এডগার অ্যালেন | |
---|---|
![]() ১৯৩৩ সালে এডগার অ্যালেন | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ফেব্রুয়ারি ৩, ১৯৪৩ | (বয়স ৫০)
জাতীয়তা | ![]() |
মাতৃশিক্ষায়তন | ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | শারীরস্থান, শারীরতত্ত্ব, অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেন্ট লুইস ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় |
এডগার অ্যালেন (২ মে, ১৮৯২ - ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৩) একজন আমেরিকান শারীরস্থানবিদ এবং শারীরতাত্ত্বিক ছিলেন। তিনি ইস্ট্রোজেন আবিষ্কার এবং অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিবিজ্ঞানকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিশেষায়িত শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠাতে তার ভূমিকার জন্য পরিচিত।[১]
কলোরাডোর ক্যানন (ক্যানিয়ন) সিটিতে জন্মগ্রহণকারী অ্যালেনের বাবাও একজন চিকিৎসক ছিলেন। ১৯১৮ সালে তিনি প্রভিডেন্সের ম্যারিয়ন ফাইফারকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান ছিল।[২]
তিনি তার মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করেন রোডস আইল্যান্ডের পাটুকেট এন্ড ক্রান্সটন পাবলিক স্কুল থেকে। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। এখানে তিনি ১৯১৫ সালে জীববিজ্ঞানে স্নাতক ও ১৯১৬ সালে স্নাতকোত্তর সনদ অর্জন করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সেনাদলে মেডিকেল কোরে যুক্ত হওয়ার কারণে তার উচ্চতর শিক্ষায় সাময়িক ছেদ পরে।[২] বিশ্বযুদ্ধ কাজ করার পর তিনি ১৯১৯ সালে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনে চাকুরী নেন। চাকুরিরত অবস্থায় ১৯২১ সালে তিনি পিএইচডি অর্জন করেন।[২]
১৯১৯ হতে ১৯২৩ পর্যন্ত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনে চাকুরি করেন।[৩] ১৯২৩ সালে তিনি কলম্বিয়ার মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরস্থানবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। এখানে তিনি পরে মেডিকেল স্কুলের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের পরিচালক হয়েছিলেন। দশ বছর পর তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একইবিভাগের সভাপতি নিযুক্ত হন।[১]
মিসৌরিতে, তিনি যৌন হরমোন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। যদিও সে সময় এটি সাধারণত বিশ্বাস করা হয়েছিল যে নারী প্রজনন চক্র কর্পাস লুটিয়ামের পদার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অ্যালেন ডিম্বাণুর চারপাশের ফলিকলে তার পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ফলে ইস্ট্রোজেন আবিষ্কার করেছিলেন। তার আবিষ্কারের ছয় বছর পর ১৯২৯ সালে অ্যাডলফ বুটেন্যান্ড নতুন আবিষ্কৃত হরমোনকে ইস্ট্রোজেন হিসেবে সনাক্ত করেন।[১]
অ্যালেন ১৯৪৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের সাথে কাজ করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।[১]