ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এদুয়ার্দো সেলমি কামাভিঙ্গা[১] | ||
জন্ম | ১০ নভেম্বর ২০০২ | ||
জন্ম স্থান | কাবিন্দা, অ্যাঙ্গোলা[২] | ||
উচ্চতা | ১.৮২ মিটার (৫ ফুট ১১+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
জার্সি নম্বর | ১২ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০০৯–২০১৩ | দ্রাপো-ফোগেরেস | ||
২০১৩–২০১৮ | রেনে | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১৮–২০১৯ | রেনে ২ | ১৩ | (৪) |
২০১৯–২০২১ | রেনে | ৭১ | (২) |
২০২১– | রিয়াল মাদ্রিদ | ৮২ | (২) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১৯–২০২২ | ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-২১ | ১৩ | (২) |
২০২০– | ফ্রান্স | ১৩ | (১) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১২:১২, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১২:১২, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
এদুয়ার্দো সেলমি কামাভিঙ্গা (ফরাসি: Eduardo Camavinga; জন্ম: ১০ নভেম্বর ২০০২; এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ফরাসি পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে স্পেনের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর লা লিগার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।[৩][৪] তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।
২০০৯–১০ মৌসুমে, ফরাসি ফুটবল ক্লাব দ্রাপো-ফোগেরেসের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে কামাভিঙ্গা ফুটবল জগতে প্রবেশ করেন এবং পরবর্তীতে রেনের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০১৮–১৯ মৌসুমে, রেনে ২ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন। রেনে ২-এর হয়ে মাত্র ১ মৌসুম খেলার পর, তিনি রেনেতে যোগদান করেন।[৫]
২০২০ সালে, কামাভিঙ্গা ফ্রান্সের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন, যেখানে তিনি এপর্যন্ত ১৩ ম্যাচে ১টি গোল করেছেন। তিনি ফ্রান্সের জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে রানার-আপ হয়েছিলেন।
এদুয়ার্দো সেলমি কামাভিঙ্গা ২০২২ সালের ১০ই নভেম্বর তারিখে ফ্রান্সের কাবিন্দায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
দ্রাপো-ফোগেরেস এবং রেনের যুব দলের হয়ে প্রায় ১০ বছর যাবত খেলার পর, ২০১৯ সালের ১লা জানুয়ারি তারিখে, ১৬ বছর ১ মাস ২২ দিন বয়সে ক্লাবের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে কামাভিঙ্গা ফরাসি ক্লাব রেনেতে যোগদান করার মাধ্যমে ক্লাব পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন।[৬] রেনেতে যোগদান করার পর তিনি ৩৩ নম্বর জার্সিটি গ্রহণ করেছিলেন, যেটি পূর্বে এক মৌসুম যাবত ফরাসি রক্ষণভাগের খেলোয়াড় জেরেমি গেল্যাঁ পরিধান করেছিলেন। ২০শে জানুয়ারি তারিখে ফ্রান্সের শীর্ষ স্তরের লিগে মোঁপালিয়ের বিরুদ্ধে নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দলে স্থান পেয়েছেন, তবে উক্ত ম্যাচে তিনি অব্যবহৃত বদলি খেলোয়াড় হিসেবে বেঞ্চে বসে ছিলেন।[৭] ৫ ম্যাচ বেঞ্চে বসে থাকার পর,২০১৯ সালের ৬ই এপ্রিল তারিখে, মাত্র ১৬ বছর ৪ মাস ২৭ দিন বয়সে, তিনি আঁজের বিরুদ্ধে লিগ ১-এর অ্যাওয়ে ম্যাচে জুলিয়েঁ স্তেফেঁর অধীনে ক্লাব পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন,[৮] এর ফলে তিনি রেনের হয়ে খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন।[৯] তিনি উক্ত ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এমবায়ে নিয়াংয়ের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেছিলেন; ম্যাচে তিনি কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন।[১০] রেনের হয়ে অভিষেকের ৮ মাস ৯ দিন পর, ২০১৯ সালের ১৫ই ডিসেম্বর তারিখে লিয়োনের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের মাঠে অনুষ্ঠিত লিগ ম্যাচে ডান পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রোম্যাঁ দেল কাস্তিয়োর অ্যাসিস্ট হতে গোল করার মাধ্যমে কামাভিঙ্গা ক্লাব পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবনে তার প্রথম এবং ম্যাচের জয়সূচক গোলটি করেছেন;[১১][১২] রেনে ম্যাচটি ১–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[১৩]
রেনের হয়ে পূর্ববর্তী মৌসুমে ১৪ নম্বর জার্সি পরিধান করার পর তিনি ১০ নম্বর জার্সিটি গ্রহণ করেছেন, যা তার পূর্বে ফরাসি-স্পেনীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রোম্যাঁ দেল কাস্তিয়ো পরিধান করেছিলেন। ১৮ই মে তারিখে ঘরোয়া লিগের এই মৌসুমে রেনের হয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে ফাউল করার ফলে তিনি ক্লাব পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবনের প্রথমবারের মতো হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন। মাংসপেশীর আঘাতের কারণে ২০১৯ সালের ১৯শে নভেম্বর হতে ২৭শে নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত মোট ৮ দিন ফুটবল খেলা হতে দূরে ছিলেন, এই সময়ে তিনি রেনের হয়ে ১টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এছাড়াও লাল কার্ড পাওয়ার কারণে ২৫শে অক্টোবর হতে ২৯শে নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত মোট ৩৫ দিন ফুটবল খেলা হতে দূরে ছিলেন, এই সময়ে তিনি তার ক্লাবের হয়ে ২টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। রেনের হয়ে প্রথম মৌসুমে তিনি ৭ লিগ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
কামাভিঙ্গা রেনের হয়ে ৪ মৌসুমে ৮৮ ম্যাচে সর্বমোট ৬০৫৯ মিনিট খেলে ২টি গোল এবং ৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন।
২০২১–২২ মৌসুমে, রেনেতে ৪ মৌসুম অতিবাহিত করার পর ৩১ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে স্পেনীয় পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তরের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগদান করেছেন। রিয়াল মাদ্রিদের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করার সময় রেনের সাথে তার ৯ মাস ৩০ দিনের চুক্তি অবশিষ্ট ছিল, যা ২০২২ সালের ৩০শে জুন তারিখে সম্পন্ন হতো।[১৪][১৫]