড়তি মাথাটা কেটে ফেলার জন্যে,কিন্তু কেউ সাহস করে উঠতে পারেনি।এবং মাত্র ২৩ বছর বয়সে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এডওয়ার্ড আত্নহত্যা করে বসে! ।[১] তার অবস্থা অনেকটা পেসকেল পিনন ও চেং টিজো পিং এর মতো ছিলো। দ্য বুক অফ লিস্টস এর ১৯৭৬ সালের প্রকাশনায় মারডেক ও পিনন উভয়ই পৃথিবীর ১০ জন মানুষের মধ্যে স্থান করে নেন যাদের অতিরিক্ত চেহারা বা অঙ্গ আছে।[২]
এডওয়ার্ড মরডেকের এই অবস্থা প্রতিষ্ঠা করা খুব কঠিন কারণ তার জন্ম ও মৃত্যুর কোন নথি-পত্র পাওয়া যায় নি এবং তার আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার স্থান নিয়েও দ্বন্দ্ব আছে। তার ঘটনার অধিকাংশ মৌখিকভাবে প্রচলিত।
১৮৯৬ সালে অ্যানোমালিস এন্ড কিউরিওসিটিস মেডিসিনি[১] নামক একটি নিবন্ধে তার সম্পর্কে লেখার পর তিনি এখন অনেক নাটক,লেখা ও গানের বিষয়বস্তুতে পরিনত হন। যাইহোক, কিছু কিছু সময় তার এই গল্পকে অনেকেই মিথ্যা হিসেবে আক্ষায়িত করে। কারণ তাদের মতে ঘটনাটি ছিল অনেকটা কাল্পনিক ও এর কোন মেডিকেল ব্যাখ্যা ছিল না-অনেক বছর ধরে লোকমুখে প্রচলিত ছিল বলে এটি সত্য ঘটনার মত মনে হয়েছে।[৩] টম ওয়েটস অ্যালাইস অ্যালবামে এডওয়ার্ড মারডেককে নিয়ে একটি গান লেখেন যার শিরোনাম হলো, “পুওর এডওয়ার্ড”।[৪]