এডুয়ার্ড শেভার্দনাদজে | |
---|---|
ედუარდ შევარდნაძე | |
জর্জিয়ার ২য় রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২৬ নভেম্বর, ১৯৯৫ – ২৩ নভেম্বর, ২০০৩ | |
পূর্বসূরী | পদ পুণঃস্থাপন; নিজেকে জর্জিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা |
উত্তরসূরী | নিনো বারজানাদজে (ভারপ্রাপ্ত) |
সংসদের সভাপতি - জর্জিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান | |
কাজের মেয়াদ ৬ নভেম্বর, ১৯৯২ – ২৬ নভেম্বর, ১৯৯৫ (৪ নভেম্বর, ১৯৯২ থেকে সংসদের সভাপতি) | |
পূর্বসূরী | পদ সৃষ্টি; নিজেকে জর্জিয়ার স্টেট কাউন্সিলের সভাপতি ঘোষণা |
উত্তরসূরী | পদ বিলুপ্তি; জুরাব জাভানিয়া জর্জিয়ার সংসদের সভাপতি |
জর্জিয়ার স্টেট কাউন্সিলের সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ১০ মার্চ, ১৯৯২ – ৪ নভেম্বর, ১৯৯২ | |
পূর্বসূরী | পদ সৃষ্টি; অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপ্রধানরূপে মিলিটারি কাউন্সিল |
উত্তরসূরী | পদ বিলুপ্তি; নিজেকে জর্জিয়ার সংসদের সভাপতি ঘোষণা |
বহিঃসম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯ নভেম্বর, ১৯৯১ – ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯১ | |
প্রিমিয়ার | ইভান সিলায়েভ |
পূর্বসূরী | বরিস পানকিন |
উত্তরসূরী | পদ বিলুপ্তি |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২ জুলাই, ১৯৮৫ – ২০ ডিসেম্বর, ১৯৯০ | |
প্রিমিয়ার | নিকোলাই টিখোনভ নিকোলাই রিঝকভ |
পূর্বসূরী | আন্দ্রে গ্রোমিকো |
উত্তরসূরী | আলেকজান্দর বেসমার্তনিখ |
জর্জিয়া কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সচিব | |
কাজের মেয়াদ ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২ – ৬ জুলাই, ১৯৮৫ | |
পূর্বসূরী | ভাসিল ঝাভানাদজে |
উত্তরসূরী | জাম্বার পাতিয়াশভিলি |
জর্জিয়ার অভ্যন্তরীণবিষয়ক মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬৭ – ১৯৭২ | |
পূর্বসূরী | ভ্লাদিমির জানগাভা |
উত্তরসূরী | দিলার হাবুলিয়ানি |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মামাতি, গার্জা, ট্রান্সককেশিয়া, সোভিয়েত ইউনিয়ন | ২৫ জানুয়ারি ১৯২৮
মৃত্যু | ৭ জুলাই ২০১৪ তিবলিসি, জর্জিয়া | (বয়স ৮৬)
জাতীয়তা | সোভিয়েত (১৯২৮-১৯৯১) ও জর্জীয় (১৯৯১-২০১৪) |
রাজনৈতিক দল | সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি (১৯৪৮-১৯৯১) স্বতন্ত্র (১৯৯১-১৯৯৫) ইউনিয়ন অব সিটিজেনস (১৯৯৫-২০০৩) |
দাম্পত্য সঙ্গী | নানুলি শেভার্দনাদজে |
সন্তান | ২ |
ধর্ম | অর্থোডক্স |
পুরস্কার | |
সামরিক পরিষেবা | |
শাখা | এমভিডি |
কাজের মেয়াদ | ১৯৬৪-১৯৭২ |
পদ | মেজর জেনারেল |
কমান্ড | পাবলিক অর্ডার মন্ত্রী (১৯৬৫-১৯৬৮) অভ্যন্তরীণবিষয়ক মন্ত্রী (১৯৬৮-১৯৭২) |
এডুয়ার্ড আমভ্রোসিয়েভিচ শেভার্দনাদজে (জর্জীয়: ედუარდ შევარდნაძე, জর্জীয় উচ্চরণ: [ɛduard ʃɛvardnad͡zɛ]; রুশ: Эдуа́рд Амвро́сиевич Шевардна́дзе; জন্ম: ২৫ জানুয়ারি, ১৯২৮ - মৃত্যু: ৭ জুলাই, ২০১৪)[১] জর্জিয়ার বিখ্যাত রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ ছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্তির পর ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত জর্জিয়ার রাষ্ট্রপতি অথবা সমমানের দায়িত্ব পালন করেন। এরপূর্বে ১৯৮৫-৯০ ও ১৯৯১ সালে তিনি তৎকালীন সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরূপে কাজ করেন। গর্বাচেভ শাসনামলে তিনি অনেক সোভিয়েত বৈদেশিক নীতি বাস্তবায়নে দায়বদ্ধ ছিলেন। ২০০৩ সালে রক্তপাতহীন গোলাপ বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতাচ্যূত হনন।
জর্জিয়ার এ শিক্ষকের সন্তান শেভার্দনাদজে ১৯৪০-এর দশকে কমসোমোল বা যুব কমিউনিস্ট লীগের সদস্য ছিলেন। ধীরে ধীরে দ্বিতীয় সচিব থেকে পরবর্তীকালে ১৯৫৭-৬১ মেয়াদকালে জর্জিয়ার কমসোমোল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সচিব হয়েছিলেন। কিন্তু এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে অপদস্থ করার কারণে তাকে নিম্নপদে সরিয়ে নেয়া হয়। দুই বছর পর প্রথম সচিবরূপে তিবলিসি শহরের দায়িত্ব পান। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত জর্জীয় পুলিশের দায়িত্বে থাকাকালীন রাজধানী তিবলিসে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করতেন। দুর্নীতির যুগে ১৯৭২ সালে জর্জিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্র্রথম সচিব হন। কিন্তু তার দূর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডের ফলে সোভিয়েত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন ও তাকে জর্জিয়া সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে অভ্যন্তরীণবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।[২] এরপর তিনি প্রথম সচিব ও সোভিয়েত জর্জিয়ার নেতা ভাসিল ঝাভানাদজের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ আনেন।[৩]
১৯৭৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন ও ১৯৭৮ সালে পলিটব্যুরোর সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হন।[৪] ১৯৮৫ সালে নতুন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ ক্ষমতাসীন পলিটব্যুরোতে শেভার্দনেদজেকে পূর্ণাঙ্গ সদস্যরূপে মনোনীত করেন ও তাকে পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে আন্দ্রে গ্রোমিকো’র স্থলাভিষিক্ত করেন।[৫] দক্ষতার সাথে গর্বাচেভের বৈদেশিক নীতি বাস্তবায়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন শেভার্দনাদজে। ১৯৮৮ সালে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহার এরই অংশ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নতুন অস্ত্র চুক্তিবিষয়ক আলোচনা, ১৯৮৯-৯০ সময়কালে পূর্ব ইউরোপে সমাজতান্ত্রিক সরকারের পতনও অন্যতম বিষয় ছিল। তিনি গর্বাচেভের অন্যতম নিকটতম সহকর্মী ছিলেন[৬] ও গ্লাসনস্ত ও পেরেস্ত্রাইকার ন্যায় কার্যকর পুণর্গঠন নীতির কার্যকারিতায় সহায়তা করেন।[৭] ডিসেম্বর, ১৯৯০ সালে শেভার্দনাদজে আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেন। তখন গর্বাচেভ সরকারের বিরুদ্ধে পুণঃগঠন বিরোধীদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব পড়ছিল। ১৯৯১ সালে কম্যুনিস্ট সমর্থকদের মাধ্যমে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাৎ হলে তিনি সংক্ষিপ্ত কালের জন্য ১৯ নভেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রীরূপে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন দেখেন।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর শেভার্দনাদজে নিজ জন্মভূমি ও নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র জর্জিয়া চলে আসেন। সেখানে প্রথম রাষ্ট্রপতি জিভিয়াদ গামসাখুরদিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রপ্রধান হন। ১৯৯৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হন শেভার্দনাদজে। তবে তাঁর রাষ্ট্রপতিত্ব নিয়ে ব্যাপক দূর্নীতি ও অপপ্রচারের অভিযোগ তোলা হয়। ২০০৩ সালের সংসদীয় নির্বাচনে ভোট প্রতারণায় অনেক গণবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় যা গোলাপ বিদ্রোহ নামে পরিচিতি পায়। এরফলে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
М.: Издательство "Европа", 2009, 428 с. আইএসবিএন ৯৭৮-৫-৯৭৩৯-০১৮৮-২
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ভাসিল ঝাভানাদজে |
প্রথম সচিব ১৯৭২–১৯৮৫ |
উত্তরসূরী জাম্বার পাতিয়াশভিলি |
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
পূর্বসূরী আন্দ্রে গ্রোমিকো |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৮৫–১৯৯১ |
উত্তরসূরী আলেকজান্দর বেসমার্তনিখ |
পূর্বসূরী বরিস পানকিন |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৯১ |
উত্তরসূরী পদ বিলুপ্তি |
পূর্বসূরী জেভিয়াদ গামসাখারদিয়া |
জর্জিয়ার রাষ্ট্রপতি ১৯৯৫–২০০৩ |
উত্তরসূরী নিনো বারজানাদজে |