![]() ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপে উরুগুয়ের হয়ে কাভানি | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এদিনসন রোবের্তো কাভানি গোমেস[১] | ||
জন্ম | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ | ||
জন্ম স্থান | সালতো, উরুগুয়ে | ||
উচ্চতা | ১.৮৮ মিটার (৬ ফুট ২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | আক্রমণভাগের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ভ্যালেন্সিয়া | ||
জার্সি নম্বর | ৭ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০০০–২০০৫ | দানুবিও | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৫–২০০৭ | দানুবিও | ২৫ | (৯) |
২০০৭–২০১১ | পালেরমো | ১০৯ | (৩৪) |
২০১০–২০১১ | → নাপোলি (ধার) | ৩৫ | (২৬) |
২০১১–২০১৩ | নাপোলি | ৬৯ | (৫২) |
২০১৩–২০২০ | পারি সাঁ-জেরমাঁ | ২০০ | (১৩৮) |
২০২০–২০২২ | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ৪১ | (১৯) |
২০২২– | ভালেনসিয়া | ০ | (০) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৬–২০০৭ | উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০ | ১৫ | (১১) |
২০১২ | উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ | ৫ | (৩) |
২০০৮– | উরুগুয়ে | ১২৩ | (৫৩) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৮:৩৬, ২৭ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৮:৩৬, ২৭ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
এদিনসন রোবের্তো কাভানি গোমেস (স্পেনীয়: Edinson Cavani, স্পেনীয় উচ্চারণ: [ˈeðinsoŋ kaˈβani]; জন্ম: ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭; এদিনসন কাভানি নামে সুপরিচিত) হলেন একজন উরুগুয়েয়ীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে স্পেনের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর লা লিগার ক্লাব ভালেনসিয়া এবং উরুগুয়ে জাতীয় দলের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে ডান পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এবং বাম পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
২০০০–০১ মৌসুমে, উরুগুয়েয়ীয় ফুটবল ক্লাব দানুবিওর যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে কাভানি ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দলের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০০৫–০৬ মৌসুমে, উরুগুয়েয়ীয় ক্লাব দানুবিওর মূল দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি দুই মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; দানুবিওর হয়ে তিনি ২৫ ম্যাচে ৯টি গোল করেছেন। অতঃপর ২০০৬–০৭ মৌসুমে তিনি প্রায় ৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইতালীয় ক্লাব পালেরমোয় যোগদান করেছেন। অতঃপর এক মৌসুমের জন্য নাপোলির হয়ে ধারে খেলার পর ২০১০–১১ মৌসুমে ১২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে স্থায়ীভাবে যোগদান করেছেন, যেখানে তিনি ভালতের মাজ্জাররির অধীনে ২০১১–১২ কোপ্পা ইতালিয়ার শিরোপা জয়লাভ করেছেন। নাপোলিতে তিন মৌসুম অতিবাহিত করার পর প্রায় ৬৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ফরাসি ক্লাব পারি সাঁ-জেরমাঁর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন,[২] যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ৩০১ ম্যাচে ২০০টি গোল করার পাশাপাশি টানা ৬টি লিগ শিরোপা জয়লাভ করেছেন। ২০২০–২১ মৌসুমে, তিনি বিনামূল্যে পারি সাঁ-জেরমাঁ হতে ইংরেজ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেছেন।
২০০৬ সালে, কাভানি উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে উরুগুয়ের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। উরুগুয়ের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০০৮ সালে উরুগুয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; উরুগুয়ের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ১২৩ ম্যাচে ৫৩টি গোল করেছেন। তিনি উরুগুয়ের হয়ে এপর্যন্ত ৩টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৮) এবং ৫টি কোপা আমেরিকায় (২০১১, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৯ এবং ২০২১) অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ২০২১ সালে ওস্কার তাবারেসের অধীনে কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়লাভ করেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে, কাভানি বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০০৭ দক্ষিণ আমেরিকান যুব চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার,[৩][৪] ২০১১–১২ কোপ্পা ইতালিয়ার শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার[৫] এবং টানা দুই মৌসুমে লিগ ১-এর শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার অন্যতম। দলগতভাবে, কাভানি এপর্যন্ত ২৪টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ১টি দানুবিওর হয়ে, ১টি নাপোলির হয়ে, ২১টি পারি সাঁ-জেরমাঁর হয়ে এবং ১টি উরুগুয়ের হয়ে জয়লাভ করেছেন।
এদিনসন রোবের্তো কাভানি গোমেস ১৯৮৭ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখে উরুগুয়ের সালতোয় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
কাভানি উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০ এবং উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে উরুগুয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৭ সালের ৮ই জানুয়ারি তারিখে তিনি উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে তিনি ২০০৭ দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন,[৬][৭] যেখানে উরুগুয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করতে করতে সক্ষম হয়েছিল; উক্ত প্রতিযোগিতায় তিনি ৯ ম্যাচে ৭টি গোল করে আসরের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছেন।[৮] একই বছরে তিনি ২০০৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন,[৯] তবে উরুগুয়ে এই প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। কাভানি এই আসরে ৪ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন।[১০] উরুগুয়ের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি ২০ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ১৪টি গোল করেছেন।
২০০৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি তারিখে, মাত্র ২০ বছর ১১ মাস ২৩ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী কাভানি কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে উরুগুয়ের হয়ে অভিষেক করেছেন। উক্ত ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় দিয়েগো ফোরলানের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেন। অভিষেক ম্যাচেই তিনি উরুগুয়ের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেছেন; ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে উরুগুয়ের তৃতীয় গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেন।[১১] ম্যাচটি ২–২ গোলে ড্র হয়েছিল। উরুগুয়ের হয়ে অভিষেকের বছরে কাভানি সর্বমোট ৪ ম্যাচে ১টি গোল করেছেন। অন্যদিকে, অভিষেকের ২ বছর পর, ২০১০ সালের ৮ই অক্টোবর তারিখে, ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম হ্যাট্রিকটি করেন; তিনি উক্ত ম্যাচে উরুগুয়ের প্রথম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম গোল করেছেন।[১২][১৩][১৪] ২০১৭ সালের ১০ই নভেম্বর তারিখে, তিনি পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ম্যাচে উরুগুয়ের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন, ম্যাচটি ০–০ গোলে ড্র হয়েছিল।[১৫][১৬][১৭]
কাভানি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ওস্কার তাবারেসের অধীনে ঘোষিত উরুগুয়ে দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান।[১৮] ২০১০ সালের ১৬ই জুন তারিখে, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপে অভিষেক করেছেন।[১৯][২০][২১] ১০ই জুলাই তারিখে, জার্মানির বিরুদ্ধে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে তিনি ফিফা বিশ্বকাপে তার প্রথম গোলটি করেছেন।[২২][২৩][২৪] উক্ত বিশ্বকাপে তিনি ৬ ম্যাচে ১টি গোল করার পাশাপাশি চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন।[২৫] অতঃপর কাভানি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য প্রকাশিত উরুগুয়ের ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।[২৬][২৭] পরবর্তীকালে, তিনি ওস্কার তাবারেসের অধীনে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপে উরুগুয়ের চূড়ান্ত দলে স্থান পান,[২৮][২৯] এই আসরের কোয়ার্টার-ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে আসর হতে বিদায় নিয়েছিল। এই আসরে তিনি ৪ ম্যাচে ৩টি গোল করেছেন।[৩০]
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
উরুগুয়ে | ২০০৮ | ৪ | ১ |
২০০৯ | ৮ | ০ | |
২০১০ | ১২ | ৭ | |
২০১১ | ১২ | ২ | |
২০১২ | ৯ | ৩ | |
২০১৩ | ১৫ | ৭ | |
২০১৪ | ১০ | ৪ | |
২০১৫ | ৮ | ৪ | |
২০১৬ | ১১ | ৯ | |
২০১৭ | ৯ | ৩ | |
২০১৮ | ১১ | ৬ | |
২০১৯ | ৭ | ৪ | |
২০২০ | ২ | ১ | |
২০২১ | ৫ | ২ | |
সর্বমোট | ১২৩ | ৫৩ |