এনএস ১ অ্যান্টিজেন টেস্ট (নন স্ট্রাকচারাল প্রোটিন ১), এটি ডেঙ্গুর জন্য একটি পরীক্ষা, যা ২০০৬ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল। ইহা ৫/৬ দিন পরে এন্টিবডি আসার পূর্বেই প্রথম দিনের জ্বরে দ্রুতভাবে সনাক্তকরণ করতে পারে।[১] এটি প্রায় ৪০ টি দেশে ব্যবহারের জন্য গৃহীত হয়। সনাক্তকরণের পদ্ধতিটি এনজাইম-লিঙ্কযুক্ত ইমিউনোসোর্বারেন্ট অ্যাসের মাধ্যমে হয়। [১][২]ভারত ২০১০ সালে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারী হাসপাতালে এনএস১ পরীক্ষা করতে ১,৬০০ রুপি ব্যয় করেছিল। [২]
এনএস১ অ্যান্টিজেন পরীক্ষা ডেঙ্গু সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং এটা প্রথম দিনেউ সনাক্তকরণে কার্যকর। তাছাড়া ফ্ল্যাভিভাইরাসগুলির ক্ষেত্রে এনএস১ অ্যাসে ডিফারেনশিয়াল ডায়াগনস্টিকগুলির জন্য উপকারী । [৩]
এনএস১ প্রাথমিক ডেঙ্গু সংক্রমণের ক্লিনিকাল লক্ষণগুলির সূচনাকালে সংক্রামিত ব্যক্তির সিরামে উপস্থিত থাকে এবং একটি দৃঢ় মানবিক সাড়া তৈরিকরে। আইজিএম অ্যান্টিবডিগুলি দেখা দেয়ার আগেই এটি সনাক্তযোগ্য। [৪]
DENV এর উপস্থিতি এনএস১ অ্যান্টিজেন দ্বারা মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু গবেষণাগারে নিশ্চিতকরণ করা (ব্যক্তিটি সম্প্রতি কোথায় গিয়েছিলেন তাও গণনায় নেওয়া হয়) হয়। [৫] ইমিউনোগ্লোবুলিন এম অ্যান্টিবডি ক্যাপচার – এনজাইম-লিঙ্কযুক্ত ইমিউনোসোর্বেন্ট অ্যাসে (ম্যাক-ইলিসা) এবং রিভার্স ট্রান্সক্রিপেসের (আরটি-পিসিআর) মাধ্যমে ভাইরাসযুক্ত আরএনএ সনাক্তকরণের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয়ের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। [৬]