এন্থিরান | |
---|---|
পরিচালক | এস. শঙ্কর |
প্রযোজক | কালাইনিদি মারান |
চিত্রনাট্যকার | এস শঙ্কর |
কাহিনিকার | এস শঙ্কর |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | এ আর রহমান |
চিত্রগ্রাহক | আর রত্নভেলু |
সম্পাদক | এ্যান্হনি |
প্রযোজনা কোম্পানি | সান পিকচার্স |
পরিবেশক | সান পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৬৬-১৭৭ মিনিট[Note ১] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তামিল |
নির্মাণব্যয় | প্রা. ₹১.৩২ – ১.৬২ বিলিয়ন[Note ২] |
আয় | প্রা. ₹২.৯০ বিলিয়ন |
এন্থিরান (তামিল: எந்திரன், অনুবাদ 'যন্ত্রমানব') হচ্ছে ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি তামিল বিজ্ঞান কল্পকাহিনীভিত্তিক চলচ্চিত্র, এটি এস. শঙ্কর দ্বারা রচিত ও পরিচালিত হয়েছিলো।[৬] চলচ্চিত্রটিতে রজনীকান্ত এবং ঐশ্বর্যা রায় মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন, এছাড়াও ছিলেন ড্যানি ডেনজংপা, শান্তনম এবং করুণাস। গানের সুর এবং আবহ সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এ আর রহমান।
চলচ্চিত্রটির কাহিনী ডক্টর ভাসিগরন (রজনীকান্ত) কে নিয়ে যিনি চিট্টি নামের একটি রোবট বানান এবং পরে সেই রোবটটির ভেতরে মানবীয় অনুভূতি প্রবেশ করালে তিনি ঝামেলায় পড়ে যান কারণ চিট্টি তার প্রেমিকা সানা (ঐশ্বর্যা রায়) কে পছন্দ করে ফেলে এবং তার সাথে প্রেম করতে চায়।
এই চলচ্চিত্রটির সিকুয়েলের নাম হচ্ছে টু পয়েন্ট জিরো।
বিজ্ঞানী ওয়াসী করণ একটি রোবট বানান যে মানুষের মতোই কথা বলতে পারে, দেখতে অবিকল তার নিজের মতোই। রোবটটি অনেক দ্রুত কাজ করতে পারে, মানুষের মত সব কাজ সহ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি অসম্ভব কাজও সে পারে। তার নাম ওয়াসী করণ রেখেছেন চিট্টি, রোবটটির শুধু মানুষদের মত দয়া, মায়া বা আবেগের অনুভূতি নেই, সে শুধু মানুষের কথা শুনে কাজ করে, সে ভালো-মন্দ নিরূপণ করতে পারেনা/তার পার্থক্য বোঝেনা। তাই একদিন ওয়াসী রোবটটির ভেতরে মানুষের আবেগীয় গুণাবলী এবং অনুভূতি ঢুকিয়ে দেন কিন্তু চিট্টি তখন ওয়াসীর প্রেমিকা সানার প্রেমে পড়ে। ওয়াসী তখন রোবটটিকে মেরে আস্তাকুড়ে ফেলে দিয়ে আসে।
বোহরা নামের এক বিজ্ঞানী চিট্টিকে আস্তাকুড় থেকে উদ্ধার করে তাকে নতুনভাবে তৈরি করে এবং তার শরীরের ভেতরে একটি চিপ ঢোকায় যাতে করে চিট্টি হিংসাত্মক হয়ে যায়। রোবটটি চেন্নাই শহর জুড়ে ভাংচুর আর খুন-খারাবি শুরু করে আর সানাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওয়াসী করণ অনেক কষ্টে রোবটটিকে সর্বশেষে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় এবং তার ভেতর থেকে চিপটা বের করে তাকে পুনরায় ভেঙে দেয়।